নামে যে সকল কাজ কর্মের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হয়, তা ভবিষ্যত জানারই অপচেষ্টা মাত্র। এটি মুলত:শির্ক।
ভবিষ্যতবাণী করা হয়। কোথাও ভাগ্য নির্ধারণের জন্য যন্ত্রও বসানো হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাটে পাখি দিয়েও ভাগ্য নির্ধারণের মিথ্যা অপচেষ্টা চলে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী অত্যন্ত পরিস্কার, তিনি বলেন: যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে আসে এবং তাকে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, ৪০ দিন পর্যন্ত তার কোনো সালাত কবুল হয় না। [2]
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস করলো।’’ [3]
এর অর্থ হচ্ছে সে কাফির। আর তা এ
জন্য যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের
প্রতি নাযিল হয়েছে যে, গায়ব
কেবলমাত্র আল্লাহ ই জানেন।
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে:
বল, আমি বলছি না যে, আমার
কাছে আল্লাহর ভাণ্ডারসমূহ
রয়েছে, আমি গায়েবও জানি না।
আমি তোমাদের এ কথাও
বলছি না যে , আমি একজন
ফেরেশতা। আমি অনুসরণ করি শুধু
তাই যা আমার
কাছে ওহী হয়ে আসে।[4]
নির্দিষ্ট তারকা নির্ধারিত
স্থানে উদিত হলে তার
প্রভাবে এই এই কল্যাণ বা অকল্যাণ
হতে পারে, নির্ধারিত মৌসুমের
প্রভাবে বৃষ্টি বা ঝড় হতে পারে
[5] প্রভৃতি যে সব
কথা বার্তা আমাদের সমাজে অহরহ
প্রচলিত
রয়েছে তা পূর্বোল্লেখিত
শির্কেরই অংশ বিশেষ।
[1] . সূরা নামল: ৬৫।
[2] . আল-ইমাম মুসলিম ইবনুল
হাজ্জাজ আন-নিসাপূরী,
সহীহ মুসলিম, আল-মাকতাবুল
ইসলামিয়াহ, ইসতাম্বুল,
তা.বি, ৪ খ, পৃ. ১৭৫১।
[3] . আবু দাউদ, সোলাইমান ইবন
আশ’আছ, সুনান আবী দাউদ,
দারুল জীল, বৈরুত ১৯৯২, ৪খ, পৃ.
১৪।
[4] সূরা আল আনআম:৫০।
[5] . প্র প্রসঙ্গে বুখারী শরীফে
বর্ণিত হয়েছে: