BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

Motorcycle(Bike) লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Motorcycle(Bike) লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

মোবাইলে কিভাবে BRTA -র রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স চেক করবেন

মোবাইলে কিভাবে BRTA -র রেজিস্ট্রেশন, লাইসেন্স চেক করবেন
Here comes Robi with another innovation to enrich its users’ mobile experience!
Robi has introduced e-Traffic services in association with Dhaka Metropolitan Police for the first time in Bangladesh.
e-Traffic services are available EXCLUSIVELY to Robi subscribers.
Robi users are now able to avail below services via SMS:
Validation of Vehicle Registration number
Validation of Engine number
Validation of Chassis number
Validation of Fitness Certificate
Validation of Tax Token
Validation of ownership details
Information regarding Traffic case filed against a vehicle
Validation of Driving License
How can you avail the services?
e-Traffic services are accessible only from yourRobi connection. To avail these services,
dial *28787#and follow the instructions or
Send SMS to 28787 in the format mentioned in the table given below
How much will it cost?
Only the regular SMS push-pull service charge (BDT 2+VAT per SMS) will be applicable
Content Categories
Message Format
Registration Checking
R<space><Vehicle Registration#>
Case Info
CASE<space>Vehicle Registration#
Case Info
CASE<space>ID
Driving License
DL<space>Driving License number as it appears in the card
Chassis Validation
CS<space>Vehicle Registration#
Engine no.Validation
En<space>Vehicle Registration#
Ownership Checking
OWN<space>Vehicle Registration#
Fitness Validation
FT<space>Vehicle Registration#
Tax Token
TT<space>Vehicle Registration#
Prosecution code
PR<space>code
Note:
Dhaka Metropolitan Police (DMP) and Bangladesh Railway and Transport Authority (BRTA) will be solely responsible for the authenticity of the information being provided through these services
Users can SMS “Help” to 28787 to know the keywords of e-Traffic SMS Services BRTA is solely responsible for the information on Vehicle Registration number, Engine number, Chassis number, Fitness Certificate, Tax Token, Ownership details and Driving License.
Digital Driving License (newly issued) information is not available at the moment DMP is solely responsible for the Information related Traffic case filed against a vehicle
In case a vehicle information is not accessible via e-Traffic services, the user enquiring about the vehicle information will have to contact with the respective authority (DMP/BRTA as applicable)

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

বাইকের মাইলেজ বাড়িয়ে নেবার কিছু উপকারী টিপস

বাইকের মাইলেজ বাড়িয়ে নেবার কিছু উপকারী টিপস

কোন বাইক কেনার সময় বাইকের মাইলেজ প্রায় সবার কাছেই একটা মেইন ফ্যাক্টর হয়ে দাড়ায় । মাইলেজের উপর ডিপেন্ড করেই বাইক চালানোর ডিসিশন নিয়ে থাকেন অনেকে । কারণ , একটা বাইকের বেশী মাইলেজ মানেই বাইকটির রানিং খরচ অনেক কম । কিন্তু , একটা বাইকের হাই মাইলেজ কী শুধুই মালিকের টাকাটা সেভ করে নাকি অন্য কোন ব্যাপার আছে । হ্যা , একটা বাইকের মাইলেজ একটা বাইক সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেয় । বাইকের ইন্জিন হেলথ অনেকটাই মাইলেজের উপর ডিপেন্ড করে ।
দুটি একই কোম্পানীর একই বাইক , দেখা গেল একটা একটু বেশী মাইলেজ দিচ্ছে আরেকটা একটু কম । এর দ্বারা আমরা কী বুঝতে পারি ? যে বাইকটির মাইলেজ ভাল , সে বাইকটির মালিক বাইকটির ঠিকমত যত্ন নিয়ে থাকেন এবং সময় মত সার্ভিসিং ও টিউনিং করান । বাইকের ইন্জিন হেলথ মাইলেজের সাথে ডিরেক্টলি যুক্ত ।
Increasing Mileage
আমার এমন একজনের সাথে কথা হয়েছিল যার একটি হিরো হোন্ডা হাঙ্ক রয়েছে ৪ বছর ধরে , এবং এই বাইকটি এখনও শহরে ৪৫ ও হাইওয়েতে ৫০+ মাইলেজ দিয়ে থাকে ।এবং তার বাইকটি এখনও সম্পূর্ণ নতুনের মতই আছে । অনেকেই বলবেন , এটা কীভাবে সম্ভব ?হ্যা , এটা সম্ভব । এর জন্য আমাদের বাইকের কিছু কিলিং টিপস মেইনটেইন করতে হবে ।
প্রথমত , ইন্জিনকে ওয়ার্ম আপের জন্য একটু টাইম দিতে হবে , তারপর আপনি যে রকম পারফরমেন্স চান সেটাতে যেতে হবে । ছোট ইন্জিনের বাইকগুলো , যেমন , প্যাশন প্রো , বাজাজ ডিসকভার ১০০ , বা স্পেলেন্ডার এই টাইপের বাইক গুলোতে হরিজন্টাল ছোট ইন্জিন থাকে । ফলে বাইক স্টার্ট নেবার সাথে সাথেই এর ফুয়েল ট্যাঙ্ক থেকে জ্বালানী ইন্জিনে যেতে পারে । কিন্তু , যদি আমরা বড় বাইকের ইন্জিনগুলোর দিকে তাকাই , যেমন , পালসার ১৫০ বা এ্যাপাচি বা আরও বড়ড় ইন্জিনের বাইক , এই টাইপের বাইকগুলোতে বাইক স্টার্ট নেবার সাথে সাথেই ইন্জিনে জ্বালানীর সার্কুলেশন ঠিকঠাকভাবে হয় না । ফলে ইন্জিনে সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনি আপনার বাইক এর চোখ নামে আমরা যে পার্টসটিকে চিনি , সেটা খোলা রেখে ইন্জিন স্টার্ট দিয়ে এই অবস্থায় ১০-১৫ সেকেন্ড রেখে দিন । ফলে এই সময়ে আপনার বাইকের জ্বালানী গরম হবার জন্য টাইম পাবে । ফলে জ্বালানীর ঘনত্বটা একটু কমে যাবে এবং ইন্জিনে জ্বালানীর সার্কুলেশনটাও তখন অনেক ভাল হবে । কিন্তু , বেশীক্ষণ চোখ খোলা রাখবেন না । তাহলে এটা আপনার জ্বালানী খুব দ্রুতই শেষ করে দিতে পারে । কমপক্ষে ৫ কিরোমিটার রাইড না করা পর্যন্ত ইন্জিনের জ্বালানীর পাইপ খুলবেন না । এই সময়ে ইন্জিনটি একটা নরমাল হিট রেঞ্জের ভেতর চলে আসবে ।
দ্বিতীয়ত , আপনার বাইকটি ঠান্ডা অবস্থা থেকে এনেই স্টার্ট করে বেশী পিক আপ ধরবেন না । কারণ , ইন্জিন স্টার্ট হবার পর এর ইন্জিনের ভেতর পর্যাপ্ত পরিমাণে লুব্রিকেন্ট থাকে না । ফলে , এই সময় ইন্জিন বেশী গরম হলে আপনার ইন্জনে ক্ষয় হয়ে যেতে পারে , পিষ্টন ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে যেগুলো পরবতৃীতে আপনার লো মাইলেজের জন্য দায়ী থাকবে । উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি কোন জিমে যান ব্যায়াম করতে , তাহলে সেখানকার ট্রেনাররা প্রথমে আপনার ওয়ার্ম আপের জন্য কিছু সহজ ব্যায়াম দেবে । নিশ্চই আপনাকে প্রথমেই কোন ভারী ওজন তুলতে বলবে না । বাইকের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই ।
তৃতীয়ত , আপনার বাইকের ভর । এটা আপনার মাইলেজের উপর ডিরেক্ট ইফেক্ট করে । আপনার বাইকে যদি কোন এক্সট্রা ভারী বস্তু থাকে , তাহলে আপনার বাইকের জ্বালানী বেশী লাগবে এটা স্বাভাবিক । সো , বাইকের অপ্রযোজনীয় ভারী জিনিস , যেমন হতে পারে বাইকের শাড়ী গার্ড বা এই টাইপের জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলুন । ফলে আপনার বাইকটির ইন্জিনের কষ্ট কম হবে। ফলে এটা ভাল পারফরমেন্স দেবে, এটা ভাল থাকবে এবং ভাল মাইলেজ দিবে ।
আর মাইলেজ বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো আপনারা হয়ত জানেন । তারপরও বলি ।
১. লং ওয়ার্নিং পিরিয়ডের সিগন্যালের সময় আাপনার বাইকের ইন্জিন বন্ধ রাখুন ।
২. সময়মত রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী বাইকের ইন্জিন অয়েল চেঞ্জ করুন ।
৩.আপনার বাইকের টিউবের প্রেশার প্রতি মাসেই চেক করান । রিকমেন্ডেড প্রেশারের থেকে হাইয়ার প্রেশার হয়ত আপনাকে ভাল মাইলেজ দিবে কিন্তু এটা আপনার ইন্জিনের স্ট্যাবিলিটি কমিয়ে দেবে ।
আপনাদের বাইকের মাইলেজ নীচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

বাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে ১০ টি মারাত্মক সেফটি টিপস

বাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে ১০ টি মারাত্মক সেফটি টিপস

বর্তমান সময়ে বাইক রাইডিং একটা প্যাশন এবং অনেকের ক্ষেত্রে এটা একটা নেশায় পরিণিত হয়েছে । কিন্তু আমরা সবাই’ই জানি যে বাইক রাইডিং এ অনেক রিস্ক রয়েছে এবং সেগুলো মোকাবেলা করেই বাইক রাইড করতে হয় । না হলে আপনি বা যেকোন রাইডারই এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হতে পারে এবং বাইক এক্সিডেন্টের ফলে প্রতিদিনই অনেক মানুষ আহত হচ্ছে এমনকী অনেকে মারাও যাচ্ছে । তাই রাইডিং এর আগে কীভাবে সেফলি বাইক রাইড করা যায় সে বিষয়ে আমাদের জানা উচিৎ । আর এটাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয । আজ আমি আপনাদের বাইক রাইডিং এর কিছু সেফটি টিপস দিব যেগুলো আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে ।

হেলমেট:
আমরা সবাই জানি যে হেলমেট এর মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাইডিং রে ক্ষেত্রে আর হয় না । এটা রাইডারের মাথার সেফটি দিয়ে থাকে এবং বেশীরভাগ এক্সিডেন্টে রাইডারের মাথাই ইনজুরি হয়ে থাকে । তাই , রাইডিং এর আগে সব রাইডারের একটা ভাল এবং তার সাথে ফিট একটা হেলমেট চয়েজ করা দরকার । এটা খুব টাইট বা খুব লুস হবার কোন দরকার নেই । এটা যেন আপনার মাথার সাথে পারফেক্টলি ফিট হয় । আর এটা কেনার সময় ডিজাইন বা স্টাইল না দেখে এটার সেফটি পাওয়ার দেখে কেনাই ভাল ।

মনোযোগীতা:
রাইডং এর সময় বাইকারের এটেশন সবসময় রোডের দিকে থাকাই ভাল । না হলে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । আপনার চোখ সবসময় রোডের উপর রাখুন । অন্যমনস্ক ভাবে রাইডিং এক্সিডেন্টের অন্যতম প্রধান কারণ । আর আপনার সামনে বা পেছনে কোন বাইক বা অন্য কোন যানবাহন আছে কীনা সেটার দিকে লক্ষ্য রাখুন । টার্ণিং এর সময় পুরো রোডের দিকে ভালভাবে খেয়াল করে টার্ণ করুন । রাস্তার ট্রাফিকের বিষয়টা এক্ষেত্রে মাথায় রাখুন ।

প্যাসেঞ্জার:
রোডে সিঙ্গেল রাইড করছেন এমন পাবলিক খুব কমই দেখা যায় ।সবসময়ই বাইকের পেছনে একজন সহ রাইডিং এর বিষয়টা বেশী নজরে পড়ে । রাইডিং এর ক্ষেত্রে প্যাসেঞ্জারও একটা ভাইটাল রোল প্লে করে । রাইডিং এর আগে আপনার পেছনের যাত্রী ঠিকমত বসতে পেরেছে কীনা সেটা লক্ষ্য রাখুন । অনেক সময় পেছনে বসা কারোর নড়াচড়া বা অনাকাঙ্খিত মুভমেন্টের কারণেও বিপদ ঘটে থাকে । আর আপনি একজন প্যাসেঞ্জার নিয়ে রাইড করতে কতটা অভিজ্ঞ সেটাও একটা বিষয় । আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনার পেছনে একজন বসে আছে এবং সেই অনুসারে রাইড করা উচিৎ ।

আবহাওয়া:
খারাপ আবহাওয়াতে আপনার রাইডিং এ না যাওয়াই ভাল । কারণ বৃষ্টির সময় রোড ভেজা থাকার কারণে আপনার বাইকের চাকা খুব সহজেই স্লিপ করতে পারে । খুব ইমারজেন্সি কোন দরকার ছাড়া বৃষ্টির সময় আপনার বাইক নিয়ে না বের হওয়াই ভাল । যদিও আপনি অভিজ্ঞ এবং ভাল রাইডার হন , তারপরও বৃষ্টির সময় রিস্ক না নেওয়াটাই বেটার । আর বৃষ্টির সময় রাইডিং এ গেলে অবশ্যই বাইক খুব আস্তে রাইড করবেন এবং ব্রেকিং এর সময় হার্ড ব্রেকিং থেকে বিরত থাকবেন ।

টেকনোলজি:
বর্তমানে নতুন টেকনোলজির এন্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমের ফলে ব্রেকিং সিস্টেম একটা অন্যরকম উচ্চতায় চলে গেছে । কিন্তু , এটা বর্তমানে বেশীরভাগ রাইডারের কাছেই নতুন একটা বিষয় এবং বেশিরভাগ রাইডার এটা সম্পর্কে ভালভাবে বুঝে উঠতে পারেননি । এটা যখন আপনার চাকাকে লক করে দেয় তখন নতুন রাইডার হলে ভয়ে বা অন্য যেকোন কারণে আপনি বাইকের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলতে পারেন । তাই , নতুন কোন টেকনোলজি ভালভাবে প্রাকটিস করে ইউজ শুরু করুন ।

হেডফোন বন্ধ রাখুন:
রাইডিং এর সময় এটেনশন যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট সেটা আগেও বলেছি । যেকোন প্রকার অমনোযোগীতা আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে । তাই , রাইডিং এর সময় কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনা বা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন । কারণ , এটা একই সাথে আপনাকে অমনোযোগী করে দেয় এবং আশেপাশের কোন যানবাহনের হর্ন আপনি শুনতে পাবেন না কানে হেডফোন থাকলে ।

স্কিল:
মোটরসাইকেল রাইডিং অবশ্যই একটা স্কিল এর বিষয় , এবং আপনি কত ভালভাবে মোটরসাইকেল রাইড করতে পারেন সেটা আপনার স্কিলের উপর ডিপেন্ড করে । আর এক্ষেত্রে সবার নিজের স্কিল ফলো করাই উচিৎ । কোনসময়্ই আপনার স্কিলের সাথে অন্য কারও স্কিল তুলনা করবেন না , কারণ , আপনি যার রাইডিং স্টাইল নল করতে চাইছেন তার স্কিল আপনার মত নাও হতে পারে । তাই , এটা একটা বোকামী । রাইডিং এর মাধ্যমে আপনার নিজের স্কিল ডেভলপ করুন । সেটাই সবথেকে ভাল ।


এ্যাপিয়ারেন্স:
রাইডারের এপিয়ারেন্স রাইডিং এর ক্ষেত্রে সবসময় ভাল হওয়া উচিৎ । আপনার উচিৎ রাইডিং এর সময় একটা ভাল বুট পড়ে রাইড করা । এটা আপনার গিয়ার শিফটিং এর সময় সহায়তা করা সহ যেকোন দূর্ঘটনা থেকে আপনার পা কে সুরক্ষা দেয় । রাইডিং এর সময় ইন্জিনের তাপে আপনার পা পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে । একটা ভাল রাইডিং বুট আপনাকে এটা থেকেও নিরাপত্তা দিতে পারে । আর আপনার জুতার সোল সবসময় একটু অমসৃণ হওয়া উচিৎ , কারণ , সোল নরম ও মসৃন হলে আপনার পা স্লিপ করতে পারে ।

বাইকারের ড্রেস:
খুব টাইট বা ঢিলাঢোলা ড্রেসআপ কোন রাইডারের জন্যই ভাল না । কারণ এটা আপনাকে ভাল নিরাপত্তা দিতে পারে না । আপনার ড্রেস হিসেবে লেদার একটা প্রথম চয়েজ হতে পারে কারণ আপনি বাইক থেকে পড়ে গেলে এটা আপনার বডিকে ইনজুরি থেকে রক্ষা করে । আর এমন ড্রেস চয়েজ করবেন না যেটা বাতাসের বাধা সৃষ্টি করতে পারে । কারণ , হাই স্পীডে বাতাসেরবাধার কারণে অনেক সময় মারাত্মক সমস্যা হয়ে থাকে । ‌

আইন সম্পর্কে জানুন:
একজন রাইডারের জন্য ফাইনাল টিপস হল রাইডারের উচিৎ একটা মোটরসাইকেল সেফটি কোর্স করা । মোটরসাইকেলের লাইসেন্স করার সময় আপনাকে এই কোর্সের জন্য পরীক্ষা করে নেওয়া হয় । এই সময় আপনি আপনার দেশের ট্রাফিক সেফটি আইন সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং কীভাবে ইমারজেন্সী সিচুয়েশনে বাইক কন্ট্রোল করতে হয় সেই বিষয়েও জানতে পারবেন । এই সময় ইনস্ট্রাকটর আপনাকে মোটরসাইকেল মেইনটেইন্স এবং আনসেফ সিচুয়েশন কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় সে বিষয়েও টিপস দিবে । মোটামোটি আপনি এই সময় মোটরসাইকেলের সেফটি বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
by Jahidmonir

আপনার বাইক পরিষ্কার করুন ঘরে বসেই, বাইক পরিষ্কারের সম্পূর্ণ গাইডলাইন

আমরা বাংলাদেশে এমন একটা পরিবেশে বাস করি যে যার চারিদিকে শুধু প্রচুর ধূলাবালি আর কাদামাটি। এগুলো শুধুমাত্র বাইকের ক্ষেত্রে না , যেকোন মানুষ ও প্রাণীর পক্ষেই ক্ষতিকর। তাই , বাইক ভাল রাখার জন্য আমাদের বাইককে রেগুলার পরিষ্কার করা উচিৎ। না হলে বাইকের বিভিন্ন পার্টসে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ঢাকা শহরে যে কেউ বাইক রাইড করলে তাকে প্রতিদিনই বাইক পরিষ্কার করা উচিৎ ।
ধূলাবালি সাধারণত বাতাসে ভেসে বেড়ায় , যেকারণে বাইক রাইড করলেই অটোমেটিক কিছু ধুলাবালি বাইকের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়ে । এই ময়লা আবর্জনা ও ধূলাবালি হল বাইকের সব পার্টস সহ বিশেষ করে ইন্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । তা্ই , আজ আমরা বাইক কীভাবে ভালভাবে পরিষ্কার করা যায় এবং এটা সুস্থ রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব ।

অনেকে এটাকে একটা কঠিন কাজ হিসেবে দেখেন এবং এটা রেগুলার করতে চান না । এই টাইপের মানুষদের জন্যও আজ চমৎকার একটা সমাধান রয়েছে । নীচের প্রসিডিউরগুলো ফলো করলে আপনার বাইক আপনি কম সময়ের ভেতর খুব সুন্দরভাবে পরিষ্কার করতে পারবেন । এইব এই প্রসিডিউর গুলো কিছু প্রফেশনাল রেস টিমের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ।

এই কাজের জন্য আমাদের প্রথমেই কী কী দরকার হবে সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে । নীচে এই কাজে ব্যাবহৃত সব ইকুইপমেন্ট সম্পর্কে বলা হল :

শ্যাম্পুর পানি রাখার জন্য একটা বালতি
শ্যাম্পু অথবা কোন ভাল ক্লিনার
গ্লোভস
বাগ এবং কার্বণ জাতীয় পদার্থ রিমুভার
ইন্জিন ক্লিনার
একটা টুথব্রাশ
চাকা পরিষ্কারের জন্য একটা ব্রাশ
হুইল ক্লিনার
১০০% কটন স্পঞ্জ
বেশ নরম কটনের তোয়ালে বা কাপড় ।
মোছার জন্য ভাল কোন কাপড় ।


এখন আমরা বাইক পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সম্পর্কে ভালভাবে জেনে গেছি । এবার কাজ শুরু করা যাক । আমরা বাইক পানি ও শ্যাম্পু দুটো দ্বারাই পরিষ্কার করতে পারি । এটা আপনার চয়েজ । আপনি অবশ্য পানি ও শ্যাম্পু একসাথে মিক্স করে নিতে পারেন । শুধু পানি নিলে সেটা হালকা গরম পানি হতে হবে ।
আমাদের সবসময়ই স্পঞ্জ টা রেডি রাখতে হবে এবং এটা এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে করে এটা মাটির সংস্পর্শে না আসে । বাইকের বিভিন্ন স্থানে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে বাগ এবং টার রিমুভার ইউজ করা উচিৎ । বাইক পরিষ্কার করার সময় এটা খেয়াল রাখুন যে আপনি স্পঞ্জটা খুব জোরে বাইকের কোন পার্টসের উপর চেপে ধরছেন না । এবং একই স্পঞ্জ ২ জায়গায় ইউজ না করাই ভাল ।বাইকে মুলত ২ ধরণের পার্টস থাকে । হার্ড পার্টস এবং সফট পার্টস । তাই , ২ ধরণের পার্টস ২ ভাবে পরিষ্কার করা উচিৎ । হার্ড পার্টস গুলো ক্ষেত্রে ডিগ্রেসর ইউজ করা যায় এবং এটা ইউজ করার পর সেই পার্টসগুলো জোরে ঘষা দেওয়া উচিৎ না কারণ এটা করলে বাইকের পেইন্ট উঠে যেতে পারে ।
আর বা্ইক পরিষ্কার করার জন্য মাইক্রোফাইবারের কোন প্রয়োজন পড়ে না কারণ একটুকরা নরম ছেড়া কাপড়ই এই কাজটা ভালভাবে করতে পারে । এক্সহাউস্ট পাইপের উপর থেকে বুটের দাগ দূর করার জন্য আপনাকে ক্লিনার ইউজ করা উচিৎ কারণ এই পাইপের উপর বুটের দাগ আসলেই বাজে দেখায় । আর বাইকের যে পার্টসগুলো হাত দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব না , অর্থাৎ যে পর্যন্ত হাত পৌছায় না সেখানে পরিষ্কার করার জন্য টুথব্রাশ ইউজ করা হয় । বাইকের বিভিন্ন পার্টস থেকে তেলতেলে ভাব দূর করার জন্য আপনার ডিগ্রেসার ইউজ করাই উচিৎ । আর বাইকের চাকা পরিষ্কার করাই হল সবথেকে কঠিন কাজ । এই কাজের জন্য কোন লম্বা টুথব্রাশ দরকার হয় । এবং এই কাজের জন্য হুইল ক্লিনার ইউজ করা যায় । বাইকের পেইন্টেড পার্টসগুলো পরিষ্কার করার জন্য আপনার দরকার এক বালতি গরম সাবান মিশ্রিত পানি । এবং এই পার্টসগুলো পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে স্পঞ্জ বা খুবই নরম কাপড় ইউজ করা উচিৎ ।
সাবান পানি বাইকের পেইন্টেড পার্টসগুলোর উপর দাগ ফেলতে পারে তাই আমরা ওই পার্টসগুলো পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে নিব । এববং এই কাজের জন্য ১০০% কটন স্পঞ্জ ইউজ করতেই হবে । না হলে বাইকের বিভিন্ন স্থান থেকে রং উঠে যেতে পারে । এবং বাইকের বিভিন্ন পার্টস থেকে সাবান পানি দূর করার জন্য আমাদের আরেক বালতি গরম পানি লাগবে । এইসব কাজের আগে এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার বাইকটি একটি ছায়াঢাকা কোন স্থানে আছে । আর বাইকটিকে শুকানের জন্য আমরা অবশ্যই নরম কোন কাপড় ইউজ করব ।

এটাই হল আমার জানামতে বাইক পরিষ্কার করার সব থেকে সহজ একটা পদ্ধতি । এর থেকে কম সময়সাপেক্ষ এবং সহজ পদ্ধতি আমার জানা নেই । আমার মনে হয় আপনাদের কাছেও বিষয়টা খুবই সহজ লাগবে এবং এটা বেশী সময় নিবে না । মোটরবাইক সাধারণত আমাদের কাছে ভালবাসার একটা জিনিস । তাই এটার যত্ন নিতে একটু সময় নিন এবং হালকা পরিশ্রম করুন । আমি আশা করি যে আমার এই পদ্ধতিটা আপনাদের কাজকে অনেক সহজ করে দিবে । আর নিজের বাইকের পরিচর্যা নিজের হাতে করা এবং বাইক রাইড করা একটা অন্যরকম মজার ব্যাপার

বাংলাদেশে মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়মাবলী

বাংলাদেশে মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়মাবলী
আশাকরি  আপনাদের মটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য সহায়ক হবে।
ধাপ ০১:
মটর সাইকেল সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্র যে কোম্পানি থেকে মটর সাইকেল টি ক্রয় করেছেন সেই কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করুন।
যেমন:
০১. রেজিষ্ট্রেশন ফরম
০২. ক্যাশ ম্যামো
০৩. গেট পাশ এর স্লিপ
০৪. মুসক ১১ (ক) চালান পত্র (যে ডিলার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে )
০৫ মুসক ১১ চালান পত্র (যে ইম্পোর্টার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে ) ১০. ৫০ টাকার ষ্টাম্প এ একজন উকিল কতৃক সত্যায়িত।
০৬. ট্রেজারী চালান সোনালী ব্যাংক (ট্যাক্স অফিসার কতৃক সত্যায়িত)।
(যে ডিলার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে)
০৭. ট্রেজারী চালান সোনালী ব্যাংক
(যে ইম্পোর্টার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে )
০৮. আমদানী সংক্রান্ত কাগজ পত্র (বি,আর,টি,এ কতৃক অনুমদিত)
০৯. কাষ্টমস সংক্রান্ত কাগজ পত্র
(এই ষ্টাম্প টি – বি,আর,টি,এ এর সামনের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হবে )
সকল কাগজ পত্রের সাথে ইঞ্জিন নম্বর ও চেশিস নম্বর মিলিয়ে নিবেন।
ধাপ ০২:
বি,আর,টি,এ কতৃক অনুমদিত ব্যাংক এ টাকা জমা দিন । (এটি ১০০ সিসি এর উপরের মটর সাইকেলের জন্য প্রযোজ্য)
(০১). নতুন রেজিষ্ট্রেশন ইস্যু এর জন্য ৭,২০৫ টাকা (সাত হাজার দুইশত পাঁচ টাকা)।
(০২). ট্যাক্স টোকেন ইস্যু এর জন্য ১১,৫০০টাকা (এগার হাজার পাঁচশত টাকা)।
(০৩). ডিজিটাল রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট ইস্যু এর জন্য ৫৫৫ টাকা (পাঁচশত পঞ্চান্ন টাকা) সর্ব মোট= ১৯২৬০ টাকা
ধাপ ০৩:
উপরোক্ত সকল কাগজ পত্র নিয়ে বি,আর,টি,এ অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। সকল কাগজ পত্র ঠিক থাকলে একজন মোটরযান পরিদর্শক আপনার বাইক টি সরজমিনে পরিদর্শন করবে এবং এর পর তিনি স্বাক্ষর করবেন। তার স্বাক্ষরীত কাগজ অফিস সেকশনে জমা দিতে হবে।
ধাপ ০৪:
জমা দেওয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বি,আর,টি,এ অফিসে যোগাযোগ করলে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার , ট্যাক্স টেকেন, একোনলেজমেন্ট স্লিপ পেয়ে যাবেন।
ধাপ ০৫:
এরপর ডিজিটাল ব্লু- বুক এর জন্য ডিজিটাল রেজিষ্ট্রেশন সেকশন এ যোগাযোগ করুন। এই সময় টাকা জমা দেওয়ার রশিদ, রজিষ্ট্রেশন নাম্বার , ট্যাক্স টেকেন, একোনলেজমেন্ট স্লিপ, জাতীয় পরিচয় পত্র সংগে রাখবেন। সকল কাগজ পত্র ঠিক থাকলে ঐ দিন ই আপনার ছবি, আংগুলে ছাপ, স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
ধাপ ০৬:
এরপর আপনার ডিজিটাল ব্লু-বুক (স্মার্ট কার্ড) ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট তৈরী হয়ে গেলে আপনার মোবাইলে ডেলিভারী তারিখ সহ এস,এম,এস আসবে । তারিখ অনুযায়ী আপনি বি,আর,টি,এ অফিসে যোগাযোগ করলে আপনি ডিজিটাল ব্লু-বুক (স্মার্ট কার্ড) ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল নম্বর প্লেট সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আপনার মোবাইল দিয়ে NP লিখে এস,এম,এস করুন ৬৯৬৯ নাম্বারে (নাম্বার টি অবশ্যই আপনি যে নাম্বারটি রেজিষ্ট্রেশন ফরমে উল্লেখ করেছেন সেই নাম্বার হতে হবে) অথবা কল করুন ০১৭৫৫৬১৫৯২৫ নাম্বারে।
নিজের গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নিজেই করুন অযথা দালালের নিকট অর্থ অপচয় করবেন না। অনেকে বলে যে নিজে নিজে রেজিষ্ট্রেশন করা অনেক ঝামেলার এই কথাটা একেবারেই ঠিক নয় আর যতটুকু ঝামেলায় আপনি পরবেন তার চেয়ে অনেক বেশী শিখবেন আশা করি। সাবধানে মটর সাইকেল চালান মনে রাখবেন আপনার অসাবধানতা আপনার পরিবারের জন্য কষ্টের কারন হতে পারে। লেখাতে কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সকল কে ।

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন? খরচ,পদ্ধতি

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন? খরচ,পদ্ধতি

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান ?
আপনি কি জানেন, লাইসেন্স দেওয়ার আগে
বিআরটিএ তিনস্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স
প্রদান করে ?
“নিরাপদ সড়কের জন্য চালকের
প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স খুবই প্রয়োজনীয়।
এতে চালকের মতো পথচারীরও নিরাপত্তা বাড়বে।”

প্রকারভেদ অনুযায়ী লাইসেন্স ৫ ধরনের । যেমন-
• শিক্ষানবীশ লাইসেন্স
• পেশাদার লাইসেন্স
• অপেশাদার লাইসেন্স
• পি.এস. ভি লাইসেন্স
• ইনস্ট্রাকটর লাইসেন্স
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ১৮
বছর এবং পেশাদার ২০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি আবেদন
করতে পারবেন। কমপক্ষে অষ্টম শ্রেনী বা সমমান
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

শিক্ষানবিস ফি :
শুধু মোটর বাইকের জন্য ৩৪৫ টাকা(১৫% ভ্যাটসহ)।
দু’টি (গাড়ি ও মোটরসাইকেল) যানের জন্য ৫১৮
টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
লার্নার নবায়ন ফি ৮৭ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
শিক্ষানবিস থেকে পূর্ণমেয়াদের লাইসেন্স
পাওয়ার জন্য নির্ধারিত পরীক্ষা দিতে হয়।
এরজন্যও রয়েছে আলাদা ফি।
অপেশাদার লাইসেন্স ফি : ২,৩০০ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
পেশাদার লাইসেন্স ফি : ১,৪৩৮ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।

#শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে যেসব
কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে :
১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন ।
২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট ।
৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪. নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
৫. সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট
সাইজ ছবি।
তিনটি পরীক্ষায় পাশ করার পর নির্দিষ্ট ফর্মে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে স্মার্টকার্ড
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
নির্ধারিত দিনে গ্রাহকের (ডিজিটাল ছবি,
ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) দেওয়ার জন্য
উপস্থিত হতে হয় ।
এসব প্রক্রিয়া শেষে বিআরটিএ
স্মার্ট কার্ড ইস্য করবে ।
[ প্রয়োজনীয় ফরমগুলো বি আর টি এর তথ্য ও অনুসন্ধান বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন ]
আজ এ পর্যন্তই..
ভালো থাকুক আপনার বাইক,
ধন্যবাদ।।

মোটরসাইকেলের কিছু টেকনিক্যাল শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্য যেগুলো আপনার জানা জরুরী


আসলে আপনারা যারা বাইক সম্পার্কে আগ্রহী তারা বিভিন্ন সাইটে বা ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বাইকের বিভিন্ন রিভিউ দেখে থাকবেন । এইসব রিভিউতে অনেক শব্দ ব্যাবহার করা হয় যেগুলোর অনেক শব্দই হয়ত আপনি জানেন না বা এর অর্থ ভালভাবে বুঝতে পারে না । আপনি যদি বাইকের এইসব টেকনিক্যাল শব্দগুলো অর্ না বুঝতে পারেন তাহলে আপনাকে একজন ভুল রাইডার হিসেবে ধরা যায় না । কারণ , এইগুলে এমন সব শব্দ যেগুলোর অর্থ না জানলে আপনি আপনার বাইক সম্পর্কে ভালভাবে বুঝতে পারবেন না ।
অবশ্য এইসব শব্দার্থ নিয়ে লিখতে গেলে একটা বড়সড় বই ও লিখে ফেলা যায় । কিন্তু আজ আমি আপনাদের সামনে আমার নিজের বাষায় এবং সহজ করে এই শব্দগুলোর অর্থ তুলে ধরব । এই শব্দগুলো বাইকের স্পেসিফিকেশনের সাথে অত্যান্ত গভীরভাবে জড়িত । তো আসুন , আজ আমরা বাইকের কিছু অপরিচিত টেকনিক্যাল শব্দের সাথে পরিচিত হই ।

স্ট্রোক নম্বর :
এটা ইন্জিনের পুরো কাজকর্মের সাথে জড়িত একটা শব্দ । আমরা এখানে ৪-স্ট্রোক ইন্জিন সম্পর্কে আলোচনা করব । তবে কখনও ফোর স্ট্রোক ইনিজনের সাথে ৪ সিলিন্ডার ইন্জিনের কোন মিল খুজতে যাবেন না । কারণ জিনিস ২ টা সম্পূর্ণ আলাদা । এখন আসুন আমরা দেখে নিই একটা ৪-স্ট্রোক ইন্জিন কীভাবে কাজ করে ।
স্ট্রোক ১: ইনটেক ভালব খুল যায় ও পিষ্টন নীচের দিকে নেমে যায় । এই সময় জ্বালানী ও বায়ুর মিশ্যণ ইন্জিনের দহনকক্ষে প্রবেশ করে ।
স্ট্রোক ২ : সব ভালব বন্ধ হয়ে যায় এবং পিষ্ট নিচের দিকে নেমে গিয়ে এই জ্বালানী মিশ্রণকে প্রচণ্ডভাবে চাপ দেয় ।
স্ট্রোক ৩ : সব ভালব বন্ধ থাকে এবং পিষ্টন নীচের দিকে প্রেশারে থাকে । এই সময় স্পার্ক প্লাগ থেকে জ্বালানী মিশ্রণে অগ্নিসংযোগ করা হয় ।
স্ট্রোক ৪ : জ্বালানী মিশ্রেণ প্রচন্ড বিষ্ফোরণের ফলে পিষ্টণ উপরের দিকে উঠে যায় এবং এইসময় এক্সহাউস্ট ভালবগুলো শুধু খোলা থাকে ।
এরপর আবার প্রথম থেকে সব প্রসেস শুরু হয় ।

কুলিং :
কুলিং হল ইন্জিনকে ঠান্ডা রাখার একটা প্রক্রিয়া । যেকোন ইন্জিন সাধারণত গরম হয় । তাই সব যানবাহনের ইন্জিনে কুলিং সিস্টেম থাকে । বাইক মূলত ২ধরণের কুলিং সিস্টেম রয়েছে । এয়ার কুলিং ও লিকুইড কুলিং । এয়ার কুলিং হল বাইক চলার সময় যে বাতাস আসে সেটা বাইকের ইন্জিনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করে বাইকের ইন্জিনকে ঠান্ডা রাখা । আর লিকুইড কুলিং হল বাইকের ইন্জিনের ভেতর একপ্রকার লুব্রিকেন্ট দ্বারা ইন্জিনের উৎপন্ন সব তাপ বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া । অবশ্য লিকুইড কুলিং এ লিকুইড ও এয়ার কুলিং মেথড একসাথে ব্যাবহার করা হয় ।

সিলিন্ডার নম্বর :
বাইকে সাধারণত একটা থেকে ৬ টা সিলিন্ডার থাকতে পারে । সাধারণত ছোট বাইকগুলোতে ১ সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ ইন্জিন ব্যাবহার করা হয় । আর বড় বাইক গুলোতে ডবল সিলিন্ডারের ইন্জিন ব্যাবহার করা হয় । এই ডবল সিলিন্ডারের ইন্জিনগুলো আবার বিভিন্ন নামে বিশেষায়িত । যেমন :
V টুইন ইন্জিন : এই টাইপের ইন্জিনে ২ টা সিলিন্ডার V এর মত করে পাশাপাশি বসানো থাকে ।
প্যারালাল টুইন : এই ধরণের ইন্জিনগুলোতে ২ টা সিলিন্ডার পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে থাকে ।
ফ্লাট টুইন : এই ধরণের ইন্জিনে ২ টা সিলিন্ডার পরস্পরের বিপরতি দিকে বসানো থাকে যেমনটা থাকে বিএমডব্লিউ বক্সারে ।
এছাড়াও অনেক ইন্জিন আছে যেগুলোতে ২ টা বেশী সিলিন্ডার থাকে । যেমন এগুলোকে বলা হয় ট্রিপল , ইনলাইন ফোর , V-4 ইন্জিন , V-6 ইন্জিন এবং ফ্লাট-6 ইন্জিন ।

ডিসপ্লেসমেন্ট :
একটা ইন্জিনের পিষ্টন ইন্জিনের একদম শেষ প্রান্ত থেকে উপরের প্রন্ত পর্যন্ত যে পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে সেই স্থানের আয়তন কে বলা হয় ডিসপ্লেসমেন্ট এবং এটা কিউবিক সেন্টিমিটার অথবা কিউবিক ইন্চিতে সাধারণত লেখা হয় । আমরা সাধারণত বাংলাদেশে সিসি বা কিউবিক সোন্টমিটারেই ডিসপ্লেসমেন্ট পরিমাপ করে থাকি।

বোর এবং স্ট্রোক :
একটা ইন্জিনের সিলিন্ডারের ভেতর পিষ্টনের ওঠানামা করা জন্য যেটুকু ব্যাস থাকে তাকে বোর বলা হয় । মোট কথা , কোন ইন্জিনের সিলিন্ডারের ব্যাসকেউ বোর বলে । আর সিলিন্ডারের ভেতর যে উচ্চতাটুকু পিষ্টন ওঠানামা করতে পারে তাকে স্ট্রোক বলে।

ফুয়েল সিস্টেম :
একটা বাইকের ইন্জিনে যেভাবে জ্বালানী মিশ্রণের প্রবাহ কন্ট্রোল করা হয় সেই সিস্টেমকে বাইকের ইন্জিনের ফুয়েল সিস্টেম বলে । এটা সাধারণত ২ রকম হয় । কার্বুরেটর ও ফুয়েল ইনজেকশন । ইন্জিনের দহনকক্ষে জ্বালানী মিশ্রণ ঢোকার সময় এটাকে কন্ট্রোল করার প্রয়োজন হয় । যেসব ইন্জিনের ফুয়েল ডেলিভারী সিস্টেম কার্বুরেটর সেখানে কার্বরেটর এর নাম ও সংখ্যা দ্বারা স্পেসিফিকেশন দেখানো হয় । আর ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম , ডিজিটাল ফুয়েল ইনজেকশন , প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন , ইলেকট্রনিক সিকুয়েশিয়াল পোর্ট ফুয়েল ইনজেকশন প্রভৃতি নামে ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেমকে বলা হয়।

কমপ্রেশন রেশিও :
ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । একটা বাইকের ভালব পিষ্টন যখন নীচের দিকে সিলিন্ডারের একদম নিচে থাকে তখন ধরুণ আপনাকে সিলিন্ডাটি পূর্ণ করেত ১০০ সিসি জ্বালানী লাগতে পারে আবার যখন পিষ্টনটি একদম উপরে ওঠানো থাকে তখন আপনাকে সিলিন্ডারটি ফুল করতে ১০ সিসি জ্বালানী লাগতে পারে । এই ১০০: ১০ বা ১০: ১ ই হল বাইকের ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও । অর্থাৎ পিষ্টনের ২ টা অবস্থানের সময় যে পরিমাণ জ্বালানী সিলিন্ডার ফুল করতে প্রয়োজন হয় সেটাই ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও । এই কম্প্রে্শন রেশিও যত ভাল হয় , বাইকের পারফরমেন্স ততই ভাল হয় অবশ্য জ্বালানীও একটু বেশী লাগে।

ম্যাক্সিমাম টর্ক :
কোন বাইকের ইন্জিন প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ পরিমাণ ঘূর্ণণের জন্য যে পরিমাণ ঘূর্ণণ শক্তি ইন্জিন থেকে সরবরাহ করতে হয় তাকেই বাইকের ইন্জিনের ম্যাক্সিমাম টর্ক বলে । এটাকে revolutions per minute (RPM) ও বলা হয় । সহজ কথায় বলতে গেলে আপনি বাইকের এক্সেলেরেশনের জন্য থ্রোটল ধরণে বাইকটি যে পরিমাণ এক্সেলেরেট করতে পারে তাকেই বাইকের ম্যাক্সিমাম টর্ক বলা হয়।

ম্যাক্সিমাম পাওয়ার :
কোন বাইকের ইন্জিন দ্বারা কোন নির্দিষ্ট স্পীডে যে পরিমাণ হর্সপাওয়ার সরবরাহ করা হয় তাকেই বাইকের ম্যাক্সিমাম হর্সপাওয়ার বলে । এটা উপর বাইকের পারফরমেন্স অনেকাংশে নির্ভর করে । এটার জন্য একটা সূত্র আছে যেটা হল :
Horsepower = Torque × RPM/5252
অতএব আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বাইকের হর্সপাওয়ার বাইকের ম্যাক্সিমাম টর্কের সাথেও জড়িত ।
আজ এই পর্যন্তই । আবারও কিছুদিন পরে বাইকের অন্য কোন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে । সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন