BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

others লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
others লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১৬

ভাগ্যগণনা ও জ্যোতিষ বিদ্যা

আমাদের দেশে মানুষ ভবিষ্যত ভালো মন্দ জানার জন্য ভাগ্য গণনা করতে জোতিষবিদ ও গণকের কাছে গমন করে। অথচ অদৃশ্য বস্তু ও ভবিষ্যত বিষয় জানা একমাত্র আল্লাহ সুবাহানাহু তা’আলার জন্যই নির্ধারিত, আল্লাহ বলেন: আপনি বলুন, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আসমান ও যমীনের কেউ অদৃশ্যের সংবাদ জানেন না। [1]
অন্য কেউ এ বিষয়ে জানার দাবী করা, বা জানার চেষ্টা করা,মুলত: আল্লাহর সংরক্ষিত অধিকারকে খর্ব করার শামিল, যা মুলত: শির্কেরই অংশবিশেষ।আমাদের দেশে জ্যোতিষ বিদ্যা, রাশি নির্ণয়, ভাগ্য গণনা, পাখীর মাধ্যমে ভাগ্য পরীক্ষার
নামে যে সকল কাজ কর্মের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হয়, তা ভবিষ্যত জানারই অপচেষ্টা মাত্র। এটি মুলত:শির্ক।
বড়  বড় সাইন বোর্ড টাঙিয়ে ভাগ্য গণনা ও রাশি নির্ণয়ের জন্য প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। পত্রিকায় ঘটা করে রাশি নির্ধারণপূর্বক
ভবিষ্যতবাণী করা হয়। কোথাও ভাগ্য নির্ধারণের জন্য যন্ত্রও বসানো হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাটে পাখি দিয়েও ভাগ্য নির্ধারণের মিথ্যা অপচেষ্টা চলে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী অত্যন্ত পরিস্কার, তিনি বলেন: যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে আসে এবং তাকে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, ৪০ দিন পর্যন্ত তার কোনো সালাত কবুল হয় না। [2]
যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর কাছে আসলো এবং সে যা বলল তা সত্য মনে করলো, সে মূলত:
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস করলো।’’ [3]
এর অর্থ হচ্ছে সে কাফির। আর তা এ
জন্য যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের
প্রতি নাযিল হয়েছে যে, গায়ব
কেবলমাত্র আল্লাহ ই জানেন।
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে:
বল, আমি বলছি না যে, আমার
কাছে আল্লাহর ভাণ্ডারসমূহ
রয়েছে, আমি গায়েবও জানি না।
আমি তোমাদের এ কথাও
বলছি না যে , আমি একজন
ফেরেশতা। আমি অনুসরণ করি শুধু
তাই যা আমার
কাছে ওহী হয়ে আসে।[4]
নির্দিষ্ট তারকা নির্ধারিত
স্থানে উদিত হলে তার
প্রভাবে এই এই কল্যাণ বা অকল্যাণ
হতে পারে, নির্ধারিত মৌসুমের
প্রভাবে বৃষ্টি বা ঝড় হতে পারে
[5] প্রভৃতি যে সব
কথা বার্তা আমাদের সমাজে অহরহ
প্রচলিত
রয়েছে তা পূর্বোল্লেখিত
শির্কেরই অংশ বিশেষ।
রেফানেন্স সমূহঃ
[1] . সূরা নামল: ৬৫।
[2] . আল-ইমাম মুসলিম ইবনুল
হাজ্জাজ আন-নিসাপূরী,
সহীহ মুসলিম, আল-মাকতাবুল
ইসলামিয়াহ, ইসতাম্বুল,
তা.বি, ৪ খ, পৃ. ১৭৫১।
[3] . আবু দাউদ, সোলাইমান ইবন
আশ’আছ, সুনান আবী দাউদ,
দারুল জীল, বৈরুত ১৯৯২, ৪খ, পৃ.
১৪।
[4] সূরা আল আনআম:৫০।
[5] . প্র প্রসঙ্গে বুখারী শরীফে
বর্ণিত হয়েছে:


রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

কাজিন কে বিয়েঃ চিকিৎসা-মনো বিজ্ঞানকি বলে !

প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায়ছোটকাল থেকেই কাজিনদের (চাচাতো-মামাতো-খালাতো-ফুফাতো ভাই-বোন) সঙ্গে আমরা বেড়ে উঠি । বড় হওয়ার পরও তাদের সঙ্গে বজায় থাকে অম্ল-মধুর সম্পর্ক। অনেক সময় তৈরি হয় ভালোবাসা, যা হয়তো বিয়ে পর্যন্ত পরিণতি পায়। এ ছাড়া, অনেক সময় অভিভাবকদের সম্মতিতেও কাজিনদের মধ্যে বিয়ের ঘটনা ঘটে ।কাজিনদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মত আছে। তবে স্বাস্থ্যগত দিকে থেকে কাজিনদের মধ্যে বিয়ের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মত দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কেন? এ ধরনের বিয়ে তো সুখী হওয়ার কথা, যেহেতু ছেলে-মেয়ে দুজনই পরস্পরকে চিনে-জানে দীর্ঘদিন থেকে।এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্বল্পস্থায়ী সম্পর্ক থেকে দুজন কাজিনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে যখন দুজনের কেউ অন্য কোনো সম্পর্ক থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।তারা আরও বলেন, এই ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয় অনেকটা মোহ বা মায়া থেকে। কাজিনদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক সাধারণত নষ্ট হয় না। যদি না দুজনের পরিবার সম্পর্ক মেনে নিতে পুরোপুরি অস্বীকৃতি না জানায়।ক্লিনিক্যাল মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুজনকাজিনের বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্যগত জটিলতার বিষয়টি ভাবা উচিত। বিশেষ করে যখন তারা সন্তান নিতে চাইবে। স্বাস্থ্যগত কারণেই মূলত, কাজিনদের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি উচিত মনে করা হয় না।কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, প্রথমত অধিকাংশ কাজিনদের রক্তের গ্রুপ একই হয়। যদি রক্তের গ্রুপ আলাদাও হয়, তাদের শারীরিকউপাদান একই হয়। এই বিষয়টাই কাজিনদের বিয়ের ক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা। শারীরিক উপাদানেমিল থাকলে সুস্থ শিশু জন্ম দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কাজিনদের মধ্যে বিয়ে হলে শারীরিক ও মানসিক জটিলতাপূর্ণ শিশুর জন্মদানের আশঙ্কা থাকে বেশি। মূলত প্রকৃতি এভাবেই কাজ করে।তবে স্বাস্থ্যগত দিকে থেকে না দেখে এ ধরনেরবিয়েতে খারাপ কিছু দেখছেন না বিয়ে করা দুই কাজিন সমীর ও মুনিরা। তারা প্রেম করে বিয়ে করেছেন। মুনিরা তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে বলেন, “আমরা একই শহরে বাস করতাম। সাপ্তাহিক ছুটি, বিশেষ করে কোনো উৎসব, জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হতো। কলেজে ওঠার পর কাজিনের সম্পর্ক থেকে আমরা আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। গত বছর আমরা বিয়ে করি। আমার মনে হয়, কাজিনকেবিয়ে করা খারাপ কিছু নয়। সম্পর্কের পর থেকেই আমরা দুজন দুজনের ভালো বন্ধু এবং আমাদের বোঝাপড়া অনেক ভালো।”

চলে গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ

বড় দিনের সকালে ৩৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ অ্যান্দ্রেস মোরিনো সেপুলভেদা। মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের সনোরা শহরের একটি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দ্রেস দুই মাস আগে নিজের ওজন কমাতে হাসপাতালে সার্জারি করেন। তবে তার ওই সার্জারি ছিল অত্যন্ত কঠিন। কেননা এর আগে চিকিৎসকরা এ ধরনের কোনো সার্জারির মুখোমুখি হননি।সে সময় পাকস্থলিতে গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পর তার ওজন কমে ৩শ ২০ কিলোগ্রাম হয়েছিল। চিকিৎসকরা তাকে জানান, নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মেনে চললে তার ওজন ৮৫ কিলোগ্রামেনেমে আসতে পারে। কিন্তু তার আগেই চলে গেলেনবিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষের এই খেতাবজয়ী মেক্সিকান।অ্যান্দ্রেসকে গত মাসে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি টি শার্ট উপহার দেন। তার ওজন কমাতে উৎসাহিত করতে রোনালদো ওই টি শার্ট উপহার দেন।

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খেতে ভুলে গেলে কী করবেন?

ওষুধ খেতে ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তেমনই বার্থ কন্ট্রোল পিল খেতে ভুলে গেলেও আসলে মানুষটিকে দোষ দেওয়া যায় না। কিন্তু একবার পিল খাওয়া মিস হলে কী করতে হবে এ ব্যাপারে অনেকেই জানেন না। বকা খেতে হবে এই ভয়ে ডাক্তার বা পরিবারের কাউকেও জিজ্ঞেস করেন না। আপনাদের জন্যই জরুরী এই তথ্যগুলো।
যদিও এখান থেকে আপনি কিছু সাধারণ ধারণা পাবেন, কিন্তু এর পরেও জেনে রাখুন ডাক্তারের সাথে কথা বলাটাই সবচাইতে ভালো সমাধান। পিলটা যে খেতে বলেছে তার থেকেই উপদেশ নেওয়া ভালো। কারণ একেক ব্র্যান্ডের পিলে একেক ধরণের উপাদান থাকে। কিছু পিলের ক্ষেত্রে নতুন করে খাওয়া শুরু করলেই হয়। কিন্তু কিছু কিছু পিলের ক্ষেত্রে আবার ভুল করে না খাওয়াটা হতে পারে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড় প্রিয়.কমকে জানান , ১-২ দিনের পিল মিস হয়ে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই এই ১/২ দিনের পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরেরগুলো নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। এর পাশাপাশি ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ বা এমন কোন ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল ব্যবহার করতে হবে। আর যদি ৫-৬ দিনের মিস হয়ে যায় তাহলে আর নতুন করে পিল খেতে হবে না কিন্তু সেই পুরো মাসের জন্য তাকে এবং তার স্বামীকে অন্য কোন বার্থ কন্ট্রোল মেথড ব্যবহার করতে হবে।
কিছু পিলের একই প্যাকেটের মাঝে কয়েক লেভেলের হরমোন সমৃদ্ধ পিল থাকে। একেক সময়ে একেকটা খেতে হয়। আপনি কোন পিলটা মিস করেছেন তার ওপর নির্ভর করে সমাধান একেক রকমের হবে। এখানে দেখে নিন কম্বিনেশন পিল খাওয়া মিস করলে কী করতে হবে তার ব্যাপারে কিছু তথ্য।
- Planned Parenthood এর মতে, একটানা সাতদিন বা তার বেশি গেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। একটা প্যাক শেষ হবার পর নতুন একটা প্যাক শুরু করতে ভুলে গেলে অথবা পুরনো প্যাক শেষ না করলে এটা হতে পারে। এর জন্য এই চার্টটা দেখে নিতে পারেন।
- প্যাকের শুরুতে এক বা দুইটা পিল খেতে ভুলে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই একটা খেয়ে নিতে হবে। এর পরেরটা মনে করে সময়মত খেয়ে নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার একটা সাতদিনব্যাপি ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল মেথড ফলো করতে হতে পারে।
- ৩ দিন থেকে শুরু করে ২১ দিন এর মধ্যে যদি ২/১টা পিল খেতে ভুলে যান তাহলেও একইভাবে মনে পড়ার সাথে সাথে একটা পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরেরটা সময়মত খেতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত কোন ব্যাকআপ লাগে না।
- প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনটা বা তার বেশি পিল মিস করলে এক্ষেত্রে মনে পড়ার সাথে সাথে একটা পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরেরটা সময়মত খেতে হবে। এক্ষেত্রে সাত দিনের ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল দরকার হবে।
- তৃতীয় সপ্তাহে যদি তিনটা বা তার বেশি পিল মিস করেন তাহলে আর ওই প্যাক থেকে ওষুধ খাবেন না, পুরো প্যাকের ওষুধ ফেলে দিয়ে নতুন একটা প্যাক শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে সাতদিনের ব্যাকআপ লাগবে।
প্রেগ্নেন্সি টেস্ট করে নেওয়াটা ভালো এক্ষেত্রে।
কী করতে হবে এক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা ভালো, তবে তারমানে এই নয় যে আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে যেতে হবে। আপনি ফোন করেও জেনে নিতে পারেন কী করা দরকার। এছাড়া ওষুধের প্যাকের সাথে যে নির্দেশিকা থাকে সেটা থেকেও আপনি কিছু তথ্য পেতে পারেন। গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকলে আপনি ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভের ব্যাপারেও চিন্তা করে দেখতে পারেন।

জাতীয় পরিচয়পত্রের গোপন নম্বরের সংকেত জানুন

প্রাপ্তবয়স্ক সকল বাংলাদেশির জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। যারা এটাকে ভোটার আইডি কার্ড হিসাবে জেনে থাকেন তা সম্পূর্ণ ভুল। তা ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র। ভোটারের বয়স যাচাই-বাচাই সহ নানা কাজে এই কার্ড ব্যবহৃত হয়।
প্রিয় পাঠক, একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন জাতীয় পরিচয়পত্রের নীচের দিকে লাল রংয়ের কালি দিয়ে লেখা ১৩ সংখ্যার একটা নম্বর আছে যাকে আমরা আইডি নম্বর হিসাবে জানি। কিন্তু এই ১৩ সংখ্যার মানে কি? তাহলে জেনে নিন এখুনি।
১) প্রথম দুই সংখ্যা: জেলা কোড। ৬৪ জেলার আলাদা আলাদা কোড আছে। ঢাকার জন্য এই কোড ২৬।
২) পরবর্তী এক সংখ্যা: এটা আরএমও (RMO) কোড। সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৯, ক্যান্টনমেন্ট ৫, পৌরসভা ২, পল্লী এলাকা ১। পৌরসভার বাইরে শহর এলাকা ৩, অন্যান্য ৪।
৩) পরবর্তী দুই সংখ্যা: এটা উপজেলা বা থানা কোড।
৪) পরবর্তী দুই সংখ্যা: এটা ইউনিয়ন (পল্লীর জন্য) বা ওয়ার্ড কোড (পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য)।
৫) শেষ ছয় সংখ্যা: আইডি কার্ড করার সময় আপনি যে ফর্ম পূরণ করেছিলেন এটা সেই ফর্ম নম্বর। বর্তমানে আবার ১৭ ডিজিটের আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে যার প্রথম চার ডিজিট হচ্ছে জন্ম সাল।

শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

বিয়ের পর ছেলেদের মাঝে যে পরিবর্তন ঘটে !

বিয়ের পর ছেলেদের মাঝে যে পরিবর্তন ঘটে !

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিয়ের পর মেয়েরা বদলায়, না ছেলেরা? আসলে ছেলে ও মেয়ে উভয়েই বিয়ের পর বদলে যায়। বিয়ের পর ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই নানা দিক পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি মানতে চায় না। আসলে বিয়ের কারণে ছেলেদের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তনই বেশি ঘটে। যা সংসার জীবনে খুবই প্রয়োজন। বোল্ডস্কাই অবলম্বনে বিয়ের পর ছেলেদের পরিবর্তনের কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে।
১. গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত ছেলেরা অবিবাহিত ছেলেদের থেকে অনেক বেশি দায়িত্বশীল হয়। আর এই পরিবর্তনটি বিয়ের কারণেই ঘটে থাকে। সংসার, জীবনসঙ্গী সবকিছুর প্রতি তার দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়।
২. ছেলেরা সাধারণত পার্টি, আড্ডা, ঘোরাঘুরি খুবই পছন্দ করে। কিন্তু বিয়ের পর ছেলেরা কাজ শেষে বেশির ভাগ সময়ই স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে কাটায়। এই পরবির্তন শুধু বিয়ের পরই সম্ভব।
৩. বিয়ের আগে ছেলেরা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেই বেশি পছন্দ করে। অথচ বিয়ের পর সেই একই মানুষ বউকে সময় দেওয়ার জন্য নানা অজুহাত খুঁজে বেড়ায়। যার ফলে বন্ধুদের কাছ থেকে সে অনেক দূরে সরে যায়। বিয়ে ছাড়া এই দূরত্বটা একেবারেই অসম্ভব।
৪. বিয়ের পর ছেলেরা টাকা জমাতে শুরু করে। এমনকি সবকিছু বাজেট করেই করার চেষ্টা করে। মোটকথা, বিয়ের পর ছেলেরা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক কম খরচ করে।
৫. বিয়ের পর ছেলেরা সম্পর্কের মূল্য দিতে শেখে। কারণ নতুন সব পারিবারিক সম্পর্কে সে জড়িয়ে পড়ে। এই সম্পর্কগুলো আসলে বিয়ের কারণেই তৈরি হয়।
৬. বিয়ের পর ছেলেরা ধৈর্য ধরতে শেখে। কারণ অনেক ভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে পড়তে হয়। প্রচুর ধৈর্যশক্তি না থাকলে এসব পরিস্থিতি সামলানো তার পক্ষে সম্ভব হতো না। বিয়ে ছেলেদের ধৈর্যশীল করতে সাহায্য করে।
৭. বিয়ের পর ছেলেরা ঘরের কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না। বরং নিজের ইচ্ছায় স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করে। শুধু বিয়ে হলেই এই পরবির্তন আসা সম্ভব।
৮. সাধারণত ছেলেরা নিজেদের মধ্যে কথা লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। অথচ বিয়ের পর সে সব ধরনের কথাই স্ত্রীকে বলে। কোনো কিছুই লুকায় না। বিয়ে না করলে ছেলেদের এই ইতিবাচক পরবির্তন হয় না।
৯. ছেলেরা বিয়ের আগে কোনো কাজ করলে কাউকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করে না। অথচ বিয়ের পর তারা অনেকটা বদলে যায়। সবকিছু করার আগে স্ত্রীকে অন্তত জানিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
১০. বিয়ের পর ছেলেরা যেকোনো বিষয়ে ত্যাগ করতে শেখে। নিজের শখ, ইচ্ছা সবকিছুকেই বিসর্জন দেওয়ার মতো মন মানসিকতাও তৈরি হয় ছেলেদের মধ্যে। তাই ‘বিয়ের পর ছেলেরা বদলে যায়’- এই কথাটি অস্বীকার করার কোনো উপায়

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

সপ্ন এবং বাস্তবতা

কেউ যদি জিগ্যেস করে, আপনার জীবনের লক্ষ্য কি? গলা হাঁকিয়ে বলে দেন- বিজনেস ম্যান, মাল্টি-ন্যাশনালে চাকরি, গাড়ি, বাড়ি, ইত্যাদি। কিন্তু ভুলেও কখনও বলেন না আপনার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে- রাত জেগে প্রিমিয়ার লীগের খেলা দেখা, কে কয়টা গোল করছে তার হিসাব রাখা, ঘন্টার পর ঘন্টা ফেইসবুকের হোমপেইজে স্ক্রল করা। অথচ দিনের পর দিন এই কাজগুলা করেই, স্বপ্ন অর্জন আর বাস্তবতার মধ্যে গ্যাপ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। সেই গ্যাপ বাড়তে বাড়তে স্বপ্নটা এত দূরে চলে গেছে যে, খালি চোখে আর দেখা যায় না। হাবিজাবি কাজগুলা রেগুলারলি করে যেতে পারলেও, ডেইলি বিশ-পঁচিশ মিনিট সময় ম্যানেজ করতে পারেন না। নিজের জন্য, নিজের স্বপ্নের জন্য। . পরিচিত কেউ মারা গেলে, আমরা প্রায়ই বলি, উনি জনপ্রিয় শিক্ষক বা গরিবের ডাক্তার অথবা ভালো লিডার কিংবা সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। একবারও কি চিন্তা করে দেখছেন? আজকে যদি আপনি মারা যান, আপনার সম্পর্কে লোকজন কি বলবে? কিংবা এই আপনিই, আপনার মৃত্যুর পর নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? আপনি কি চান লোকজন আপনাকে চিনুক- ক্যান্ডি ক্রাশের ১০০ লেভেল পার করে, গেইম অফ থ্রোনের সবগুলা এপিসোড তিনবার করে দেখে, দুনিয়ার সবগুলা ওয়ানডে-টেস্ট ম্যাচের পরিসংখ্যান মুখস্থ করে, তিন চারটা অনলাইন পত্রিকার চিপা-চাপার সব নিউজ জানা সফল মানুষ হিসেবে? নাকি চান, আপনাকে অন্য কিছু হিসেবে চিনুক? সেটাই যদি হয়, সেটার পিছনে কি সময় দিচ্ছেন? . কোন একটা কিছু করতে গেলে, কাজ করার উপায় বের করার আগেই, ছুতার বস্তা নিয়ে বসি। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে, বছরের পর বছর একই ছুতা দিয়ে, জীবন পার করে দিচ্ছি। আমারে কেউ সুযোগ করে দিচ্ছে না, কম্পিটিশন বেড়ে গেছে, দেশে ভালো মানুষের ভাত নাই বলে বলে নিজের ভিতরে আক্ষেপ বাড়াচ্ছি। বৃষ্টি বেশি, গরম বেশি, জ্যাম বেশি, পেটের ভিতরে গ্যাস বেশি, বলতে বলতে হাত পা ছেড়ে আপনি যখন হতাশ হয়ে বসে থাকেন, সেই একই সময়ে অন্য আরেকজন ঠিকই, শীত-গরম, বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্লাসে টিচার ভালো পড়াইতে পারে নাই বলে, টিচারের চৌদ্দ গোষ্ঠীরে দশ ঘন্টা গালি দিতে দিতে আপনি যখন চোয়াল ব্যথা করতেছেন, সেই একই সময়ে আরেকজন গুগলে সার্চ মেরে, লাইব্রেরীতে স্টাডি করে এ প্লাস ঠিকই পেয়ে যাচ্ছে। আমি-আপনি যতই ছুতা নিয়ে বসে থাকি না কোনো, দুনিয়ার সবাইরে ছুতা মার্কা পাবলিক বানাইতে পারবো না। কেউ না কেউ, কোথাও না কোথাও আমাদের চাইতে খারাপ কন্ডিশনে থেকেও আমাদের চাইতে যোজন যোজন দুরুত্ব এগিয়ে যাচ্ছে। সঠিক ইচ্ছা, সাধনা আর শ্রম দিয়ে। আমাদেরকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে।

সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০১৫

শেষ চিঠি

রোদেলা,
এটাই হয়তো তোমাকে নিয়ে আমার
শেষ লিখা । আর কক্ষনো হয়তো
আমারা আমাদের নিয়ে লিখবো না
। যা বলছিলাম,
মেঘভর্তি সকাল অথবা সকাল ভর্তি
মেঘ নিয়ে প্রতিটা দিনের শুরুতে
আমি কেবল একটা বৃত্তের ভেতর
ঘুরপাক খাচ্ছি! টের পাই বুকশেলফের
তাকে তাকে গোছানো অজস্র
শব্দমালার ভেতরেও তোমার আর
আমার দূরত্বটা দিন দিন স্পষ্ট থেকে
স্পষ্টতর হয়ে উঠছে! আমি বুঝি,
সুবিশাল একটা অন্ধকার ভবিষ্যত এর
কল্পনায় তুমি তোমার বর্তমানটাকে
নিয়ে খুব অনিশ্চয়তায় আছো! অথচ তুমি
খুব ভালোমতো জানতে, বিসর্জনের
অভ্যাস আমার নেই, ছিলোনা কখনো
তবুও বলছি আমার দেয়া
মুঠোফুলগুলোকে ছুড়ে, পাখিদের
ছড়িয়ে পড়া ডানায় তোমার
স্বপ্নগুলোকে বেধে দিয়ে তুমি
নিশ্চিন্ত থাকো! পৃথিবীর সমস্ত
বেদনা লুকিয়ে ফেলে এই রাতের
শেষ প্রান্তে আমার জমে থাকা গুচ্ছ
গুচ্ছ ইচ্ছেগুলোকে আমি স্বেচ্ছায়
বিসর্জন দিয়ে দিবো তবুও এই
মাঝেরাতে জানালা  যাওয়া
ভোরের অপেক্ষায় তোমার
নিজস্বতা নিয়ে তুমি নিশ্চিন্ত
থাকো! আমি বরং আত্মশুদ্ধতায় বসি!
ভালো থেকো, কিন্তু কখনো
অপেক্ষায় থেকোনা।