আজ একটা ভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করব। আলাপচারিতায় আমাদের অনেক ঘনিষ্ঠ শোভাকাঙ্ক্ষি স্বীকার করেছেন তাদের যৌন সমস্যা সৃষ্টির মূল কারণ হলো বাংলা চটি (অশ্লীল গল্প) পড়ে পড়ে বিভিন্ন বদ অভ্যেসে জড়িয়ে পড়া।
সাধারণত কিশোররা বাংলা চটি (অশ্লীল গল্প) পড়ে পড়ে তীব্র হস্তমৈথুনের শিকার হয়ে থাকে।
আজকাল ইন্টারনেট এর পর্যাপ্ত সুবিধার কারণে আমাদের কিশোররা পর্যন্ত বিভিন্ন পর্ণ এবং চটিতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। বিষয়টা বেশ অস্বস্তিকর আমাদের সমাজের জন্য। যে সকল কিশোর আর যুবকরা আমদের ভবিষ্যত, তারাই যদি বীর্যবান সুপুরুষ না হয়ে অকাল বার্ধক্যের শিকার হয়, যারা আজ পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা সেই তারাই যদি এসবে আকৃষ্ট হয়ে তিল তিল করে নিজেকে ক্ষয় করতে থাকে তাহলে এ বিষয়টা যথেষ্ট ভাবনার উদ্রেক ঘটায় বটে। আমরা যৌন সমস্যা সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ইমেইল পেয়ে থাকি ভারত থেকে। এবার আপনারাই চিন্তা করুন কেন তাদের এ অবস্থা ? আমরাও কি তাদের মতই হয়ে যাচ্ছি?
সাধারণত কিশোররা বাংলা চটি (অশ্লীল গল্প) পড়ে পড়ে তীব্র হস্তমৈথুনের শিকার হয়ে থাকে। তখন অভ্যেসটা এমন হয়ে দাড়ায়, তারা এটা না করে থাকতে পারে না আর চিকিত্সা ছাড়া এ থেকে রেহাই পাওয়াও প্রায় অসম্ভব। যদিও আমরা হোমিওপ্যাথরা ১০-১৫ দিনের চিকিত্সায় এই সমস্যার চিরতরে সমাধান করে থাকি। কিন্তু লজ্জায় কেউ ঠিক সময়ে এর চিকিত্সা করাতে আসে না। পরে যা হবার তাই হয়। ধীরে ধীরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং একসময় বিষয়টা পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ এ এসে গড়ায়।
শুধু তাই নয়, আজকাল এসকল চটি পড়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। তাই, যারা এই সব বাংলা চটি বা অশ্লীল গল্প এর প্রচার এবং প্রসার করে থাকেন তাদের প্রতি আমাদের নিবেদন, একবার ভেবে দেখুন। আপনার এ কর্মের শিকার একদিন হয়ত আপনার ভাই অথবা আপনার নিজের ছেলেরাও হতে পারে। তাই আগামী ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হলেও অন্তত এসব থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন