BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫

কসরের নামাজের বিধান ও ফজিলত

কসরের নামাজের বিধান ও ফজিলত
মুফতি এনায়েতুল্লাহ
কসর আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো কম করা, কমানো। ইসলামী শরিয়তে কোনো ব্যক্তি যদি ৪৮ মাইল বা তারও বেশি দূরত্বের ভ্রমণে বাড়ি থেকে বের হন, তাহলে তিনি মুসাফির। আর তিনি যদি সেখানে ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করেন, তবে চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়বেন। আল্লাহ তায়ালা এই সংক্ষেপ করার মাঝে কল্যাণ রেখেছেন। কোরানে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায় কোনো আপত্তি নেই।’ সূরা নিসা : ১০
কসর নামাজের নিয়ম হলো কেবল চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ যেমন জোহর, আসর ও এশার নামাজ চার রাকাতের পরিবর্তে দুই রাকাত পড়া। এ ক্ষেত্রে মুসাফির ব্যক্তি ইমামতি করলে মুক্তাদিদের আগেই বলে দিতে হবে যে, তিনি মুসাফির এবং দুই রাকাত পড়ে সালাম ফেরাবেন এবং মুকিম নামাজিরা দাঁড়িয়ে বাকি দুই রাকাত পড়ে নেবেন। তবে মুসাফির ব্যক্তি যদি মুকিম (স্থানীয়) ইমামের পেছনে নামাজ পড়েন, তাহলে ইমামের অনুসরণে তিনিও চার রাকাত পড়বেন। আর মুসাফির অবস্থায় যদি কোনো নামাজ কাজা হয়ে যায় আর তা বাড়ি ফিরে পড়েন, তাহলে কসরই পড়বেন এবং বাড়ি থাকা অবস্থায় কোনো কাজা নামাজ যদি সফরে আদায় করেন, তবে তা পূর্ণ নামাজই পড়তে হবে। মুসাফির ব্যক্তির ব্যস্ততা থাকলে ফজরের সুন্নত ব্যতীত অন্যান্য সুন্নত নামাজ ছেড়ে দেবেন। তবে ব্যস্ততা না থাকলে সুন্নত পড়া উত্তম। তবে দুই রাকাত, তিন রাকাত ফরজ এবং ওয়াজিব নামাজ যথাযথভাবে আদায় করতে হবে।
কসর নামাজের ফজিলত অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় বান্দাদের সার্বিক কল্যাণের প্রতি লক্ষ্য করেই সহজ বিধান দিয়েছেন। ইসলাম মানুষের কল্যাণের জন্য, মুক্তির জন্য। আর মুসাফির সফরে অনেক সমস্যায় থাকেন, যে কারণে ইসলাম নামাজের মতো এত বড় ইবাদতেও ছাড় দিয়েছে। মূলত এই কসর নামাজের বিধানের মধ্যে মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বড় শিক্ষা রয়েছে তাহলো কোনো অবস্থায়ই ফরজ ইবাদত অলসতার কারণে বা সমস্যা থাকার কারণে পুরোপুরি ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। কসরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সফরে নামাজকে কসর কর এর মধ্যেই রয়েছে উত্তম প্রতিদান।’ বায়হাকি
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট
মুসাফীর ও কসর নামাজ সংক্রান্ত কিছু আলোচনা
[অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কথা। অবশ্যই শেয়ার করুন]
মুসাফীর কাকে বলে?
মুসাফীর শব্দটি আরবী। এর অর্থ হলো সফরকারী,ভ্রমনকারী।
‘কোন ব্যক্তির স্বাভাবিক বিশ্রাম বজায় রেখে মধ্যম পন্থার পথ চলার তিন বা ততোধিক দিনের ভ্রমন পথ অতিক্রমের ইচ্ছা নিয়ে নিজ
আবাসস্থল থেকে যাত্রা শুরু করাকে সফর বলে।’ আর যিনি সফর করবেন
তাকে বলা হয় ‘মুসাফীর’। মুসাফীরের জন্য শরীয়তের অনেক বিধানই সহজ ও শিথিল করে দেয়া হয়। যেমন...
১. ফরয রোজা ভেঙ্গে ফেলে পরে কাযা করার অনুমতি।
২. চার রাকা’য়াত বিশিষ্ট নামাজ কসর করে দুই রাকায়াত পড়া।
৩. যান বাহনে উপবিষ্ট থাকা অবস্থায় নামায আদায়ের অনুমতি।
৪. যোহর-আসর ও মাগরীব-এশা একত্রে পড়ার অনুমতি। ...
এখানে কসর নামায সংক্রান্ত কিছু আলোচনা করলাম.....
কতটুকু দূরত্ব সফরের নিয়তে কসর হবে?
অধিকাংশ আলেমদের মতে- সাধারণত ৪৮ মাইল দূরত্বের পথ
অতিক্রমের নিয়ত করে ঘর থেকে বের হলে নামায কসর করতে হবে।
কসর শুরু করার স্থান কি হবে?
সফরকারী ব্যক্তি সফরের নিয়তে ঘর থেকে বের হলেও সে নিজ এলাকা/মহল্লায় থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই নামায আদায় করবে।
যখন সে এলাকা ত্যাগ করবে, তখন থেকে নামাজ কসর করবে।
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চয়ই রাসুল (সা.) (বিদায় হজ্জের নিয়তে) মক্কা সফরের সময় মদীনায় যোহরের নামায চার রাকায়াত আদায় করেছেন। আর (সফর শুরু করে) যুলহুলায়ফা নামক স্থানে পৌছে আসরের নামায দু’রাকায়াত আদায় করেছেন।
(বুখারী, মুসলিম, মেশকাত-১২৫৪)
# এখানে যুলহুলায়ফা নামক স্থানটি মদীনা হতে প্রায় মাইল দূরে অবস্থিত,
যেখানে এসে রাসুল (সা.) নামায কসর করেছেন।
কতদিনের নিয়তে সফর করে গন্তব্যস্থলে পৌছে কসর করবেন? ...
## যে স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সফর করা হবে, সে স্থানে যদি ১৫ দিনের
কম থাকার নিয়ত হয়, তাহলে ব্যক্তি গন্তব্যস্থলে পৌছে তার নামাজ
কসর করবেন।
## আর যদি গন্তব্যস্থলে তার ১৫ দিনের বেশী থাকার নিয়ত হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক চার রাকায়াত নামাজই পড়বেন।
## যদি কেহ ১৫ দিনের কম অবস্থানের নিয়তে বের হয়ে ১৩/১৪ দিন পর দেখেন তার প্রয়োজন পূর্ণ হয়নি, তিনি আবারও ১৫ দিনের কম নিয়ত করে কসর নামায পড়তে পারবেন
## অন্য শহরে বাসিন্দাগণ নিজ বাড়িতে সফর করলে কোন কসর
পড়া যাবে না। শুধু যাত্রা পথে কসর করবেন।
## রাসুল (সা.) সফরে ফজরের সুন্নত ও বিতরের তিন রাকায়াত ছাড়া
অন্য কোন সুন্নত নামায পড়েন নি। [অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। অবশ্যই শেয়ার করুন]

সফরের সময় পূর্ণাঙ্গ নামাজ পড়া এবং রোজা রাখা যাবে কি?

সফরের সময় পূর্ণাঙ্গ নামাজ পড়া এবং রোজা রাখা যাবে কি?

প্রশ্ন: বিমান ভ্রমণের মাধ্যমে এখন কয়েক ঘণ্টায় বহু দূরের দেশে পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রশ্ন হল: এখন যেহেতু আর আগের মত সফরে কষ্ট ও পরিশ্রম হয় না, তাহলে কি সফরের সময় কসর নামাজ না পড়ে পূর্ণ নামাজ পড়া এবং রোজা রাখা যাবে?
উত্তর: আমরা জানি, ইসলামের আহকাম বা ধর্মীয় বিধিবিধান ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনের প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছেন মহান আল্লাহ। সম্ভবত সফরের সময় মানুষের পরিশ্রম ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে নামাজ কসর ও রোজা ভাঙার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে সফরের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বিঘ্ন ঘটে এবং এ বিপত্তির বিষয়টি মানুষ মেনে নিয়েছে। অর্থাত মানুষ জানে, সফরে গেলে তার প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম ইত্যাদির রুটিনে বিঘ্ন ঘটবে। অবশ্য এখন সফরের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। তারপরও ঘরের পরিবেশ আর সফরের পরিবেশ এক হয় না।
নিজের দেশে নিজের ঘর কখনো অন্য দেশ বা অন্যের ঘরের সমান হয় না। নিজের বাসস্থানে মানুষ যে আরাম-আয়েশে থাকে সফরে গেলে তা আর থাকে না এবং মানুষ এক ধরণের অস্থিরতার মধ্যে থাকে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, এই আধুনিক যুগেও সফরের সমস্যাবলী আগের মতোই বিদ্যমান।
এ ছাড়া, এখনো বহু শহর ও গ্রাম আছে যেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা খুবই কম এবং সেখানে সফরে গেলে মানুষকে অনেক কষ্টে সময় কাটাতে হয়। তাই কসরের নামাজ এখনো অনেকের জন্য বড় ধরণের ছাড় বলেই গণ্য হয়। কাজেই কসরের নামাজ ও রোজা ভাঙার মতো ইসলামের নির্দেশাবলী সার্বিকভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।
কোন সফরে যদি কোনরকম কষ্ট নাও হয় তাহলেও এ সার্বিক নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। অর্থাত নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে সফরে গেলে কসরের নামাজ পড়তেই হবে এবং রোজা রাখা যাবে না।
অবশ্য নামাজ-রোজা সম্পর্কে আল্লাহর এ নির্দেশের পেছনে অন্য কোন কারণও থাকতে পারে, যার সঙ্গে হয়ত সফরের কষ্টের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা সে কারণ জানি না বলে আল্লাহর নির্দেশে পরিবর্তন আনার অধিকার আমাদের নেই।

মুসাফিরের নামাজ

নামাজ-মুসাফিরের নামাজ

আল্লাহ তাআলা বলেন:
 ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَ ﻭَﻻَ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺑِﻜُﻢُ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮَ 
অর্থ: “আল্লাহ তোমাদের সহজ চান, কঠিন চান না।” (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত: ১৮৫)
ইসলাম একটি সহজ ধর্ম। আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব অর্পন করেন না এবং এমন কোন আদেশ তার উপর চাপিয়ে দেন না, যা পালনে সে অক্ষম। তাই সফরে কষ্টের আশংকা থাকায় আল্লাহ সফর অবস্থায় দুটো কাজ সহজ করে দিয়েছেন।

এক: নামাজ কসর করে পড়া। অর্থাৎ চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দু’রাকাত করে পড়া। অতএব, আপনি সফরকালে যোহর, আসর এবং এশার নামাজ চার রাকাতের পরিবর্তে দু’রাকাত পড়বেন। তবে মাগরিব ও ফজর আসল অবস্থায় বাকি থাকবে। এ দুটো কসর করে পড়লে চলবে না। নামাজে কসর আল্লাহর তরফ থেকে রুখসত তথা সহজিকরণ। আর আল্লাহ যা সহজ করে দেন তা মেনে নেয়া ও সে অনুযায়ী আমল করা আল্লাহর কাছে পছন্দের বিষয়। যেরূপভাবে তিনি পছন্দ করেন আযীমত (আবশ্যিক বিধান) যথার্থরূপে বাস্তবায়িত হওয়া।
পায়ে হেঁটে, জীব-জন্তুর পিঠে চড়ে, ট্রেনে, নৌযানে, প্লেনে এবং মোটর গাড়িতে সফর করার ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য নেই। সফরের মাধ্যম যাই হোক না-কেন, নামাজ কসর করে পড়ার ক্ষেত্রে এর কোন প্রভাব নেই। অর্থাৎ শরীয়তের পরিভাষায় যাকে সফর বলা হয় এমন সকল সফরেই চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজ কসর করে পড়ার বিধান রয়েছে।
দুই: দুই নামায একত্র করে আদায় করা
মুসাফিরের জন্য দুই ওয়াক্তের নামাজ এক ওয়াক্তে জমা করা বৈধ। অতএব, মুসাফির যোহর ও আসর একত্র করে অনুরূপভাবে মাগরিব ও এশা একত্র করে পড়তে পারবে। অর্থাৎ দুই নামাজের সময় হবে এক এবং ঐ একই সময়ে দুই ওয়াক্তের নামাজ আলাদা আলাদাভাবে আদায় করার অবকাশ রয়েছে। যোহরের নামাজ পড়ার পর বিলম্ব না করে আসরের নামাজ পড়বে। অথবা মাগরিবের নামাজ পড়ার পরেই সাথে সাথে এশার নামাজ পড়বে। যোহর-আসর অথবা মাগরিব-এশা ছাড়া অন্য নামাজ একত্রে আদায় করা বৈধ নয়। যেমন ফজর, যোহর অথবা আসর মাগরিবকে জমা করা বৈধ নয়।
মাসনূন যিকরসমূহ
নামাযের পর তিন বার ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি), পড়া সুন্নাত। তারপর এই দোয়া পড়বে:
” ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼﻡُ ﻭﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼﻡُ ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟﺠِﻼﻝِ ﻭَﺍﻹِﻛْﺮَﺍﻡِ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻻَ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻣُﻌْﻄِﻲَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﺪِّ ﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺠَﺪُّ “
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আনতাস্সালামু ওয়া মিনকাস্ সালামু তাবারাকতা ইয়া যাল্জালালি ওয়াল ইকরাম, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর। আল্লাহুম্মা লা মানিয়া’ লিমা আ’তাইতা, ওয়া লা মু’তিয়া লিমা মানা’তা, লা ইয়ানফাউ যালজাদ্দি মিনকালজাদ্দু”।
অর্থ, হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়, আপনার কাছ থেকেই শান্তি আসে। আপনি বরকতময় হে প্রতাপশালী সম্মানের অধিকারী! আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। তাঁরই বিশাল রাজ্য এবং তাঁরই সমস্ত প্রশংসা। আর তিনিই সমস্ত কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আপনি যা দান করতে চান তা কেউ রোধ করতে পারে না। আপনার শাস্তি হতে কোন ধনীকে তার ধন রক্ষা করতে পারে না”।
তারপর ৩৩ বার করে আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা, প্রশংসা বর্ণনা এবং তাকবীর পড়বে। অর্থাৎ ৩৩ বার ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠﻪِ (সুবহানাল্লাহ), ৩৩ বার ﺍَﻟﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ (আলহামদুলিল্লাহ) এবং ৩৩ বার ﺍَﻟﻠﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮْ (আল্লাহু আকবার) পড়বে। সবগুলো মিলে ৯৯ বার হবে অতঃপর একশত পূর্ণ করার জন্য বলবে,
” ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ “
উচ্চারণ: “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর”।
অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক তাঁর কোন অংশীদার নেই। তাঁর বিশাল রাজ্য এবং সমস্ত প্রশংসা। আর তিনিই যাবতীয় বস্তুর উপর শক্তিমান”।
তারপর “আয়াতুল্ কুরসী”,  ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺃَﺣَﺪٌ  “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ”,  ﻗُﻞْ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ  “কুল আউযুবি রব্বিল ফালাক”,  ﻗُﻞْ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ  “কুল আউযুবি রব্বিন নাস” পড়বে।
কুলহু আল্লাহু আহাদ, ফালাক, নাস এই তিনটি সূরা ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর তিন বার করে পড়া মুস্তাহাব। উপরে উল্লেখিত জিকির ছাড়া ফজর ও মাগরিবের পর এই দু’আ দশ বার পড়া মুস্তাহাব।
ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻳُﺤْﻲِ ﻭَ ﻳُﻤِﻴْﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ
উচ্চারণ: “ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইউহয়ী ওয়া ইয়ুমীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন ক্বাদীর”।
অর্থাৎঃ “আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই। তাঁরই রাজত্ব এবং তাঁরই সমস্ত প্রশংসা। তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান। আর তিনিই সকল বস্তুর উপর শক্তিমান”।
এ সমস্ত যিকর ফরয নয়, সুন্নাত।
সুন্নত নামাজ সফর ছাড়া বাড়ীতে অবস্থান কালে বারো রাকআত সুন্নাত নামাজ নিয়মিত আদায় করা সকল মুসলিম নর নারীর জন্য অবশ্যই পালণীয়। আর তা হল যোহরের পূর্বে চার রাকাত ও পরে দু’রাকাত। মাগরিবের পরে দু’রাকাত। এশার পর দু’ রাকাত ও ফজরের আগে দু’রাকাত।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফর অবস্থায় যোহর, মাগরিব ও এশার সুন্নত ছেড়ে দিতেন। তবে ফজরের সুন্নত ও বিতরের নামাজ সফর অবস্থায়ও নিয়মিত আদায় করতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ।
ইরশাদ হয়েছে:
 ﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻜُﻢْ ﻓِﻲ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃُﺳْﻮَﺓٌ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ 
অর্থ: “নিশ্চয় আল্লাহর রাসূলের জীবনে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদশ।” (সূরা আল আহযাব, আয়াত :২১)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻛَﻤﺎ ﺭَﺃَﻳْﺘُﻤُﻮﻧﻲ ﺃُﺻَﻠِّﻲ
অর্থ: “তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ পড়তে দেখেছ ঠিক সেভাবে নামাজ পড়”। (বুখারী)
আল্লাহই তাওফিক দাতা।
ﻭﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻰ ﻧﺒﻴﻨﺎ ﻣﺤﻤﺪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ ﺃﺟﻤﻌﻴﻦ .
আমীন

Kosor Namaj সফরে কসর নামাজের বিধিবিধান

সফরের সময় পূর্ণাঙ্গ নামাজ পড়া এবং রোজা রাখা যাবে কি?


প্রশ্ন: বিমান ভ্রমণের মাধ্যমে এখন কয়েক ঘণ্টায় বহু দূরের দেশে পৌঁছে যাওয়া যায়। প্রশ্ন হল: এখন যেহেতু আর আগের মত সফরে কষ্ট ও পরিশ্রম হয় না, তাহলে কি সফরের সময় কসর নামাজ না পড়ে পূর্ণ নামাজ পড়া এবং রোজা রাখা যাবে?

উত্তর: আমরা জানি, ইসলামের আহকাম বা ধর্মীয় বিধিবিধান ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনের প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করেছেন মহান আল্লাহ। সম্ভবত সফরের সময় মানুষের পরিশ্রম ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে নামাজ কসর ও রোজা ভাঙার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে সফরের ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বিঘ্ন ঘটে এবং এ বিপত্তির বিষয়টি মানুষ মেনে নিয়েছে। অর্থাত মানুষ জানে, সফরে গেলে তার প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া ও ঘুম ইত্যাদির রুটিনে বিঘ্ন ঘটবে। অবশ্য এখন সফরের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে। তারপরও ঘরের পরিবেশ আর সফরের পরিবেশ এক হয় না।

নিজের দেশে নিজের ঘর কখনো অন্য দেশ বা অন্যের ঘরের সমান হয় না। নিজের বাসস্থানে মানুষ যে আরাম-আয়েশে থাকে সফরে গেলে তা আর থাকে না এবং মানুষ এক ধরণের অস্থিরতার মধ্যে থাকে। কাজেই দেখা যাচ্ছে, এই আধুনিক যুগেও সফরের সমস্যাবলী আগের মতোই বিদ্যমান।

এ ছাড়া, এখনো বহু শহর ও গ্রাম আছে যেখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা খুবই কম এবং সেখানে সফরে গেলে মানুষকে অনেক কষ্টে সময় কাটাতে হয়। তাই কসরের নামাজ এখনো অনেকের জন্য বড় ধরণের ছাড় বলেই গণ্য হয়। কাজেই কসরের নামাজ ও রোজা ভাঙার মতো ইসলামের নির্দেশাবলী সার্বিকভাবে মেনে চলতে বলা হয়েছে।

কোন সফরে যদি কোনরকম কষ্ট নাও হয় তাহলেও এ সার্বিক নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। অর্থাত নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্বে সফরে গেলে কসরের নামাজ পড়তেই হবে এবং রোজা রাখা যাবে না।

অবশ্য নামাজ-রোজা সম্পর্কে আল্লাহর এ নির্দেশের পেছনে অন্য কোন কারণও থাকতে পারে, যার সঙ্গে হয়ত সফরের কষ্টের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা সে কারণ জানি না বলে আল্লাহর নির্দেশে পরিবর্তন আনার অধিকার আমাদের নেই।


কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে তার এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়- (জাওয়াহিরুল ফিক্বহ ১/৪৩৬, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/১০৫)।
সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ এলাকা পেরুলে সফরের বিধান শুরু হয়। শহরের ক্ষেত্রে ওই শহরের করপোরেশনের নির্ধারিত সীমানা থেকে সফরের সীমা নির্ধারিত হবে। অনুরূপ সফর থেকে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও নিজ এলাকার সীমানায় প্রবেশের সঙ্গেই তার সফরের বিধান শেষ হয়ে যাবে- (রদ্দুল মুহতার ২/১২৮)।
আকাশ পথে সফরের ক্ষেত্রেও দূরত্বের হিসাব স্থলভাগে সফরের দূরত্বের পরিমাপে হবে, অর্থাৎ স্থলভাগের ৭৮ কিলোমিটার পরিমাণ দূরত্বের সফর হলে আকাশপথে মুসাফির হবে- (রদ্দুল মুহতার ১/৭৩৫)।
অনুরূপ পার্বত্য এলাকায় সফরের ক্ষেত্রেও সমতলে চলার হিসেবেই হবে, অর্থাৎ পাহাড়ের উঁচু-নীচু ঢালুসহ দূরত্বের হিসাব হবে- (ফাতহুল ক্বাদীর ২/৩১, আল বাহরুর রায়েক ২/২২৯)।
মুসাফিরের বিধান
সফরকারীর জন্য শরিয়তের বিধি-বিধানে কিছু শিথিলতা রয়েছে, যথা চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলো দুই রাকাত আদায় করবে, সফরে রোজা না রেখে পরবর্তী সময়ে কাজা করলেও চলবে। অনুরূপ মোজায় মাসাহ করা ইত্যাদি বিধানে সাধারণ অবস্থা থেকে ভিন্নতা রয়েছে।
মুসাফির ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সফর অবস্থায় চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে। এ ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব। আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত পূর্ণ করে নেয়, তাহলে যদি সে প্রথম বৈঠক করে থাকে, তাহলে সেজদা সাহু করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে, আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে তাহলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে- (বাদায়েউস সানায়ে ১/৯১)।
মুসাফির ব্যক্তি মুকিম ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে- (আল মাবসূত, সারাখসী ১/২৪৩)।
মুকিম ব্যক্তি মুসাফির ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজগুলোতে মুসাফির ইমাম সাহেব দুই রাকাত পড়ে সালাম ফিরানোর পর মুকিম মুক্তাদি দাঁড়িয়ে সুরা পড়া ছাড়া বাকি দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিবে।
সফর অবস্থায় ছুটে যাওয়া নামাজ মুকিম অবস্থায় কাজা করলে 'কসর'ই আদায় করবে, আর মুকিম অবস্থার ছুটে যাওয়া নামাজ সফরে কাজা করলে তা পূর্ণ আদায় করবে- (হেদায়া ১/৮১)
স্থায়ী ও অস্থায়ী আবাসের বিধান
স্থায়ী আবাসস্থল পরিবর্তন করে অন্যস্থানে মূল আবাস গড়লে স্থায়ী বসবাসের জন্য সেখানে না যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আগের অবস্থানস্থল মৌলিক আবাসন হিসেবে গণ্য হবে না, এমনকি সেখানে তার মালিকানা জায়গা-জমিন থাকলেও নয়, বরং সেখানেও সফরের সীমানা অতিক্রম করে গেলে মুসাফিরই থাকবে- (আল মাবসূত, সারাখসী ১/২৫২)
কোনো জায়গায় ১৫ দিন বা ততধিক অবস্থানের নিয়ত করলে সে সেখানে মুকিম হয়ে যাবে। সেখান থেকে সামানা-পত্রসহ প্রস্থানের আগ পর্যন্ত সেখানে পূর্ণ নামাজ পড়বে এবং মুকিমের বিধান জারি থাকবে- (বাদায়েউস সানায়ে ১/১০৪)।
মহিলারা বিবাহের আগ পর্যন্ত তার বাবার বাড়িতে স্থায়ী আবাস হিসেবে মুকিম থাকবে।
তবে বিবাহের পর যদি স্বামীর বাড়িতে মৌলিকভাবে থাকে এবং বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে, তাহলে স্বামীর বাড়ি তার মৌলিক আবাসন হিসেবে ধর্তব্য হবে এবং বাবার বাড়িতে মুসাফির থাকবে, আর যদি বাবার বাড়িতে মৌলিকভাবে থাকে, তাহলে তা তার মূল অবস্থানস্থল হিসেবেই বাকি থাকবে- (আল বাহরুর রায়েক ২/১২৮, রদ্দুল মুহতার ২/১৩১)। আর পুরুষগণ তার শ্বশুরবাড়িতে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফিরই থাকবে। হ্যাঁ, কেউ যদি সেখানে স্থায়ী আবাস করে নেয়, তাহলে তা ভিন্ন কথা।
মুসাফিরের সুন্নত পড়ার বিধান
মুসাফির ব্যক্তির জন্য তার চলন্ত অবস্থায় বা তাড়াহুড়া থাকলে ফজরের সুন্নাত ছাড়া অন্যান্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়তে হবে- (এ'লাউস্ সুনান ৭/১৯১, রদ্দুল মুহতার ১/৭৪২)।





লেখক : ফতোয়া সংকলন
প্রকল্পের গবেষক

রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উঠছে!

চাকরির বয়সের সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে অনেকের মনেই অসন্তোষ ছিল । এর আগে সরকারি চাকরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছিল ৩০ বছর । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটিকে পর্যাপ্ত সময় বলে মনে করতেন না চাকরিপ্রার্থীরা । অবশেষে বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রচলিত বাস্তবতার কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে থাকা ৩০ বছরের বয়সসীমা কে ৩২ বছর করার চিন্তা করছেননীতিনির্ধারকরা।এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা করা হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৪। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা যায়, সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা ৬১ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬২বছর করার একটি প্রস্তাব আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩২ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরিতে প্রবেশেরবয়সসীমা ৩২ থেকে ৩৪ করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে। এ লক্ষ্যে সরকারি চাকরি বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।সূত্রটি আরো জানায়, এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পর্যালোচনা, সংসদ, সংসদীয় কমিটি, জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন প্রস্তাব বিবেচনায় নিচ্ছে।প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪০, বিভিন্ন প্রদেশে বয়সসীমা ৩৮ থেকে ৪০, শ্রীলংকায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫, ইতালিতে ৩৫ বছর কোনো কোনোক্ষেত্রে ৩৮, ফ্রান্সে ৪০, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও সুইডেনে যথাক্রমে সর্বনিম্ন ১৮, ১৮ ও ১৬ এবং সর্বোচ্চ অবসরের আগের দিন পর্যন্ত। আফ্রিকায় চাকরি প্রার্থীদের বয়স বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মতো সীমাবদ্ধ নেই। অর্থাৎ চাকরি প্রার্থীদের বয়স ২১ হলে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে যেকোনো বয়সে আবেদন করা যায়।এর আগে গত বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২১তম বৈঠকে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদেও শেষ দিকে মহাজোট সরকারের চমক হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক নির্দেশনা দেয়া হয়।২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ প্রস্তাবেরপক্ষে বিভিন্ন জেলা-প্রশাসকরা সমর্থন দিয়েছিলেন।প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ২০১১ অধ্যাদেশ মোতাবেক সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ৩০ বছর রয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাছাড়া একজন প্রার্থী ৩০ বছর বয়সে চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অনেক সময় ২ বছরের বেশি সময় চলে যায়, সে ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা উচিত।

কাজিন কে বিয়েঃ চিকিৎসা-মনো বিজ্ঞানকি বলে !

প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায়ছোটকাল থেকেই কাজিনদের (চাচাতো-মামাতো-খালাতো-ফুফাতো ভাই-বোন) সঙ্গে আমরা বেড়ে উঠি । বড় হওয়ার পরও তাদের সঙ্গে বজায় থাকে অম্ল-মধুর সম্পর্ক। অনেক সময় তৈরি হয় ভালোবাসা, যা হয়তো বিয়ে পর্যন্ত পরিণতি পায়। এ ছাড়া, অনেক সময় অভিভাবকদের সম্মতিতেও কাজিনদের মধ্যে বিয়ের ঘটনা ঘটে ।কাজিনদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মত আছে। তবে স্বাস্থ্যগত দিকে থেকে কাজিনদের মধ্যে বিয়ের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মত দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কেন? এ ধরনের বিয়ে তো সুখী হওয়ার কথা, যেহেতু ছেলে-মেয়ে দুজনই পরস্পরকে চিনে-জানে দীর্ঘদিন থেকে।এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্বল্পস্থায়ী সম্পর্ক থেকে দুজন কাজিনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে যখন দুজনের কেউ অন্য কোনো সম্পর্ক থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে।তারা আরও বলেন, এই ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয় অনেকটা মোহ বা মায়া থেকে। কাজিনদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক সাধারণত নষ্ট হয় না। যদি না দুজনের পরিবার সম্পর্ক মেনে নিতে পুরোপুরি অস্বীকৃতি না জানায়।ক্লিনিক্যাল মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুজনকাজিনের বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্যগত জটিলতার বিষয়টি ভাবা উচিত। বিশেষ করে যখন তারা সন্তান নিতে চাইবে। স্বাস্থ্যগত কারণেই মূলত, কাজিনদের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি উচিত মনে করা হয় না।কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, প্রথমত অধিকাংশ কাজিনদের রক্তের গ্রুপ একই হয়। যদি রক্তের গ্রুপ আলাদাও হয়, তাদের শারীরিকউপাদান একই হয়। এই বিষয়টাই কাজিনদের বিয়ের ক্ষেত্রে বড় একটি সমস্যা। শারীরিক উপাদানেমিল থাকলে সুস্থ শিশু জন্ম দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কাজিনদের মধ্যে বিয়ে হলে শারীরিক ও মানসিক জটিলতাপূর্ণ শিশুর জন্মদানের আশঙ্কা থাকে বেশি। মূলত প্রকৃতি এভাবেই কাজ করে।তবে স্বাস্থ্যগত দিকে থেকে না দেখে এ ধরনেরবিয়েতে খারাপ কিছু দেখছেন না বিয়ে করা দুই কাজিন সমীর ও মুনিরা। তারা প্রেম করে বিয়ে করেছেন। মুনিরা তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে বলেন, “আমরা একই শহরে বাস করতাম। সাপ্তাহিক ছুটি, বিশেষ করে কোনো উৎসব, জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হতো। কলেজে ওঠার পর কাজিনের সম্পর্ক থেকে আমরা আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। গত বছর আমরা বিয়ে করি। আমার মনে হয়, কাজিনকেবিয়ে করা খারাপ কিছু নয়। সম্পর্কের পর থেকেই আমরা দুজন দুজনের ভালো বন্ধু এবং আমাদের বোঝাপড়া অনেক ভালো।”

চলে গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ

বড় দিনের সকালে ৩৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ অ্যান্দ্রেস মোরিনো সেপুলভেদা। মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলের সনোরা শহরের একটি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দ্রেস দুই মাস আগে নিজের ওজন কমাতে হাসপাতালে সার্জারি করেন। তবে তার ওই সার্জারি ছিল অত্যন্ত কঠিন। কেননা এর আগে চিকিৎসকরা এ ধরনের কোনো সার্জারির মুখোমুখি হননি।সে সময় পাকস্থলিতে গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারির পর তার ওজন কমে ৩শ ২০ কিলোগ্রাম হয়েছিল। চিকিৎসকরা তাকে জানান, নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মেনে চললে তার ওজন ৮৫ কিলোগ্রামেনেমে আসতে পারে। কিন্তু তার আগেই চলে গেলেনবিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষের এই খেতাবজয়ী মেক্সিকান।অ্যান্দ্রেসকে গত মাসে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি টি শার্ট উপহার দেন। তার ওজন কমাতে উৎসাহিত করতে রোনালদো ওই টি শার্ট উপহার দেন।

শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

Puk code for gp users

Want to know the your Grameenphone puk code? Want to know how to fix the puk problem in Grameenphone? Read this article to know how to get the puk for Grameenphone number.

If you entered your pin wrongly three times, then the sim will be locked and to unlock you must need PUK. without PUK you cannot be able to unlock the sim card. Now you may be thinking how to get the puk of locked sim.

How to find PUK code for Grameenphone sim card
It is very easy to get the PUK, all you have to do is just call Grameenphone Customer care through your another Grameenphone number or from your friend mobile who are using Grameenphone.
Advertise
Before calling customer care make sure you have
1.The 8 -15 unique number printed on your sim card, Incase if you dont have it on your simcard you may find it in the cover pack which comes with new sim card.
2.The name of the owner of the sim, owner means the name which you have given when you are buying the new sim.
3.There are some rare cases where they ask about the last recharge amount or date.
Tags : puk code for Grameenphone sim, how to find puk code for Grameenphone sim card, Grameenphone puk code online, docomo puk code generator, how to get puk number for Grameenphone, Grameenphone puk code customer care , how to get Grameenphone puk code, Grameenphone puk code number,Grameenphone puk code generator,  Grameenphone puk code online, Grameenphone puk code number, Grameenphone puk code unlock, Grameenphone sim puk code number, Grameenphone puk code finder, how to find puk code for Grameenphone sim card, Grameenphone customer care number

Banglalink Free 500MB Internet ON 18 TK Recharge

Banglalink Free 500MB Internet ON 18 TK Recharge

banglalink launched another recharge based bonus internet data offer. all play package customers can get 500 MB internet instant bonus and and BL FnF half paisa/sec

Offer details/conditions:
• for every 18tk. recharge you will enjoy 500 mb instant bonus
• bonus internet-data can be used from 9 am to 5 pm
• bonus internet-data validity 2 days ( including bonus receiving date.)
•  BL FnF call rate half paisa/sec from 12 am to 10am
• Free Internet and BL FnF rate can be taken multiple times
• to check bonus balance, tdial *124*55#
• this offer is only for banglalink play package customers
• this is a limited time offer.

Grameenphone Giving10 MB Emergency Internet Balance

Grameenphone 10 MB Emergency Internet Balance Details:

Applicable only for GP Prepaid customers
Customer needs to dial
*1010*2# to avail the offer
Eligibility: Customer need to have main balance Tk 1 or less with no data volume in account
In case of recharge, voice emergency balance will get first priority. In case of two emergency balances, the customer will receive the requested amount only after both the emergency balances have been deducted
Customers will be offered 10MB data loan @ Tk 5 (2 days validity)
Tk 5 will be deducted from account next time customer recharges
3% Supplementary Duty (SD) and 15 % VAT on price inclusive of SD will be applicable on the price mentioned above

বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খেতে ভুলে গেলে কী করবেন?

ওষুধ খেতে ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তেমনই বার্থ কন্ট্রোল পিল খেতে ভুলে গেলেও আসলে মানুষটিকে দোষ দেওয়া যায় না। কিন্তু একবার পিল খাওয়া মিস হলে কী করতে হবে এ ব্যাপারে অনেকেই জানেন না। বকা খেতে হবে এই ভয়ে ডাক্তার বা পরিবারের কাউকেও জিজ্ঞেস করেন না। আপনাদের জন্যই জরুরী এই তথ্যগুলো।
যদিও এখান থেকে আপনি কিছু সাধারণ ধারণা পাবেন, কিন্তু এর পরেও জেনে রাখুন ডাক্তারের সাথে কথা বলাটাই সবচাইতে ভালো সমাধান। পিলটা যে খেতে বলেছে তার থেকেই উপদেশ নেওয়া ভালো। কারণ একেক ব্র্যান্ডের পিলে একেক ধরণের উপাদান থাকে। কিছু পিলের ক্ষেত্রে নতুন করে খাওয়া শুরু করলেই হয়। কিন্তু কিছু কিছু পিলের ক্ষেত্রে আবার ভুল করে না খাওয়াটা হতে পারে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার লুৎফুন্নাহার নিবিড় প্রিয়.কমকে জানান , ১-২ দিনের পিল মিস হয়ে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই এই ১/২ দিনের পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরেরগুলো নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। এর পাশাপাশি ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ বা এমন কোন ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল ব্যবহার করতে হবে। আর যদি ৫-৬ দিনের মিস হয়ে যায় তাহলে আর নতুন করে পিল খেতে হবে না কিন্তু সেই পুরো মাসের জন্য তাকে এবং তার স্বামীকে অন্য কোন বার্থ কন্ট্রোল মেথড ব্যবহার করতে হবে।
কিছু পিলের একই প্যাকেটের মাঝে কয়েক লেভেলের হরমোন সমৃদ্ধ পিল থাকে। একেক সময়ে একেকটা খেতে হয়। আপনি কোন পিলটা মিস করেছেন তার ওপর নির্ভর করে সমাধান একেক রকমের হবে। এখানে দেখে নিন কম্বিনেশন পিল খাওয়া মিস করলে কী করতে হবে তার ব্যাপারে কিছু তথ্য।
- Planned Parenthood এর মতে, একটানা সাতদিন বা তার বেশি গেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। একটা প্যাক শেষ হবার পর নতুন একটা প্যাক শুরু করতে ভুলে গেলে অথবা পুরনো প্যাক শেষ না করলে এটা হতে পারে। এর জন্য এই চার্টটা দেখে নিতে পারেন।
- প্যাকের শুরুতে এক বা দুইটা পিল খেতে ভুলে গেলে যখন মনে পড়বে তখনই একটা খেয়ে নিতে হবে। এর পরেরটা মনে করে সময়মত খেয়ে নিতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার একটা সাতদিনব্যাপি ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল মেথড ফলো করতে হতে পারে।
- ৩ দিন থেকে শুরু করে ২১ দিন এর মধ্যে যদি ২/১টা পিল খেতে ভুলে যান তাহলেও একইভাবে মনে পড়ার সাথে সাথে একটা পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরেরটা সময়মত খেতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণত কোন ব্যাকআপ লাগে না।
- প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনটা বা তার বেশি পিল মিস করলে এক্ষেত্রে মনে পড়ার সাথে সাথে একটা পিল খেয়ে নিতে হবে এবং পরেরটা সময়মত খেতে হবে। এক্ষেত্রে সাত দিনের ব্যাকআপ বার্থ কন্ট্রোল দরকার হবে।
- তৃতীয় সপ্তাহে যদি তিনটা বা তার বেশি পিল মিস করেন তাহলে আর ওই প্যাক থেকে ওষুধ খাবেন না, পুরো প্যাকের ওষুধ ফেলে দিয়ে নতুন একটা প্যাক শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে সাতদিনের ব্যাকআপ লাগবে।
প্রেগ্নেন্সি টেস্ট করে নেওয়াটা ভালো এক্ষেত্রে।
কী করতে হবে এক্ষেত্রে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা ভালো, তবে তারমানে এই নয় যে আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে যেতে হবে। আপনি ফোন করেও জেনে নিতে পারেন কী করা দরকার। এছাড়া ওষুধের প্যাকের সাথে যে নির্দেশিকা থাকে সেটা থেকেও আপনি কিছু তথ্য পেতে পারেন। গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকলে আপনি ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভের ব্যাপারেও চিন্তা করে দেখতে পারেন।