BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

ফোড়া এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

ফোড়া এবং হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

ফোড়াঃ ফোঁড়া হচ্ছে একধরণের প্রদাহ যা চুলের ফলিকল এবং কাছাকাছি ত্বকের কোষকে সংক্রমণ করে।

এসম্পর্কিত অবস্থার মধ্যে রয়েছে:

* কার্বাঙ্কোলসিস (Carbunculosis)
* ফলিকুলাইটিস (Folliculitis)

কারণসমূহঃ

ফোঁড়া খুবই সাধারণ। তারা প্রায়শই ব্যাকটেরিয়া স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস (Staphylococcus aureus) দ্বারা সৃষ্ট। এরা চামড়ার পৃষ্ঠতলে অন্যান্য ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এরা চুল গুটিকা (hair follicle) সংক্রমণ এটিকে নষ্ট করে এবং অধীনস্ত ফলিকল ও টিস্যুর গভীরে আক্রান্ত করে।

ফোড়া শরীরের যেকোন স্থানের চুলের ফলিকল (follicles) মধ্যে ঘটতে পারে। এরা মুখ, ঘাড়, বগল, নিতম্ব , এবং উরুতে সচরাচর ঘটে থাকে। একই সাথে এক অথবা একাধিক ফোড়া হতে পারেন।

লক্ষণঃ

* ফোঁড়া স্পর্শকাতর, গোলাপী - গোলাপী লাল, চামড়ায় ফোলা, দৃঢ় এলাকা হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে, এটি একটি পানি ভরা বেলুন বা আমের মত মনে হবে।

* এতে পূঁজ এবং মৃত টিস্যু সঙ্গে মিলিত হয়ে ব্যথা প্রকাশ পায়। ফোঁড়া থেকে পুঁজ নির্গমন হলে ব্যথা কমে যায়।

একটা ফোঁড়া প্রধান লক্ষণ হল:

* একটি মটর দানা পরিমাণ বা আচমকা একটি গলফ বলের মত বড় হতে পারে যার কেন্দ্র সাদা বা হলুদ ( pustules )।
* অন্যান্য ত্বকের এলাকায় ছড়ানো বা অন্যান্য এলাকা ফোঁড়ার সঙ্গে যোগদান
* দ্রুত বৃদ্ধি
* ক্ষরণ অথবা শক্ত

অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে থাকতে পারে :

* ক্লান্তি
* জ্বর
* সাধারণ অসুস্থ্য অনুভূতি
* ফোঁড়া বিকাশের আগে চুলকানি
* ফোঁড়ার চারপাশের চামড়া লালভাব

পরীক্ষা নিরীক্ষাঃ

স্বাস্থ্যের যত্ন প্রদানকারী চোখের দেখাতেই এটা ফোঁড়া নির্ণয় করতে পারেন। ফোঁড়া থেকে কোষের একটি নমুনা Staphylococcus বা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান করার জন্য ল্যাব পাঠানো হতে পারে।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ

Belladonna : বেলেডোনা ঔষধটি ফোড়ার প্রথম দিকে (Early stage of boils) ব্যবহার করতে হবে যখন ফোড়া মাত্র উঠেছে, আক্রান্ত স্থানটি গরম হয়ে আছে (Hot) এবং লাল (Red) হয়ে ব্যথা (Pain) করছে। বেলেডোনা ফোড়াতে পুঁজ হওয়া বন্ধ করে তাকে পাকতে দিবে না এবং তাকে বিসমিল্লাতেই খতম করে দিবে।

Hepar sulphur : হিপার সালফার হলো ফোড়া সবচেয়ে বিখ্যাত হোমিও ঔষধ। যে-সব ফোড়ায় সাংঘাতিক ব্যথা থাকে; ব্যথার কারণে স্পর্শ করা যায় না, তাতে হিপার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ফোড়া পাকাতে চাইলে নিম্নশক্তিতে (0৩, 0৬) খান আর ফোড়া না পাকিয়ে সারাতে চাইলে উচ্চশক্তিতে (২০০) খান।

Arnica montana : যে-কোন ঘা কিংবা ফোড়ায় আর্নিকার প্রধান লক্ষণ হলো মাত্রাতিরিক্ত ব্যথা। তাতে স্পর্শ করলে এমনই প্রচণ্ড ব্যথা হয় যে, রোগী তার দিকে কাউকে আসতে (Someone comes ) দেখলেই ভয় পেয়ে যায় এবং সাবধানতা অবলম্বন করে যাতে ফোড়া-ঘায়ে কোন ধাক্কা না লাগে। যাদের শরীরে ছোট ছোট ফোড়া একটার পর একটা উঠতেই থাকে এবং সেগুলোতে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে, তারা আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। কোন স্থানে আঘাত লেগে যদি ঘা হয় বা ফোড়া হয়, তবে আর্নিকা সেবন করা উচিত। আর্নিকা কেবল ব্যথার ঔষধ নয় বরং এটি একই সাথে ঘা/পুঁজ ও সারিয়ে দেয় অর্থাৎ এন্টিবায়োটিকের কাজও করে থাকে।

Silicea : যেই ফোড়া পেকে অনেকদিন থেকে পুঁজ পড়তেছে কিন্তু সারতেছে না অথবা খুবই ধীরে ধীরে সারতেছে, এমন অবস্থায় সিলিশিয়া ঔষধটি প্রযোজ্য। সিলিশিয়ার পুঁজ থাকে পানির মতো পাতলা।

Mercurius solubilis : যে ফোড়া বা ঘায়ে পুঁজ হয়ে গেছে, তাতে মার্ক সল প্রযোজ্য। মার্ক সলের ব্যথা রাতের বেলা বৃদ্ধি পায়। দাঁতের মাড়িতে ঘা বা ফোড়া হলে মার্ক সলের কথা এক নাম্বারে চিন্তা করতে হবে। মার্ক সল নিম্নশক্তিতে খেলে সেটি ফোড়াকে পাকিয়ে সারাবে আর উচ্চশক্তিতে খেলে না পাকিয়ে সারিয়ে থাকে।

Lachesis : ফোড়ার রঙ যদি একটু নীলচে-লাল (Blueish - red) হয়, তবে ল্যাকেসিস হলো তার সবচেয়ে উপযুক্ত ঔষধ।

Echinacea angustifolia : ইচিনেশিয়া’কে বলা হয় হোমিওপ্যাথিক এন্টিবায়োটিক। যে-কোন ফোড়া বিশেষ করে মারাত্মক ধরণের ফোড়ায় নিশ্চিনে- এই ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন।

Nitric acid : অতীতে যাদের সিফিলিস (syphilis) হয়েছিল অথবা সিফিলিস আক্রান্ত পিতা-মাতার সন্তানদের ফোড়া-ঘা ইত্যাদিতে নাইট্রিক এসিড ঔষধটি অসাধারণ।

Pyrogenium : যখন কোন ফোড়া বা ঘা দীর্ঘদিনেও সারতে চায় না কিংবা যাদের শরীরে সারা বছরই ফোড়া উঠতে থাকে, তারা পাইরোজেন ঔষধটি কয়েক সপ্তাহ খান। এটি আপনার পুরো শারীরিক সিষ্টেমকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দিবে। ফলে দু’দিন পরপর ফোড়া উঠার সমস্যা চলে যাবে।

ক্রেডিটঃ http://selfcarehomeo.blogspot.com/2014/08/abscess-and-homeopathy-treatment.html

1 মন্তব্য(গুলি):

তথ্যগুলো খুব ভাল লেগেছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন