শীতকালে অনেকেই গরম পানিতে গোসল পছন্দ করি, আরাম বোধ করি। গোসলের পানি গরম হলে শরীর তো পরিস্কার হয়ই, উপরন্তু কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। গোসলের জন্য গরম পানি যদি শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার কাছাকাছি পর্যায়ের গরম হয়, অর্থাৎ ৮৫ থেকে ৯২ ফারেনহাইট- এরূপ গরম পানি দিয়ে ২ থেকে ১৫ মিনিট গোসল করা উচিত।
গোসলে হালকা গরম পানির উপকারিতা
শরীরের পেশির স্টিফনেস (Stiffness) দূর হয়। পেশির নমনীয়তা বাড়ে। লাঘব হয় পেশির ব্যথা (Muscle Pain)। নিয়মিত এরূপ গরম পানিতে গোসল করলে বাতের ব্যথা উপশম হয়। অস্থি সন্ধির ব্যথা কমে। কমে প্রদাহ।পিঠের ও হাঁটুর ব্যথা ভালো হয়। অনেকের মাথার ব্যথাও কমে যায়।গরম পানির প্রভাবে ত্বকের রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত সরবরাহ বাড়ে, ত্বক পুষ্টি পায় ভালো। ত্বকের আণুবীক্ষণিক ছিদ্রগুলো খোলে যায়। ফলে ভেতরকার ময়লা বের হয়ে যেতে পারে। ত্বক পরিস্কার হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ে। ত্বক থাকে বেশ কোমল।গরম পানির ভাপে নাকের কনজেশন বা নাক বন্ধ হয়ে থাকার ভাব কমে যায়। কমে যায় শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে থাকার ভাবও। নাকের ছিদ্র খোলে যায়, শ্বাসনালী প্রসারিত হয়। গরম পানির গোসলে তাই সাইনোসাইটিসে উপকার পাওয়া যায়। উপকার পাওয়া যায় শ্বাসকষ্টেও।
গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। আর এই বাড়তি রক্ত আসে শরীরের ভেতরকার অংশ থেকেই। শরীরের ভেতরকার অঙ্গের রক্ত সরবরাহ সাময়িকভাবে কমে যায়। অন্যান্য অঙ্গের ন্যায় মহিস্তষ্কের রক্ত সরবরাহও কমে যায় সাময়িকভাবে। মস্তিষ্কের ভার সামান্য লাঘব হয় বিছু সময়ের জন্য। তাই ঘুমের ১৫ মিনিট আগে গরম পানিতে গোসল করলে একটু ভালো ঘুম হয়।
এর মানে এই নয় যে শুধু গরম পানিতেই গোসল করতে হবে। গরম পানিতে গোসল কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যাদের হাইপারটেনশনসহ হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য গরম পানিতে গোসল ভালো নয়। গরম পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যায়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন