BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

Piles রুগের হুমিও চিকিৎসা

Piles বা অর্শ রোগ থেকে মুক্তি
অর্শ মলদ্বারের একটি জটিল রোগ। এ রোগে মলদ্বারের বাইরে বা ভেতরে, একপাশে বা চারপাশে, একটি বা একাধিক, গোলাকৃতি বা সুচাল গুটিকা দেখা দেয়। এ গুটিকাগুলোকে আমরা আঞ্চলিক ভাষায় 'বলি' বা 'গেজ' বলি। পায়খানা করার সময় এ বলিগুলো থেকে অভ্যন্তরীণ সমস্যার অনুপাতে কারো অধিক পরিমাণে, কারো স্বল্প পরিমাণে রক্ত যায়। আবার অনেকের রক্ত যায়ই না। অনেকের ব্যাথা থাকে অনেকের থাকেনা।

অর্শের কারণ :-

ক. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।
খ. শরীরের অতিরিক্ত ওজন।
গ. মহিলাদের গর্ভাবস্থায় জরায়ুর ওপর চাপ পড়লে।
ঙ. লিভার সিরোসিস।
চ. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া.
ছ. শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া।।
জ. পরিবারে কারও পাইলস থাকা মানে বংশগত।
ঝ. ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি কারনে হয়ে থাকে। তাছাড়া যাদের প্রায় চিকেন ফ্রাই, ড্রাই, ফাস্টফুড, সব ধরনের কাবাব যেমন- বাটি কাবাব, টিক্কা কাবাব, গ্রিল কাবাব, বিবিধ খাবারের অভ্যাস আছে।

লক্ষণসমূহ :-

• পায়খানা করার সময় অত্যধিক বা অল্প পরিমাণে রক্ত যেতে পারে।
• গুহ্য দ্বারে জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যায়।
• টাটানি ও যন্ত্রণা।
• কাঁটাবিদ্ধ অনুভূতি।
• মাথা ধরা ও মাথা ভার বোধ।
• উরুদেশ, বক্ষ, নাভির চারপাশে ব্যথা ও মলদ্বারে ভার বোধ। • কোমর ধরা ও কোষ্ঠবদ্ধতা।

অর্শ রোগে আক্রান্তদের করণীয় :-

১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা।
২. বেশী পরিমাণে শাকসবজী ও অন্যান্য
আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পানি (প্রতিদিন ১২-১৮ গ্লাস) পান করা
৩. সহনীয় মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা
৪. প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো
৫. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
৬. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা
৭. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা
৮. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন চিকিৎসা গ্রহণ না করা।
৯. মল ত্যাগে বেশী চাপ না দেয়া
১০. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া।
১১. চিকিৎসকের পরামর্শমতো বিশ্রাম নেয়া।
১৩. পেটে হজম হতে চায় না এমন খাদ্য বর্জন করা।
১৪. হাতুরে ডাক্তার বা কবিরাজ দিয়েচিকিৎসা না করা।
১৫. অধিক মশলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করা।

কি খাব?

শাকসবজি, ফলমূল, সব ধরণের ডাল, সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি খাবারের কিছুটা অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তাহলে কিছুটা প্রতিকার পেতে পারি। আর যাদের অর্শ হয়ে গেছে তারা এই খাবারগুলি অবশ্যই খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

কি খাবনা-

গরু, খাসি ও অন্যান্য চর্বিযুক্ত খাবার, বিশেষ করে শুটকির ভুনা, চা, কফি, চীজ, মাখন, চকোলেট, আইসক্রীম, কোমল।

পানীয়, সব ধরণের ভাজা খাবার যেমনঃ

পরোটা, লুচি, পুরি, পিঁয়াজি, সিঙ্গারা, চিপস ইত্যাদি এই খাবার গুলি বর্জন করতে হবে। চিকেন ফ্রাই, ড্রাই, ফাস্টফুড, সব ধরনের কাবাব যেমন- বাটি কাবাব, টিক্কা কাবাব, গ্রিল কাবাব, অতিরিক্ত ঝাল, ভুনা খাবার, কাঁচা লবণ, দেশী বিদেশী হরেক রকমের বাহারি নামের অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলি বর্জন করতে হবে।

অর্শ বা পাইলস রোগের চিকিৎসাঃ

এই অর্শ রোগীদের নিয়ে আছে অনেক কবিরাজি, হেকিমি, তাবিজ, মানে চিকিৎসা নামে অনেক অপচিকিৎসা। এই বিষয়ে একটু সচেতন হয়ে আমাদের চলতে হবে। বিজ্ঞান ও বাস্তব সম্মত চিকিৎসা বিধান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় রয়েছে এর সুন্দর ও স্বাস্থ্য সম্মত চিকিৎসা। যা কোন অপারেশনের প্রয়োজন হয়না। আমার চিকিৎসা জীবনে দেখেছি অনেকেই অপারেশন করেছে কিন্তু কিছুদিন পর আবার দেখা দিয়েছে। আবার অনেকের দেখেছি জটিল আকার ধারণ করতে। তাই বলব একটু চোখ কান খোলা রেখে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন সুস্থ থাকবেন।

মনে ররাখবেন, অর্শ এমন একটি রোগ যা বারবার অপারেশন করা যায়না। কিছু অভ্যাস চেঞ্জ ও কিছু নিয়ম পালন করলে অবশ্যই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

ক্রেডিটঃ সাদিক হোমিও হল, http://sadikhomoeohall.blogspot.in/2015/07/piles.html

6 মন্তব্য(গুলি):

what can i do? how can i get treatment --
msk.bddl@gmail.com



where is your medicine shop...I want to contact.01719248382

কিভাবে এই সমস্যা দূর করবো???
দয়া করে জানাবেন

plz help me as soon as possible. I want to treatment from here. plz call me 01725185296

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন