Bangla Health Tips,Medical and Doctor Guides,Technology Tips,Islamic Information and Many more information.
একটি সম্পূর্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক পোর্টাল। সকল স্বাস্থ্য তথ্য, টিপস, ব্যাধি, রোগ জিজ্ঞাসা, ঔষধ, স্বাস্থ্য-কথা জানতে চোখ রাখুন।
বাংলাদেশের সকল ধরনের তথ্য নিয়ে আমরা আছি।সাথেই থাকুন.........
শীতকালে অনেকেই গরম পানিতে গোসল পছন্দ করি, আরাম বোধ করি। গোসলের পানি গরম হলে শরীর তো পরিস্কার হয়ই, উপরন্তু কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। গোসলের জন্য গরম পানি যদি শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার কাছাকাছি পর্যায়ের গরম হয়, অর্থাৎ ৮৫ থেকে ৯২ ফারেনহাইট- এরূপ গরম পানি দিয়ে ২ থেকে ১৫ মিনিট গোসল করা উচিত।
শরীরের পেশির স্টিফনেস (Stiffness) দূর হয়। পেশির নমনীয়তা বাড়ে। লাঘব হয় পেশির ব্যথা (Muscle Pain)। নিয়মিত এরূপ গরম পানিতে গোসল করলে বাতের ব্যথা উপশম হয়। অস্থি সন্ধির ব্যথা কমে। কমে প্রদাহ।পিঠের ও হাঁটুর ব্যথা ভালো হয়। অনেকের মাথার ব্যথাও কমে যায়।গরম পানির প্রভাবে ত্বকের রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত সরবরাহ বাড়ে, ত্বক পুষ্টি পায় ভালো। ত্বকের আণুবীক্ষণিক ছিদ্রগুলো খোলে যায়। ফলে ভেতরকার ময়লা বের হয়ে যেতে পারে। ত্বক পরিস্কার হয়। ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ে। ত্বক থাকে বেশ কোমল।গরম পানির ভাপে নাকের কনজেশন বা নাক বন্ধ হয়ে থাকার ভাব কমে যায়। কমে যায় শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে থাকার ভাবও। নাকের ছিদ্র খোলে যায়, শ্বাসনালী প্রসারিত হয়। গরম পানির গোসলে তাই সাইনোসাইটিসে উপকার পাওয়া যায়। উপকার পাওয়া যায় শ্বাসকষ্টেও।
গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের রক্তনালী প্রসারিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায়। আর এই বাড়তি রক্ত আসে শরীরের ভেতরকার অংশ থেকেই। শরীরের ভেতরকার অঙ্গের রক্ত সরবরাহ সাময়িকভাবে কমে যায়। অন্যান্য অঙ্গের ন্যায় মহিস্তষ্কের রক্ত সরবরাহও কমে যায় সাময়িকভাবে। মস্তিষ্কের ভার সামান্য লাঘব হয় বিছু সময়ের জন্য। তাই ঘুমের ১৫ মিনিট আগে গরম পানিতে গোসল করলে একটু ভালো ঘুম হয়।
এর মানে এই নয় যে শুধু গরম পানিতেই গোসল করতে হবে। গরম পানিতে গোসল কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যাদের হাইপারটেনশনসহ হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য গরম পানিতে গোসল ভালো নয়। গরম পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে যায়।
হজম শক্তিআমরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করে থাকি সেগুলো হজম হতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে পাচনতন্ত্র। কি খাব সেটি আমরা ঠিক করলেও খাবার কিভাবে হজম হবে সেটি পাচন প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে।
পাচনতন্ত্রে সমস্যা হলে ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিক, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, এনার্জির মাত্রা কমে যাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা হতে পারে। ফল সুস্থ থাকতে গেলে হজমশক্তি বাড়াতে উপায় আমাদের জানতে হবে। দেখে নেয়া যাক কি কি অভ্যাস হজমশক্তি বাড়ানোর সহায়ক হতে পারে-
* ডায়েটে ফাইবার যুক্ত খাবার রাখলে পাচনপ্রক্রিয়া অনেকটাই স্বাভাবিক থাকবে। এজন্য নানা ধরনের ফাইবারযুক্ত ফল, সবজি ও শস্য ডায়েটে রাখতে হবে।
* শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেটি আগে থেকেই বোঝা হয়। যদি খাবার সময়ে বেশি খেতে ইচ্ছে না করে তাহলে জোর করে খাবেন না। যদি শরীর ক্ষুধার্ত থাকে, তাহলে এমনিতেই আপনার বেশি খিদে পাবে।
* পেট ভরে খেলেই যে শরীর ভালো থাকবে সেটি ঠিক নয়। বরং পেট কিছুটা খালি রেখে খেলেই শরীরের ও পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো।
* ফ্যাটযুক্ত খাবার বেশি খেলে পাচন প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়। তবে আবার একেবারেই ফ্যাটি খাবার না খেলেও সমস্যা। পরিমিত ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী।
* টক দই খাবার হজমশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়।
* খাবার সময় যারা সঠিক সময়ে খান ও নিয়মিত একই সময় অনুসরণ করেন তাদের পাচন প্রক্রিয়া অন্যদের চেয়ে ভালো থাকে। ফলে ব্যস্ত থাকলেও সঠিক সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
* হজমের ক্ষেত্রে পানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। হজমশক্তি ঠিক রাখতে অনেক বেশি পানি পান করুন।
* অনেকেই কফি, সিগারেট এমনকি অ্যালকোহলকে সবসময়ের নেশা বানিয়ে ফেলেন। নেশা ছাতে পারলে শরীর ও পাচনতন্ত্র ঠিক থাকবে।
* কর্মহীন জীবনযাপন কখনই শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে না। কর্মঠ জীবনযাপন করুন ও সুস্থ থাকুন।
* ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা খাবার হজমের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। এজন্য যতটা সম্ভব ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।
অফিসের কোনও গুরত্বপূর্ণ মিটিংয়ে আপনার পাশে বসেছেন বস। কিন্তু ক্রমাগত একটা বিচ্ছিরি গন্ধ নাকে আসছে। কোথা থেকে আসছে, তা নিজেও বুঝতে পাচ্ছেন। কিন্তু কিছু করার থাকছে না। এমন পরিস্থিতি কী করবেন?
মুখের গন্ধ খুবই বিব্রতকর সমস্যা। দিনে দুবার ব্রাশ করলেও মুখ থেকে দুর্গন্ধ যায় না। কারন, নানা রকম খাবার খাওয়ার কারণে মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি নিমেষেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পারে।
পানি : মুখে দুর্গন্ধ হলেই আগে পানি খান। দেখবেন দুর্গন্ধ উধাও হয়ে যাবে। খাওয়ার পর খুব ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। অল্প অল্প পানি নিয়ে মুখে কুলি করে ফেলে দেবেন। এরপর একগ্লাস পানি খান। দেখবেন মুখের দুর্গন্ধ চলে যাবে পুরোপুরি।
আপেল : আপেল খেলেও মুখের দুর্গন্ধ চলে যায়। আমরা যখন আপেল খাই, তখন মুখের মধ্যে প্রচুর লালা উৎপন্ন হয়। তাতে ব্যাকটেরিয়া লালার সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যায়। তাতে মুখের মধ্যে তৈরি হওয়া গন্ধ দূর হয়ে যায়।
এলাচ : এই উপায়টা হয়তো অনেকেরই জানা। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দারুণ সহায়ক। যদি আপনার মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা থাকে, তাহলে ব্যাগে বা পকেটে কয়েকটি এলাচ রাখতে পারেন। মুখের দুর্গন্ধ হয়েছে বলে মনে হলেই এলাচ দানা মুখে পুরে দিন। দেখবেন মুখের দুর্গন্ধ চলে যাবে।
লেবু : ভিটামিন সি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধবংস করে দেয়। আর লেবু বা কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। তাই মুখে দুর্গন্ধ অনুভূত হলেই লেবু বা কমলালেবু খেতে পারেন।
গ্রিন টি: এমনিতেই গ্রিন-টি স্বাস্থ্যে পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এতে প্রচুর পরিমানে ফ্ল্যাবনয়েড থাকে। এই ফ্ল্যাবনয়েড আসলে মুখের মধ্যেকার ব্যাকটেরিয়াকে বিনাস করে। তাই চটজলদি মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
চুইংগাম : নানান ফ্লেভারের চুইংগাম এখন দোকানে পাওয়া যায়। তবে চিনিমুক্ত চুইংগামই মুখের দুর্গন্ধ আটকাতে পারে। চুইংগাম চিবিয়ে নিলে মুখের মধ্যে লালা নিঃসৃত হয়। তাতে মুকের মধ্যেকার উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায়।
শরীর চুলকানি কোন নতুন সমস্যা নয়। বিভিন্ন কারণেই দেহে চুলকানি হতে পারে। অনেক সময়ই আমাদের হাতে, পায়ে, পিঠে চুলকানি হয়। তা কোন শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াই হতে পারে কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ যা আমরা হাত দিয়ে চুলকালেই সেরে যায়। তবে অন্যান্য ধরণের কিছু চুলকানি হয়ে থাকে যেমন- এলার্জি, মশার কামড় কিংবা যেকোন পোকার কামড়, শরীরে কোন জায়গায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ, হাত পা ছিলে গেলে তা শুকানোর সময়ও চুলকানি হয়ে থাকে। আর এই সমস্যাগুলোতে হাত দিয়ে চুলকিয়েই আরাম পাওয়া যায়না। বেশি সমস্যা থাকলে ডাক্তার দেখাতে হয় কিংবা ঘরোয়া উপায়েও সারিয়ে তোলা যায়। তাই যে কোন রকমের চুলকানি সারিয়ে তুলতে আপনি সাহায্য নিতে পারেন প্রাকৃতিক কিছু জিনিসের। চলুন জেনে নিই, জিনিস গুলো ও তার ব্যবহার সম্পর্কে।
লেবু
ভিটামিন সি তে ভরপুর লেবু যে কোন চুলকানি খুব সহজেই দূর করে দেয়। বিশেষ করে লেবুর ভোলাটাইল তেল শরীরের যেকোন রকমের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। লেবু টুকরা করে কেটে নিয়ে চুলকানির স্থানে কিছুক্ষণ ঘষুন দেখবেন চুলকানি কবে যাবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি
যদি আপনার ত্বক খুব নাজুক হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন কারণ এর কোন বিপরীত প্রতিক্রিয়া নেই এবং এই জেলিতে কোন ধরণের বিষাক্ত পদার্থ নেই যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করবে। তাই শরীরের কোন অংশে চুলকানি হলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।চুলকানি
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মশ্চারাইজিং ক্ষমতা। এবং এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো। শরীরের যেকোন জায়গায় চুলকানি হলে অ্যালোভেরা কেটে এক টুকরা নিয়ে সেখানে ঘষুন চুলকানি চলে যাবে।3
তুলসী পাতা
কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালা পোড়া ও চুলকানি থামাতে সহায়তা করে। কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে ধুয়ে নিন তারপর যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে পাতা গুলো কিছুক্ষণ ঘষুন। অথবা কিছু তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি বরফ করুন এবং চুলকানি স্থানে ঘষুন।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় কম বেশি আমাদের সবাইকেই ভুগতে হয়। আমাদের পাকস্থলিতে অতিরিক্ত বা ভারসাম্যহীন অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়ার ফলে পেট ব্যথা, গ্যাস, বমিবমি ভাব, মুখে দুর্গন্ধ বা অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত বেশি ঝাল খাবার খাওয়া, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, দুঃচিন্তা, ব্যায়াম না করা বা অতিরিক্ত মদ্য পানের ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
এই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই অনেক ওষুধ খান। কিন্তু ওষুধ ছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধটিতেও এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই অ্যাসিডিটি নিরাময়ের ১১টি অসাধারণ কৌশল।
সাধারণত কুসুম গরম পানি রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২. দারুচিনি
হজমের জন্য খুবই ভাল, এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা পেটের গ্যাস দূর করে। এক কাপ পানিতে আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে দিনে ২/৩ বার এটা খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে সুপ/সালাদে দিয়েও খেতে পারেন।
৩. পুদিনা পাতা
এর বায়ুনিরোধক ও প্রশান্তিদায়ক গুণ নিমিষেই বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করা, পেট ফাঁপা ও বমি ভাব উপশম করে। তাই অ্যাসিডিটির লক্ষণ দেখা দিলেই কয়েকটি পুদিনা পাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে বা খেতে পারেন চা বানিয়ে। এক কাপ জলে ৪/৫ টি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খেতে পারেন বা চাইলে তাতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন।
৪. মাঠা
সারাদিনে কয়েকবার শুধু মাঠা খেলে বা সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো অথবা এক চা চামচ ধনেপাতার রস মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায় অথবা আধা থেকে এক চা চামচ মেথি সামান্য পানিতে পেস্ট করে এক গ্লাস মাঠার সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির পেট ব্যথা দূর হয়।
৫. আপেল সাইডার ভিনেগার
এর ক্ষারধর্মী প্রভাব পাকস্থলীর অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ১-২ চা চামচ অশোধিত ভিনেগার এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খাবার আগে বা দিনে এক বা দুবার খেতে পারেন।
সকালে ঘুম ভাঙার পর ছেলেদের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে। সম্প্রতি এর কারণ বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। পুরুষেরা ভোরে যৌনতায় আগ্রহী হলেও নারী এ সময় যৌনতায় সেভাবে আগ্রহী থাকে না। এর মূল কারণ টেস্টোস্টেরন হরমোন বলে মনে করছেন তারা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সকালে ঘুম ভাঙার পর ছেলেদের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে কারণ
রাতে যখন নারী ভালোবাসার পরিপূর্ণ স্বাদ নিতে চান তখন পুরুষ ঘুমে ঢুলতে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এর কারণ হলো নারী ও পুরুষের হরমোনের পার্থক্য। আর এ পার্থক্যের কারণেই উভয়ের দেহঘড়ি একত্রে চলে না। গবেষকরা এক্ষেত্রে কয়েকটি সময়ের বর্ণনা করেছেন, যে সময়ে নারী-পুরুষের হরমোনের পার্থক্য লক্ষ্যণীয়।
ভোর ৫টায় পুরুষের টেস্টোস্টেরন (Testosterone) হরমোন সর্বাধিক থাকে। দিনের অন্য সময়ের তুলনায় এ মাত্রা ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। এ সময় নারীও টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন করে। তবে তা অতি সামান্য মাত্রায়।
সকাল ৬টায় পুরুষের টেস্টোস্টেরন Testosterone হরমোনের মাত্রা কমে না। ঘুম যত লম্বা হয় হরমোনটির প্রভাবও তত বেশি হয়। আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (American Medical Association) জানিয়েছে, পাঁচ ঘণ্টার বেশি ঘুম পুরুষের হরমোনটির মাত্রা ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
সকাল সাতটায় যদি কোনো পুরুষ ঘুম থেকে উঠে তখন তার দেহে যতখানি টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা থাকে সর্বাধিক। কিন্তু একজন নারীর সে সময় সবচেয়ে কম থাকে। অন্যদিকে দিন শেষে পুরুষের এ হরমোনটির মাত্রা সবচেয়ে কমে যায় আর নারীর সবচেয়ে বেশি থাকে। আর এ কারণেই সকালে ঘুম ভাঙার পর ছেলেদের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে
অনেকদিন ধরেই সিগারেট ছাড়তে চাইছেন? অথচ কিছুতেই পেরে উঠছেন না তাই তো? বহুবার রেজলিউশন নিয়েছেন। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই যেই কে সেই। সিগারেট ধরা যতটা সহজ, ছাড়া ঠিক ততটাই কঠিন। তবে যদি সত্যিই সিগারেট ছাড়তে চান, তাহলে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই খাবারগুলো।
১। দুধ– দুধের পুষ্টিগুণের কথা কারও অজানা নয়। শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিন জোগায় দুধ। তবে জানেন কি এই দুধ ধূমপান ছাড়াতেও কার্যকরী? ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানাচ্ছেন ধূমপানের আগে এক গ্লাস দুধ খেলে সিগারেটের স্বাদ ভাল লাগবে না। দুধের পর সিগারেট খেলে মুখ তেতো হয়ে যাবে। ধূমপান ছাড়তে চাইলে সিগারেট খাওয়ার আগে দুধে ডুবিয়ে নিন। তিতকুটে স্বাদের চোটে খেতেই পারবেন না। সেই স্বাদ এক বার মনে থাকলে ধীরে ধীরে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে।
২। গাজর- দুধের মতোই শশা, গাজর, বেগুন, সেলারি পাতা খেলেও সিগারেটের স্বাদ তেতো লাগে। চিকিত্সকরা বলেন ডায়েটে বেশি পরিমাণ শাক-সবজি থাকলে সিগারেটের উপর নির্ভরশরীলতা কমে। তবে ভূট্টা বা কড়াইশুঁটি জাতীয় মিষ্টি সবজি থেকে দূরে থাকুন। এই সব খাবারে থাকা গ্লুকোজ সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়।
৩। কমলালেবু- সিগারেট শরীর থেকে ভিটামিন সি শুষে নেয়। ফলে সিগারেটের নেশা বাড়ে। যদি ধূমপান ছাড়তে চান তবে নিয়মিত কমলালেবু, মোসাম্বি বা বেদানা জাতীয় ফল খান। রোজ ফলের রসও খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা সিগারেটের নেশা কমাতে সাহায্য করবে।
৪। নোনতা খাবার- যখনই সিগারেট খেতে ইচ্ছা হবে তখনই নোনতা কিছু খেয়ে নিন। নোনতা চিপস, বিস্কিট বা জিভে সামান্য নুন লাগিয়ে নিলেও সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে। নেশা কমবে।
৫। আদা- সিগারেট খেতে ইচ্ছা হলে মুখে এক কুচি আদা রেখে চিবোতে থাকুন। অবিলম্বে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে।
৬। বাদাম- প্রতি দিন একমুঠো বাদাম খেলে শরীরে প্রোটিন, প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি মেটে। নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে সিগারেটের নেশা কেটে যায়।
৭। ইয়োগার্ট- দুধ খেতে ইচ্ছা না হলে ইয়োগার্ট খেতে পারেন। মনে রাখবেন দুগ্ধজাত খাবার কিন্তু সিগারেটের স্বাদ তেতো করে দেয়। নিয়মিত ইয়োগার্ট খাওয়া শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনই সিগারেটের নেশা কাটাতেও কার্যকরী।
৮। সুগার ফ্রি গাম- সিগারেটের নেশা কাটাতে মুখে রাখুন সুগার ফ্রি গাম। এতে সিগারেটের নেশা চলে যাবে। তবে মিষ্টি চিউইং গাম কিন্তু নেশা বাড়িয়ে দেবে। তাই অবশ্যই সুগার ফ্রি চিউইং গাম চিবোতে থাকুন।
সঠিক টুথব্রাশ Toothbrush বাছাই করুন: যে টুথব্রাশটির উপরের শলাকাগুলো অতিরিক্ত শক্ত নয় আবার নরমও নয় অথচ ব্রাশের হেন্ডেল হাতের আঙ্গুল দিয়ে ধরার জন্য যথেষ্ট সুবিধাজনক এবং মুখের সকল দাঁতের অবস্থান অর্থাত্ দাঁতের উপর নীচ এবং ভিতরে বাহিরে সহজে আনা নেয়া করা যায় সেরকম টুথব্রাশ বেশী কার্যকর। খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত শক্ত ব্রাশ আপনার নরম মাড়িকে আঘাত না করতে পারে। তাছাড়া আজকাল ইলেকট্রনিক ব্রাশও ব্যবহার করা নিরাপদ। ইলেকট্রনিক ব্রাশের সাহায্যে অতি সহজে দাঁতের সকল এলাকা বা স্থান থেকে খাদ্য কণা দূর করা যায়। তবে যাদের হাতে, কনুই বা ঘাড়ে আথ্রাইটিস (Arthrities) আছে তাদের জন্য ইলেকট্রনিক ব্রাশ নিরাপদ অথবা যাদের হাত দিয়ে ভালোভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে সমস্যা হয় তাঁদের জন্যও ইলেকট্রনিক ব্রাশ নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ইলেকট্রনিক ব্রাশ ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করছেন।
২. কতটুকু সময়: আপনি কি সময়মত দাঁত ব্রাশ করেন, বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রতিদিন দুই বেলা ব্রাশ করা প্রয়োজন তবে তিনবার করতে পারলে অতি উত্তম। দাঁত ব্রাশের জন্য দুই মিনিটই যথেষ্ট সময়। মুখের ভিতরে বিভিন্ন স্থানকে ৪টি স্তরে ভাগ করা যায় যেমন ডান দিকের উপরে নীচে এবং বাম দিকের উপরে নীচে এবং প্রতি স্তরের জন্য ৩০ সেকেন্ড সময় নির্ধারণ করা যায়। অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বা গল্প করতে করতে বা অন্য কিছু কাজে সময় ব্যয় করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষন দাঁত ব্রাশ করেন তাদের মধ্যে বেশীর ভাগেরই এনামেল ক্ষয় হয়ে এরোসন বা এট্রিশন হতে পারে এবং দাঁত অতি সংবেদনশীল হয়ে ঠান্ডা পানি বা গরম চা তে দাঁত শিরশির করতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষ এক ধরণের টুথ পেইস্ট এবং ডেন্টাল ফিলিং প্রয়োজন হয়।
৩. অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা শক্তভাবে ব্রাশ না করা: দেখা গেছে অনেকে ভেবে থাকেন যে জোরে জোরে এবং শক্তভাবে ব্রাশ দিয়ে দাঁত ঘষলে তাড়াতাড়ি ময়লা দূর হয় ,দাঁত ধবধবে সাদা হয়। আসলে কিন্তু তা নয় এই অতিরিক্ত ঘষাঘষির ফলে দাঁতের ক্ষয় হয় এবং এনামেল উঠে যায় অনেকক্ষেত্রে মাড়িও ক্ষয় হয়। তাই খুব ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দাঁত ব্রাশটিকে সবদিকে নিতে হবে। যেন দাঁতের কোনো অংশ বাদ না পড়ে।
৪. সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার: বিশেষজ্ঞরা বলছেন দাঁত ব্রাশটিকে প্রথমে মাড়ির থেকে ৪৫ ডিগ্রী এংগেলে বা কোনাকুনি বসিয়ে সকল জায়গায় ব্রাশ করতে হবে। দাঁত ব্রাশ দাঁতের বাহিরের অংশ এবং ভিতর দিককার অংশ এবং সেই সাথে জিহ্বার উপরিভাগও ব্রাশ করতে হবে, সত্যি কথা হলো ,দাঁতের কোনো স্থানেই এমনকি জিহ্বাতেও যেনো খাদ্যকণা লেগে না থাকে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
৫. মাঝে মাঝে দাঁত ব্রাশ এর শুরুটা পরিবর্তন করুন: আপনি কি সবসময় একই জায়গা থেকে দাঁত ব্রাশ শুরু করেন। আমরা কিন্তু অনেকেই তা করি। সেটা না করে আমরা যদি প্রতিদিন উপরের পাটি থেকে শুরু না করে ভিন্ন সময় ভিন্ন স্থান থেকে ব্রাশ করি তবে অনেক উপকার পাওয়া যায় যেমন আজ আমি উপরের পাটি থেকে শুরু না করে ভিতরের পাটি থেকে ব্রাশ শুরু করতে পারি এবং সামনের পাটির দাঁত ব্রাশ দিয়ে শেষ করতে পারি তাতে অভ্যাস পরিবর্তনের সাথে সাথে সাথে অনেক বেশি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে।
৬. কোন ধরণের টুথটেস্ট ব্যবহার করবেন: অনেক সময় আমরা টিভি বা রেডিও বিজ্ঞাপন শুনে বা দেখে টুথপেস্ট ব্যবহার করি এবং বলা হয় এগুলো দাঁতকে অনেক ঝকঝকে সাদা করে বা অনেক শিরশির দাঁতকে ভাল করে ইত্যাদি নানা বিজ্ঞাপন। কিন্তু,আসলে কি সব সত্যই তাই, আপনার ডেন্টিস্ট এর কাছে জেনে নিন কোন টুথ পেস্ট আপনার জন্য ভালো। কারণ দাঁত শিরশির করার জন্য ব্যবহূত টুথ পেস্ট দীর্ঘদিন ব্যবহারে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশী। সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে যেকোন ফ্লুরাইড Fluoride মিশ্রিত টুথপেস্ট নিয়মিত ব্যবহার করা, তবে কয়লা, পাউডার ইত্যাদি উপাদান দাঁতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস (Soft Drinks) দাঁতের জন্য ক্ষতিকর: অনেক ধরণের এনার্জি ড্রিংকস, ডায়েট সোডা বা চকলেট টফি এমনকি স্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন আপেল, অরেঞ্জ জুস এবং কফি আপনার দাঁতের এনামেলকে সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তাই এই জাতীয় খাবার পর দাঁত ব্রাশ করা জরুরী। কারণ টক জাতীয় খাবার দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
৮. ব্রাশ পরিষ্কার রাখুন: আপনি কি দাঁত ব্রাশের পরে ব্রাশটিকে ভালোভাবে ধুয়ে মুছে রাখেন। ব্রাশটিকে অবশ্যই পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে। কারণ আপনার মুখের ভিতরের খাদ্যকণা, ময়লা কিন্তু ব্রাশের সাথেই লেগে থাকে এবং পরের দিন কিন্তু সেই ময়লা বা পঁচা খাদ্যকণা দিয়েই আপনি দাঁত ব্রাশ করছেন। সুতরাং আপনার টুথব্রাশটিকেও ভালোভাবে পরিষ্কার করার পরে একটি জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে রাখবেন। তাতে আপনি মাড়িকে ও দাঁতকে সুস্থ রাখতে বেশী সক্ষম হবেন।
৯. টুথ ব্রাশটিকে কখনোই বাথরুমে রাখবে না: আমরা অনেক সময় টুথব্রাশটিকে বাথরুমে খোলা ভাবেই রেখে দেই যেটা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ব্রাশটিকে সবসময় একটি কৌটোর মধ্যে রাখবেন যদি সেটাকে খোলা রাখেন তবে বাথরুমের সকল ধরণের জীবানু আপনার টুথব্রাশে আশ্রয় নিতে পারে যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আবার অন্যদিকে একজনের ব্রাশ আরেকজনের ব্রাশের সাথে একটি কৌটায় কখনো রাখবেন না। তাতেও জীবাণু ছড়াতে পারে। ব্রাশ সবসময় শুকনো জায়গায় রাখবেন। কারণ ভিজে বা পানিযুক্ত ব্রাশে জীবাণু তাড়াতাড়ি আশ্রয় নেয়।
১০. কতদিন ব্রাশ ব্যবহার করবেন: আমেরিকান ডেন্টাল এসোাসিয়েশন এর মতে, একটি ব্রাশ তিন থেকে চার মাস ব্যবহার করাই নিরাপদ। আপনি ব্রাশের শলাকাগুলোর দিকে খেয়াল করুন যখনই শলাকাগুলো নুইয়ে পড়বে বা বাঁকা হয়ে যাবে তখনই ব্রাশটিকে বদলাতে হবে। কারণ বাঁকা শলাকার টুথব্রাশ সঠিকভাবে খাদ্যকণা পরিষ্কার করতে পারে না।