BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

বাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে ১০ টি মারাত্মক সেফটি টিপস

বাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে ১০ টি মারাত্মক সেফটি টিপস

বর্তমান সময়ে বাইক রাইডিং একটা প্যাশন এবং অনেকের ক্ষেত্রে এটা একটা নেশায় পরিণিত হয়েছে । কিন্তু আমরা সবাই’ই জানি যে বাইক রাইডিং এ অনেক রিস্ক রয়েছে এবং সেগুলো মোকাবেলা করেই বাইক রাইড করতে হয় । না হলে আপনি বা যেকোন রাইডারই এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হতে পারে এবং বাইক এক্সিডেন্টের ফলে প্রতিদিনই অনেক মানুষ আহত হচ্ছে এমনকী অনেকে মারাও যাচ্ছে । তাই রাইডিং এর আগে কীভাবে সেফলি বাইক রাইড করা যায় সে বিষয়ে আমাদের জানা উচিৎ । আর এটাই আমাদের আজকের আলোচনার বিষয । আজ আমি আপনাদের বাইক রাইডিং এর কিছু সেফটি টিপস দিব যেগুলো আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে ।

হেলমেট:
আমরা সবাই জানি যে হেলমেট এর মত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাইডিং রে ক্ষেত্রে আর হয় না । এটা রাইডারের মাথার সেফটি দিয়ে থাকে এবং বেশীরভাগ এক্সিডেন্টে রাইডারের মাথাই ইনজুরি হয়ে থাকে । তাই , রাইডিং এর আগে সব রাইডারের একটা ভাল এবং তার সাথে ফিট একটা হেলমেট চয়েজ করা দরকার । এটা খুব টাইট বা খুব লুস হবার কোন দরকার নেই । এটা যেন আপনার মাথার সাথে পারফেক্টলি ফিট হয় । আর এটা কেনার সময় ডিজাইন বা স্টাইল না দেখে এটার সেফটি পাওয়ার দেখে কেনাই ভাল ।

মনোযোগীতা:
রাইডং এর সময় বাইকারের এটেশন সবসময় রোডের দিকে থাকাই ভাল । না হলে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । আপনার চোখ সবসময় রোডের উপর রাখুন । অন্যমনস্ক ভাবে রাইডিং এক্সিডেন্টের অন্যতম প্রধান কারণ । আর আপনার সামনে বা পেছনে কোন বাইক বা অন্য কোন যানবাহন আছে কীনা সেটার দিকে লক্ষ্য রাখুন । টার্ণিং এর সময় পুরো রোডের দিকে ভালভাবে খেয়াল করে টার্ণ করুন । রাস্তার ট্রাফিকের বিষয়টা এক্ষেত্রে মাথায় রাখুন ।

প্যাসেঞ্জার:
রোডে সিঙ্গেল রাইড করছেন এমন পাবলিক খুব কমই দেখা যায় ।সবসময়ই বাইকের পেছনে একজন সহ রাইডিং এর বিষয়টা বেশী নজরে পড়ে । রাইডিং এর ক্ষেত্রে প্যাসেঞ্জারও একটা ভাইটাল রোল প্লে করে । রাইডিং এর আগে আপনার পেছনের যাত্রী ঠিকমত বসতে পেরেছে কীনা সেটা লক্ষ্য রাখুন । অনেক সময় পেছনে বসা কারোর নড়াচড়া বা অনাকাঙ্খিত মুভমেন্টের কারণেও বিপদ ঘটে থাকে । আর আপনি একজন প্যাসেঞ্জার নিয়ে রাইড করতে কতটা অভিজ্ঞ সেটাও একটা বিষয় । আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে আপনার পেছনে একজন বসে আছে এবং সেই অনুসারে রাইড করা উচিৎ ।

আবহাওয়া:
খারাপ আবহাওয়াতে আপনার রাইডিং এ না যাওয়াই ভাল । কারণ বৃষ্টির সময় রোড ভেজা থাকার কারণে আপনার বাইকের চাকা খুব সহজেই স্লিপ করতে পারে । খুব ইমারজেন্সি কোন দরকার ছাড়া বৃষ্টির সময় আপনার বাইক নিয়ে না বের হওয়াই ভাল । যদিও আপনি অভিজ্ঞ এবং ভাল রাইডার হন , তারপরও বৃষ্টির সময় রিস্ক না নেওয়াটাই বেটার । আর বৃষ্টির সময় রাইডিং এ গেলে অবশ্যই বাইক খুব আস্তে রাইড করবেন এবং ব্রেকিং এর সময় হার্ড ব্রেকিং থেকে বিরত থাকবেন ।

টেকনোলজি:
বর্তমানে নতুন টেকনোলজির এন্টি লক ব্রেকিং সিস্টেমের ফলে ব্রেকিং সিস্টেম একটা অন্যরকম উচ্চতায় চলে গেছে । কিন্তু , এটা বর্তমানে বেশীরভাগ রাইডারের কাছেই নতুন একটা বিষয় এবং বেশিরভাগ রাইডার এটা সম্পর্কে ভালভাবে বুঝে উঠতে পারেননি । এটা যখন আপনার চাকাকে লক করে দেয় তখন নতুন রাইডার হলে ভয়ে বা অন্য যেকোন কারণে আপনি বাইকের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলতে পারেন । তাই , নতুন কোন টেকনোলজি ভালভাবে প্রাকটিস করে ইউজ শুরু করুন ।

হেডফোন বন্ধ রাখুন:
রাইডিং এর সময় এটেনশন যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট সেটা আগেও বলেছি । যেকোন প্রকার অমনোযোগীতা আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে । তাই , রাইডিং এর সময় কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনা বা কথা বলা থেকে বিরত থাকুন । কারণ , এটা একই সাথে আপনাকে অমনোযোগী করে দেয় এবং আশেপাশের কোন যানবাহনের হর্ন আপনি শুনতে পাবেন না কানে হেডফোন থাকলে ।

স্কিল:
মোটরসাইকেল রাইডিং অবশ্যই একটা স্কিল এর বিষয় , এবং আপনি কত ভালভাবে মোটরসাইকেল রাইড করতে পারেন সেটা আপনার স্কিলের উপর ডিপেন্ড করে । আর এক্ষেত্রে সবার নিজের স্কিল ফলো করাই উচিৎ । কোনসময়্ই আপনার স্কিলের সাথে অন্য কারও স্কিল তুলনা করবেন না , কারণ , আপনি যার রাইডিং স্টাইল নল করতে চাইছেন তার স্কিল আপনার মত নাও হতে পারে । তাই , এটা একটা বোকামী । রাইডিং এর মাধ্যমে আপনার নিজের স্কিল ডেভলপ করুন । সেটাই সবথেকে ভাল ।


এ্যাপিয়ারেন্স:
রাইডারের এপিয়ারেন্স রাইডিং এর ক্ষেত্রে সবসময় ভাল হওয়া উচিৎ । আপনার উচিৎ রাইডিং এর সময় একটা ভাল বুট পড়ে রাইড করা । এটা আপনার গিয়ার শিফটিং এর সময় সহায়তা করা সহ যেকোন দূর্ঘটনা থেকে আপনার পা কে সুরক্ষা দেয় । রাইডিং এর সময় ইন্জিনের তাপে আপনার পা পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে । একটা ভাল রাইডিং বুট আপনাকে এটা থেকেও নিরাপত্তা দিতে পারে । আর আপনার জুতার সোল সবসময় একটু অমসৃণ হওয়া উচিৎ , কারণ , সোল নরম ও মসৃন হলে আপনার পা স্লিপ করতে পারে ।

বাইকারের ড্রেস:
খুব টাইট বা ঢিলাঢোলা ড্রেসআপ কোন রাইডারের জন্যই ভাল না । কারণ এটা আপনাকে ভাল নিরাপত্তা দিতে পারে না । আপনার ড্রেস হিসেবে লেদার একটা প্রথম চয়েজ হতে পারে কারণ আপনি বাইক থেকে পড়ে গেলে এটা আপনার বডিকে ইনজুরি থেকে রক্ষা করে । আর এমন ড্রেস চয়েজ করবেন না যেটা বাতাসের বাধা সৃষ্টি করতে পারে । কারণ , হাই স্পীডে বাতাসেরবাধার কারণে অনেক সময় মারাত্মক সমস্যা হয়ে থাকে । ‌

আইন সম্পর্কে জানুন:
একজন রাইডারের জন্য ফাইনাল টিপস হল রাইডারের উচিৎ একটা মোটরসাইকেল সেফটি কোর্স করা । মোটরসাইকেলের লাইসেন্স করার সময় আপনাকে এই কোর্সের জন্য পরীক্ষা করে নেওয়া হয় । এই সময় আপনি আপনার দেশের ট্রাফিক সেফটি আইন সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং কীভাবে ইমারজেন্সী সিচুয়েশনে বাইক কন্ট্রোল করতে হয় সেই বিষয়েও জানতে পারবেন । এই সময় ইনস্ট্রাকটর আপনাকে মোটরসাইকেল মেইনটেইন্স এবং আনসেফ সিচুয়েশন কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় সে বিষয়েও টিপস দিবে । মোটামোটি আপনি এই সময় মোটরসাইকেলের সেফটি বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
by Jahidmonir

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন