BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

বুধবার, ২০ মে, ২০১৫

Vehicle Registration & Ownership Transfer bd

মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া:

সেবাগ্রহনকারী সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তার মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেন। অত:পর বিআরটিএ অফিস কর্তৃক তার আবেদনপত্র ও সংযুক্ত দালিলাদি যাচাই-বাছাই করে সঠিক পাওয়া গেলে গ্রাহককে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি জমা প্রদান করতে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান করা হবে এবং ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শনের বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে। গাড়িটি পরিদর্শন করার পর ডাটা এন্টি করে মোটরযান পরিদর্শকের অনুমোদনের পর সহকারী পরিচালক(ইঞ্জি:) কর্তৃক রেজিস্টেশনের অনুমোদন প্রদান করা হয় এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর করত: তা গ্রাহককে প্রদান করা হয়। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের জন্য গ্রহককে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থত হতে হবে।

প্রয়োজনীয় কগজপত্র:
১। আবেদনপত্র (‘এইচ’-ফরম) মালিক ও আমদানীকারক/ডিলার কর্তৃক সত্যায়িত যথাযথ পূরণ ও স্বাক্ষরকৃত;
২। যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে উভয়ের স্বাক্ষর এবং কোম্পানীর ক্ষেত্রে কোম্পানীর লেটার হেড প্যাডে স্বাক্ষর ও সীলমোহর;
৩। ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে হায়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ডকুমেন্ট;
৪। আমদানী সংক্রান্ত ইনভয়েজের মুল কপি;
৫। বিল অব লেডিং এর সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত কপি;
৬। ইমপোর্ট অনুমতি/এলসিএ কপি (ব্যাংক কর্তৃক সত্যায়িত);
৭। সেলস সাটিফিকেট;
৮। সেল ইন্টিমেশন;
৯। ডেলিভারী চালান;
১০। প্যাকিং লিস্ট ইত্যাদি;
১১। বিদেশী নাগরিকের নামে রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলী হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার কপি;
১২। মুসক-১১(ক)/ATV/ ভ্যাট পরিশোদের চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
১৩। বডি ও আসন ব্যবস্থার স্পেসিফিকেশন প্রদর্শণকৃত ড্রয়িং (বাস, ট্রাক, হিউম্যান হলার, ডেলিভারী ভ্যান, অটোটেম্পু ইত্যাদি মোটরযানের ক্ষেত্রে);
১৪। সিকেডি(CKD) মোটরযানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ টাইপ অনুমোদন ও অনুমোদিত সংযোজনী তালিকা;
১৫। TIN সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
১৬। বডি ভ্যাট চালান মূসক-১১ ও পরিশোধ রশিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
১৭। ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট/টেলিফোন বিল/বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির সত্যায়িত ফটোকপি এবং মালিক প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি;
১৮। প্রয়োজনীয় ফি প্রদানের রশিদ;
১৯। মোটরযান পরিদর্শক কর্তৃক গাড়িটির পরিদর্শন প্রতিবেদন;
রি-কন্ডিশন্ড মোটরযানের ক্ষেত্রে উপরোক্ত কাগজপত্র ছাড়াও নিম্নলিখিত কাগজ দাখিল করতে হবে:
১। ফরম ‘টিও’ (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত), ‘টিটিও’ ও বিক্রি রসিদ(আমাদনীকারকের স্বাক্ষরসহ);
২। (ক) ডি-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি (ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস ও রুটপারমিটসহ) (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে);
(খ) ডি-রেজিস্ট্রেশনের ইংরেজী অনুবাদের সত্যায়িত কপি (সার্টিফিকেট অব ক্যানসিলেশন এর সত্যায়িত কপি)।
মালিকানা বদলীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

ক্রেতার করণীয়ঃ
১। ফরম ‘টিও’ (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত), ‘টিটিও’ -তে নমুনা স্বাক্ষর।
২। প্রয়োজনীয় ফি প্রদানের রশিদ;
৩। ক্রেতার TIN সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি (ভাড়ায় চালীত নহে এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে)
৪। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ / ব্লুবুক (উভয় কপি);
৫। ছবিসহ ক্রয় সংক্রান্ত হলফনামা;
৬। সংশ্লিষ্ট নমুনা স্বাক্ষর ফর্মে ত্রেতার নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পর্ণ ঠিকানা ও 3 কপি স্ট্যাম্প আকারের রঙ্গীন ফটোসহ ফরমের অন্যান্য সকল তথ্যাদি প্রদান (কম্পিউটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে), তবে ক্রেতা কোন প্রতিষ্ঠান হলে, উপরে বর্ণিত কাগজপত্রসহ (হলফনামা ব্যতিত) অফিসিয়াল প্যাডে চিঠি।

বিক্রেতার করণীয়ঃ
১। ফরম ‘টিটিও’ এবং বিক্রয় রশিদে স্বাক্ষর (স্বাক্ষীল স্বাক্ষর ও রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ);
২। বিক্রেতার ছবিসহ বিক্রয় হলফনামা;
৩। বিক্রেতা কোম্পানী হলে কোম্পানীর লেটার হেড প্যাডে ইন্টিমেশন, বোর্ড রেজিুলেশন ও অথরাইজেশন পত্র প্রদান;
৪। মোটরযানটি ব্যাংক অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ থাকলে দায়বদ্ধকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোদ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সংগ্রহ করে তা দাখিল করা;

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

Driving ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া :

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া :
ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ’র যে সার্কেলের আওতাভূক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংক এর তালিকা www.brta.gov.bd –তে পাওয়া যাবে) জমাদানের রশিদ।
৫। সদ¨ তোলা ০৩ কপি স্ট্যাম্প ও ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল
সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৪৩৮/-টাকা ও অপেশাদার- ২৩০০/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতিঃ
(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে, (২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
(৩) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
[বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ]
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া:
(ক) অপেশাদারঃ
গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২১৮৫/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২০০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
(খ) পেশাদারঃ
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৩২৩/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২০০/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।
ডুপ্লিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া :
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৬৩৩/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/app_for_learners_driving_license.pdf
ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/latest_dl_form.pdf
মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/brta_application_form_medical_report-1.pdf

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০১৫

ONLINE Earning By SEO

যারা আউটসোর্সিং এর সাথে জড়িত তারা নিশ্চয়ই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO শব্দটার সাথে পরিচিত। বিভিন্ন আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রতিদিনই এধরনের কাজ পাওয়া যায়। বাংলাদেশী অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা অত্যন্ত সফলতার সাথে এ কাজগুলো করছেন। তবে অনেকের কাছে বিষয়টি প্রায়সময়ই বোধগম্য হয় না, ফলে আগ্রহ থাকার পরও কিভাবে শুরু করতে হবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটি বিশাল ক্ষেত্র, এর সাথে অনেক ধরনের বিষয় জড়িত। এস.ই.ও কাজের খুটিনাটি নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজকে রয়েছে বিষয়টির উপর একটি সামগ্রিক পর্যালোচনা এবং এধরনের কাজের সাথে জড়িত একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের সাক্ষ্যাৎকার।

সার্চ ইঞ্জিন:
প্রথমেই দেখা যাক সার্চ ইঞ্জিন বলতে কি বুঝায়। সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন তথ্যকে তার নিজের ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করে রাখে এবং পরবর্তীতে ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুসারে ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো একধরনের রোবট প্রোগ্রামের সাহায্যে নিরলসভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য সংরক্ষণ করতে থাকে যা ইন্ডেক্সিং (Indexing) নামে পরিচিত। উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গুগল (৯১%), তার পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইয়াহু (৪%) এবং মাইক্রোসফটের বিং (৩%)।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) হচ্ছে এমন এক ধরনের পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা, যাতে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের সার্চ রেজাল্টে ওয়েবসাইটি অন্য সাইটকে পেছনে ফেলে সবার আগে প্রদর্শিত হতে পারে। এই ধরনের সার্চ রেজাল্টকে Organic বা Natural সার্চ রেজাল্ট বলা হয়। সার্চ রেজাল্টের প্রথম পৃষ্ঠায় দশটি ওয়েবসাইটের মধ্যে নিজের ওয়েবসাইটকে নিয়ে আসাই সবার লক্ষ্য থাকে। এর কারণ হিসেবে দেখা যায় ব্যবহারকারীরা সাধারণত শীর্ষ দশের মধ্যে তার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটকে না পেলে দ্বিতীয় পাতায় না গিয়ে অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করে পুনরায় সার্চ করেন। শীর্ষ দশে থাকার মানে হচ্ছে ওয়েবসাইটে বেশি সংখ্যক ভিজিটর পাওয়া আর বেশি সংখ্যক ভিজিটর মানে হচ্ছে বেশি আয় করা। এজন্য সবাই মরিয়া হয়ে নিজের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযুক্ত করে তুলেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সাথে অনেক বিষয় জড়িত। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ‌এক্ষেত্রে প্রথমেই সাইটের জন্য এক বা একাধিক নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড (Keyword) বা শব্দগুচ্ছ বাছাই করতে হয়। কিওয়ার্ড বাছাই করার পূর্বে সময় নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। এমন একটি কিওয়ার্ড বাছাই করতে হয় যাতে এর প্রতিদ্বন্ধী কম থাকে। ধরা যাক অনলাইনে গেম খেলার একটি সাইটের জন্য যদি “Play Online Game” কিওয়ার্ড বাছাই করা হয়, তাহলে এই শব্দ দিয়ে গুগলে সার্চ করলে ১.৬ কোটি সাইটের ফলাফল হাজির হবে। তাদের মধ্যে হাজারও জনপ্রিয় সাইট পাওয়া যাবে যেগুলোকে অতিক্রম করে প্রথম পাতায় আসাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কিওয়ার্ডের সাথে আরো কয়েকটি শব্দ যদি যোগ করা যায় তাহলে দেখা যাবে প্রতিদ্বন্ধী ওয়েবসাইটের সংখ্যা কমে আসবে। কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণার জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে গুগল এডওয়ার্ডের কিওয়ার্ড টুলটি - https://adwords.google.co.uk/select/KeywordToolExternal

অন পেজ অপটিমাইজেশন:
সাইটের জন্য সঠিক কিওয়ার্ড বাছাইয়ের পর এর বিভিন্ন অংশে এই কিওয়ার্ডটির প্রতিফলন থাকতে হয়। প্রথমত ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামে যদি বাছাইকৃত কিওয়ার্ডটি থাকে তাহলে সবচেয়ে ভাল। দ্বিতীয়ত HTML এর title ট্যাগে কিওয়ার্ড থাকা উচিত। সাইটের title ট্যাগটি ঠিকভাবে সাজানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই অংশটি একজন ব্যবহারকারী এবং সার্চ ইঞ্জিনকে সেই পৃষ্ঠায় কি তথ্য রয়েছে তা নির্দেশ করে। তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওয়েবসাইটের “description” meta ট্যাগ। এর মাধ্যমে ওই পৃষ্ঠার সারমর্ম লেখা হয়, যা সার্চ ইঞ্জিনকে সঠিকভাবে সেই পৃষ্ঠা ইন্ডেক্সিং এ সহায়তা করে। এই ধরনের পদ্ধতিকে On Page Optimization বলা হয়, যা নিয়ে ভবিষ্যতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

পেজরেংক:
PageRank বা সংক্ষেপে PR হচ্ছে গুগল কর্তৃক ব্যবহৃত এক ধরনের লিংক এনালাইসিস এলগরিদম, যা দ্বারা একটি ওয়েবসাইট কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারণ করা হয় এবং সার্চের ফলাফলে এটিকে প্রধান্য দেয়া হয়। গুগলের কাছে যে ওয়েবসাইট যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার পেজরেংক তত বেশি হয়ে থাকে এবং সার্চের ফলাফলে সেটি তত সামনের দিকে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সর্বোচ্চ পেজরেংক হচ্ছে ১০ এবং সর্বনিম্ন পেজরেংক হচ্ছে ০। গুগল টুলবারের সাহায্যে একটি সাইটের পেজরেংক জানা যায়। টুলবারটি এই সাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে - http://toolbar.google.com।

ব্যাকলিংক:
ব্যাকলিংক (BackLink) লিংক হচ্ছে একটি সাইটের পেজরেংক বাড়ানোর মূল হাতিয়ার। একটি ওয়েবসাইটের কোন পৃষ্ঠায় যদি অন্য একটি সাইটের লিংক থাকে তাহলে দ্বিতীয় সাইটের জন্য এই লিংককে বলা হয় ব্যাকলিংক বা ইনকামিং লিংক। আর প্রথম সাইটের জন্য এই লিংকটি হচ্ছে আউটগোয়িং লিংক, অর্থাৎ এই লিংকে ক্লিক করে ব্যবহারকারী দ্বিতীয় সাইটে চলে যাবে। এইভাবে একটি ওয়েবসাইটের যত বেশি ব্যাকলিংক থাকবে সেই ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারী আসার প্রবণতা বেড়ে যাবে। পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনের রোবট প্রোগ্রাম সেই সাইটকে খুব সহজেই খুজে পাবে। ব্যাকলিংক বাড়ানোর অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পদ্ধতি হচ্ছে,
  • লিংক বিনিময়: এটি হচ্ছে ভাল পেজরেংকের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাথে নিজের ওয়েবসইটের লিংক বিনিময়, অর্থাৎ অন্য ওয়েবসাইটের লিংক নিজের সাইটে যোগ করা এবং সেই সাইটে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করানো। এজন্য সাধারণত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের এডমিনিস্ট্রেটরের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে লিংক বিনিময়ের প্রস্তাব জানানো হয়। আবার লিংক আদান প্রদানের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে লিংক বিনিময়ে আগ্রহী ওয়েবসাইটের ঠিকানা পাওয়া যায়।
  • ফোরামে পোস্ট করা: এই পদ্ধতিতে প্রথমে একটি ভাল পেজরেংকের ফোরামের Signature এ নিজের ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করতে হয়। তারপর সেই ফোরামে নতুন কোন পোস্ট করলে বা অন্যের পোস্টে মন্তব্য দিলে লিংকটি সেই পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয়।
  • আর্টিকেল জমা দেয়া: ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে নিজের সাইটের কোন লেখা সেই সাইটগুলোতে জমা দেয়া যায় এবং সেই লেখার মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে নিজের সাইটের লিংক দিয়ে ব্যাকলিংক বাড়ানো যায়।
  • ডাইরেক্টরীতে জমা দেয়া: বিভিন্ন ওয়েব ডাইরেক্টরী রয়েছে যেখানে বিনামূল্যে নিজের সাইটের তথ্য এবং লিংক জমা দেয়া যায়।
  • অন্যের ব্লগে মন্তব্য দেয়া: অন্যের ব্লগে মন্তব্য দিয়ে এবং সাথে নিজের সাইটের লিংক যুক্ত করেও ব্যাকলিংক বাড়ানো যায়।

আয়ের উপায়:
SEO এর মাধ্যমে আয়ের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি যদি নিজের সাইটের জন্য SEO করে থাকেন এবং এর মাধ্যমে সাইটে অধিক সংখ্যক ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে সাইটটি থেকে যেকোন ধরনের সার্ভিস বা পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। অনেকে আবার বিজ্ঞাপন থেকে আয় করেন। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে Google Adsense এর মাধ্যমে। সাইটের মধ্যে গুগল এডস্যান্সের কোড যোগ করলে এটি ওয়েবসাইটের তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখায়। সেই বিজ্ঞাপনে কোন ভিজিটর ক্লিক করলে সাইটির মালিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আয় করেন। পরবর্তীতে চেকের মাধ্যমে সেই অর্থ তার কাছে পাঠানো হয়। বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও SEO ভিত্তিক নানা কাজ পাওয়া যায়। কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে কিওয়ার্ড রিসার্চ, ব্যাকলিংক জোগাড় করা, অন পেজ অপটিমাইজেশন, কন্টেন্ট লেখা, এসইও কনসালটেন্ট ইত্যাদি।