BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৫

সেলুনে চুল কাটার সময় সতর্ক থাকুন

সেলুনে চুল কাটার সময় সতর্ক থাকুন

১৬ বছর বয়স ছেলেটির। নরসুন্দরের কাছে চুল কাটার পর একটু ঘাড়-পিঠ মালিশ করে নেয় ৫-১০ মিনিট। বিনিময়ে তাকে কিছু বকশিশ দেয়। একদিন ঘাড় মালিশ করার সময় কট করে একটা আওয়াজ হয়, একটু সামান্য ব্যথাও করে উঠেছিল। কিন্তু ছেলেটি অতটা গ্রাহ্য করেনি। দু-এক দিন পর সে ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করতে লাগল। ক্রমে ব্যথা বাড়ছে। মা ভাবলেন, হয়তো উল্টাপাল্টাভাবে শোয়ার জন্য ঘাড়ে ব্যথা হয়েছে। মা প্রতিদিন বালিশ রোদে দিতে লাগলেন, ঘাড়ে গরম কাপড় দিয়ে সেঁক দিতে শুরু করলেন। কিন্তু কিছুতেই ব্যথা কম হচ্ছে না; বরং দিন দিন বাড়ছেই। একপর্যায়ে ব্যথা হাতের মধ্য আঙ্গুল পর্যন্ত আসতে শুরু করল। ব্যথার জন্য ঘাড় নাড়ানোও তার জন্য কষ্টকর হয়ে উঠল। চিকিৎসক পরীক্ষা করে বললেন, ‘স্পনডাইলোসিস’ হয়েছে। ঘাড়ের এমআরআই ও নার্ভ কনডাকশন স্টাডি (স্মায়ুর আচরণ পরীক্ষা) করে সেটি প্রমাণিত হলো।
মেরুদণ্ডের হাড়ের ভেতর থাকে স্পাইনাল কর্ড। সেখান থেকে স্মায়ুর উৎপত্তি। সেই স্মায়ু মেরুদণ্ডের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে এসে আমাদের হাত-পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কারণে ওই স্মায়ু যদি চাপা খায়, তাকে বলা হয় স্পনডাইলোসিস। এটা সাধারণত মধ্য বয়সে হয়, অর্থাৎ চল্লিশের পর, যখন হাড় ক্ষয় হয়ে স্মায়ুর ওপর চাপ খাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটার চিকিৎসা হচ্ছে প্রথম অবস্থায় সারভাইক্যাল কলার। এটাতে অবস্থার উন্নতি না হলে অপারেশনও লাগতে পারে। আলোচ্য কিশোরটির এত অল্প বয়সে কেন হলো? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, নরসুন্দর ঘাড়-পিঠ মালিশ করে বিভিন্ন ভঙ্গিমায়। কোনো সময় মাথার ওপর চাপ দেয়, কখনো ঘাড় বাঁ দিকে ও ডান দিকে কাত করে। এসব মালিশ ঘাড়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে ঘাড়ের স্মায়ুতে চাপ পড়ার আশঙ্কা থাকে।
পরামর্শ
* সেলুনে গিয়ে কখনো ঘাড় বা মাথা মালিশ করাবেন না।
* ঘাড় কখনো খুব বেশি পেছনে বা পাশে কাত করতে দেবেন না।
* গাড়িতে সিটবেল্ট ব্যবহার করুন। এতে হঠাৎ করে গাড়ি থামলে করলে ঘাড় অতিরিক্ত ঘুরে যাবে না।
 
**************************
ডা· সেলিনা ডেইজী
সহযোগী অধ্যাপক, শিশু নিউরোলজি ও ক্লিনিক্যাল নিউরোফিজিওলজি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
দৈনিক প্রথম আলো, ০৫ মার্চ ২০০৮

চোখের সমস্যা

চোখের সমস্যা

সমস্যাঃ আমার বয়স ১৫ বছর। আমি দশম শ্রেণীতে পড়ি। তিন বছর বয়সে আমার ডায়রিয়া হয়েছিল। এতে আমার বাঁ দিকের চোখ টেরা হয়ে যায়। তখন অনেক ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েও ভালো হয়নি। এখন ওই চোখে আবছা দেখা যায়। বইপত্র ও টিভির দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখ প্রচণ্ড ব্যথা করে। এ ছাড়া দুষ্টু ছেলেমেয়েরা আমাকে টেরা বলে ডাকে। এতে আমার খুব কষ্ট হয়। ওই চোখ কি ভালো হবে? কোথায় চিকিৎসা করতে হবে?
বুলবুল, নওগাঁ

পরামর্শঃ তিন বছর বয়সই টেরা চোখের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত সময় ছিল। এ চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি করা যায়, তত ভালো। কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে অনেক সময় নষ্ট করেছেন। চক্ষুবিশেষজ্ঞ ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসকের মাধ্যমে টেরা চোখের চিকিৎসা সম্ভব নয়। চোখের ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল-জাতীয় বড়ি খেতে পারেন। তবে চোখে কম দেখা ও টেরা চোখের সঠিক চিকিৎসার জন্য আপনি চক্ষুবিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করুন। সঠিক চিকিৎসা হলে অবশ্যই আপনার চোখ ভালো হবে।
*************************
বিশেষজ্ঞের চেম্বার থেকে পরামর্শ দিয়েছেন
অধ্যাপক ডা• আভা হোসেন
বিভাগীয় প্রধান, চক্ষু বিভাগ
মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটাল উত্তরা, ঢাকা
প্রথম আলো, ০৬ আগষ্ট ২০০৮

কাশির সমস্যা

কাশির সমস্যা

সমস্যাঃ আমার বয়স ২০, ওজন ৫০ কেজি, উচ্চতা ৫ফুট-৬ইঞ্চি । আমি অনেক দিন ধরে কাশির সমস্যায় ভুগছি। ১০-১৫ মিনিট পর পর গলা ভারী ভারী লাগে। মনে হয় গলায় কী যেন একটা আটকে আছে। কাশি দিলে একটু আরাম লাগে এবং কালো ময়লাযুক্ত একটু কফ বেরিয়ে আসে। আমার কখনো কখনো পাতলা সর্দির মতো শ্লে্না আসে, তাতেও অনেক সময় কালো ময়লা দেখা যায়। ফেলে দিলে গলা পাতলা ও ভালো লাগে।

আমি প্রায়ই সর্দিতে ভুগি। একটু ধুলাবালি লাগলেই নাক চুলকায়, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে এবং মাঝেমধ্যে নাক বন্ধ থাকে। আমি যেখানে চাকরি করি, সেখানে যানবাহন ও ধুলাযুক্ত পরিবেশ। আমার কোনো জ্বর নেই। ক্ষুধা স্বাভাবিক, ওজন স্থিতিশীল। আমি কোনো চিকিৎসা নিইনি। আমার সমস্যাটা কী? আমার কালো ময়লাযুক্ত কফ কি যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ, নাকি পরিবেশের কারণে?
রবিউল ইসলাম
নওগাঁ

পরামর্শঃ সম্ভবত আপনি নাকের প্রদাহজনিত রোগ বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস রোগে ভুগছেন। ফলে ‘পোস্ট নাসাল ড্রিপ’-এর কারণে আপনার কাশি হচ্ছে। পোস্ট নাসাল ড্রিপটা কী, জানলেই আপনি আপনার সমস্যা সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন।

আমাদের নাকের মিউকাস মেমব্রেন বা শ্লে্না ঝিল্লির দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের ফলে অনবরত মিউকাস বা শ্লে্না নিঃসৃত হয়, যা নাকের পেছন দিয়ে গলার ভেতর প্রবেশ করে এবং গলবিল বা ফ্যারিংগসের প্যাস্টেরিয়র বা পেছনের দেয়াল দিয়ে নিচের দিকে গড়িয়ে পড়ে। ফলে গলা ভারী, ইরিটেশন বা কখনো কখনো মনে হয় গলার পেছনে কী যেন একটা আটকে আছে। কাশি দিয়ে পরিষ্কার করলে আঠালো সামান্য কফ বেরিয়ে আসে এবং ক্ষণিকের জন্য কিছুটা আরামবোধ হয়। যেহেতু আপনি ধুলাবালিযুক্ত পরিবেশে কাজ করেন, তাই আপনার কফ ময়লাযুক্ত থাকে। আপনার ময়লাযুক্ত কফ থেকে বুকের যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা একেবারে নেই বললেই চলে।

বুকের যক্ষ্মা হলে সাধারণত অল্পমাত্রায় বিকেলে জ্বর থাকে, ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়, ক্ষুধামান্দ্য হয় ও ওজন কমে যায়, কারও কারও কাশি, কফ এবং এর সঙ্গে রক্ত আসতে পারে, যা আপনার ক্ষেত্রে বহুলাংশেই অনুপস্থিত। আপনার রোগটির সঠিক চিকিৎসা আছে। আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো-
-- যতটুকু সম্ভব ধুলাবালিযুক্ত পরিবেশ এড়িয়ে চলা।
--অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ট্যাবলেট যেমন-লরাটাডিন, ডেসলরাটাডিন, সিটিরাজিন, ফিক্সফেনাডিন এবং প্রদাহ কমানোর ট্যাবলেট মনটিলুকাস নিয়মিত সেবন করা।
-- নিয়মিতভাবে নাকের প্রদাহ নিরাময়কারী স্টেরয়েড নাসাল স্প্রে যেমন-বেকলোমিথাসন, ফ্ল্লুটিকাসন, মমেটাসন, বুডিসনাইড ব্যবহার করা।
--প্রয়োজনমতো স্বল্প সময়ের জন্য সঠিক মাত্রায় অক্সিমেটাজলিন নাকের ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা।
--নাক পরিষ্কার করে ঘুমাবেন।
আপনি অবশ্যই সঠিক ওষুধ এবং এর মাত্রা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেবেন।
**************************
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা· মো· দেলোয়ার হোসেন
বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক
বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, শাহবাগ, ঢাকা
প্রথম আলো, ১১ জুন ২০০৮

নাকের সমস্যা

নাকের সমস্যা

পরামর্শ দিয়েছেন
অধ্যাপক ডা· আবুল হাসনাত জোয়ারদার
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সমস্যাঃ আমার বয়স ২৩ বছর। উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি। ওজন ৫৫ কেজি। আমার প্রথম সমস্যা হলো, প্রায় সময়ই নাকের ডান পাশ খোলা থাকে এবং বাঁ পাশ বন্ধ থাকে। আবার ডান পাশ বন্ধ থাকলে বাঁ পাশ খোলা থাকে। তবে শ্বাসকষ্ট তেমন একটা নেই। মাঝেমধ্যে নাক আবার স্বাভাবিক হয়-বন্ধ হয় না। আমার আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, দূরে কোথাও ভ্রমণে গেলে, অর্থাৎ ১০ থেকে ১২ মাইল দূরে গেলেই বমি হয়। এ কারণে বাসে চড়তে ভয় লাগে এবং দূরে কোথাও যাওয়া হয় না। উল্লিখিত সমস্যা দুটির সমাধানে পরামর্শ চাই।
রাসেল, চরপাড়া, ময়মনসিংহ

পরামর্শঃ আপনার প্রথম সমস্যা, নাকের একপাশ বন্ধ থাকলে অন্যপাশ খোলা থাকে। এটি ন্যাজাল সাইকেল বা নাসিকা-চক্রের কারণে হতে পারে। এই সাইকেলকে মানুষের শরীরের একটি ফিজিওলজিক্যাল বা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে গণ্য করা যায়। সাধারণভাবে মানুষের নাসিকা-চক্রের বিষয়টি বুঝতে পারার কথা নয়। তবে নাকের বন্ধ ভাব যদি বেশি আকারে হয়, তাহলে নাকের পার্টিশন বা সেপটাম বাঁকা আছে কি না তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। নাকের পার্টিশন বাঁকা থাকায় এ সমস্যা দেখা দিলে পার্টিশনের সার্জারি করিয়ে নিতে হবে। এতে নাকে বাতাস চলাচল স্বাভাবিক হবে।

আপনার দ্বিতীয় সমস্যা, ভ্রমণের কারণে বমি হওয়া। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভ্রমণের কারণে বমি হতে পারে, মাথাও ঘুরতে পারে। এটাকে মোশন সিকনেস বলা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে শরীরের ভারসাম্য-ব্যবস্থার অতিসংবেদনশীলতার জন্য এমনটি হয়। সাধারণত মোশন সিকনেসকে বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয় না।
ভেস্টিবুলার এক্সারসাইজ বা ভারসাম্য-ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ব্যায়াম করলে এসব ক্ষেত্রে বমির ভাব কমে যায়। আপনি ভ্রমণের ঘণ্টাখানেক আগে স্টেমেটিল বা প্রক্লোরপ্যারাজিন পাঁচ মিলিগ্রামের একটি বড়ি খেতে পারেন। এতে ভ্রমণের সময় বমি হওয়া বা মাথাঘোরা কমে আসতে পারে। তবে দু-একজনের ক্ষেত্রে এই ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সে জন্য স্টেমেটিল বা অন্য কোনো ভেস্টিবুলার সিডেটিভ খেতে হলে আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

*************************
বিশেষজ্ঞের চেম্বার থেকে
প্রথম আলো, ৯ জুলাই ২০০৮

তরুণদের বিয়ে ভীতি

তরুণদের বিয়ে ভীতি

পুরুষের বিয়ে ভীতি। শুনতে নিশ্চয়ই অবাক করার মত কথা। হঁ, আজকাল তরুণদের একটা বড় অংশের বিয়ে ভীতি রয়েছে। আর এই বিয়ে ভীতির কারণ অর্থ-বিত্তের অভাব, বেকারত্ব, শারীরিক অসুস্থতা, পাত্রী অপছন্দ, নতুন জীবনে পদার্পণ বা দাম্পত্য আতংক এসব কিছুই নয়। বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণ-যুবকদের বৃহত্তর অংশ মনে করে তাদের জীবন শেষ হয়ে গেছে। তারুণ্য-যৌবনে শরীরের ওপর অত্যাচার-অবিচার, ক্ষেত্রবিশেষে মাদক সেবন এবং নারীর সংস্পর্শে এলে নিজের নিষ্ক্রীয়তার অভিজ্ঞতা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যৌনজীবন নিয়ে ভুল ধারণা এবং মানসিক সমস্যা এবং কিছু কিছু মেয়েদের অতিরিক্ত জ্ঞান তরুণদের বিয়ে ভীতির প্রধান কারণ। অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা নেই তা বলা যাবে না। তবে ডাক্তারদের চেম্বারে আসা বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত তরুণদের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগেরই কোন শারীরিক সমস্যা নেই। গত ছয়মাসে আমার চেম্বারে আসা বিয়ে ভীতিতে আক্রান্ত শতাধিক তরুণ ও যুবকের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় শতকরা ৮০ ভাগের কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা নেই।
শতকরা ৫ ভাগের প্রয়োজনীয় কিছু হরমোনের ঘাটতি রয়েছে যা চিকিৎসাযোগ্য, শতকরা ১০ ভাগের শরীরে প্রয়োজনীয় শুক্রাণুর অভাব রয়েছে (আলগেস পাকিস), শতকরা ২/৩ ভাগের শরীরে কোন শুক্রাণু নেই (অ্যাজোসপারসিযঅ)। এছাড়া শতকরা যে ২০ ভাগের কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা অন্ততঃ ৫ ভাগের যৌন সমস্যা (ইম্পোর্টেন্স) রয়েছে। এ তথ্য আন্তর্জাতিক গবেষণা তথ্যের সঙ্গে সঙ্গাতিপূর্ণ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমাদের দেশের তরুণরা অধিক সুঠাম ও সক্ষম। তবুও তরুণদের বিয়ে ভীতি কেন। এসব তরুণদের কাছে চেম্বারে আমি পাঁচটি প্রশ্ন করে থাকি। কেমন করে তারা বুঝতে পেয়েছে তারা ফুরিয়ে গেছে বা শারীরিক যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এই ধারণার পিছনে কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে কি? শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে কোন ওষুধ সেবন করেছে কি, ইত্যাদি ইত্যাদি। তরুণ-যুবকদের বিচিত্র সব জবাব, অভিজ্ঞতা, এসব তুলে ধরার কোন ইচ্ছা আমার নেই। এছাড়া রোগীর গোপন তথ্য প্রকাশ মেডিক্যাল এথিকস অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। তাই এসব নিয়ে দীর্ঘ বর্ণনার কোন ইচ্ছে নেই। তবে এ কথাটি সত্য, তরুণদের বিয়ে ভীতির কারণের পিছনে যেমন অজ্ঞতা, মানসিক সমস্যা এবং তরুণদের একটি বড় অংশের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেতিবাচক হওয়ায় (যার শতকরা ৯৯ ভাগ বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায়) বিভ্রান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর তথাকথিত যৌন সমস্যা চিকিৎসক নামধারীদের অজ্ঞতা এবং ভুল চিকিৎসার কারণে তরুণদের যৌন ভীতি বেড়ে যাচ্ছে। বিয়ে করেনি এমনসব তরুণদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেক্স স্টিমুল্যান্ট ট্যাবলেট দেয়া হয়। ফলে এসব তরুণরা মনে করে তাদের নিশ্চয়ই যৌন সমস্যা রয়েছে। এতে তরুণদের সাময়িক শারীরিক ফিটনেস বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদি মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এমনকি একাধিক তরুণ অকপটে শিকার করেছেন ডাক্তারের দেয়া যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। এসব বিয়ে ভীতি বা যৌন ভীতিতে আক্রান্তদের বেশির ভাগের প্রায় একই মন্তব্য যতদিন ট্যাবলেট সেবন করেন ততদিন ভালো থাকেন। ওষুধ সেবন শেষ তো সবশেষ। অথচ এসব তরুণের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগই শারীরিকভাবে সুস্থ এবং কেবলমাত্র যথাযথ কাউন্সিলিং করতে পারলে কোন প্রকার যৌন উত্তেজক ওষুধ ছাড়াই তরুণদের বিভ্রান্তি দূর করা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে আমি আগেও বলেছি শুধু বাংলাদেশের তরুণদেরই বিয়ে ভীতি এবং যৌন ভীতি বেশি। এ ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ দেবো। আমি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চর্ম ও যৌন রোগের ওপর পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার সময় সিঙ্গাপুর ডিএসসি ক্লিনিকে কিছুদিন অবজারভার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেই। প্রচুর বাংলাদেশী তরুণ আসতো এ ক্লিনিকে। সিঙ্গাপুর ডিএসসি ক্লিনিক বাংলাদেশের যেকোন প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ে বড় কেবলমাত্র যৌন রোগীদের চিকিৎসা করা হয় এই ক্লিনিকে। আমি দেখেছি সিঙ্গাপুরে চাকরিরত বাংলাদেশী তরুণরাও নানা ভুল ধারণার কারণে নানা ধরনের যৌন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব তরুণের অনেকেরই যৌন জীবন নিয়েও রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। কয়েকমাস আগে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের অন্যতম চিকিৎসক ডাঃ শক্তির সঙ্গে আমার পূর্ব নির্ধারিত মিটিং ছিল। তিনি একাধিকবার আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যা হোক, ডাঃ শক্তি যৌন সমস্যার রোগীদের চিকিৎসা করেন। বাংলাদেশ থেকে বেশকিছু রোগী যায় ব্যাংকক হাসপাতালে। ডাঃ শক্তি আমাকে প্রায় একই রকম তথ্য দিলেন। বাংলাদেশী রোগীদের শারীরিক বা যৌন সমস্যার চেয়ে মানসিক সমস্যাই বেশি।
থাক এসব কথা। তরুণদের বিয়ে ভীতি আসলে মোটেও শারীরিক সমস্যার কারণে হয় না। যৌবনে অধিকাংশ পুরুষই কিছু অনাকাঙ্খিত অভ্যাসের শিকার হয়। এর জন্য শরীরের যৌন শক্তি শেষ হয়ে যাবে এটা নিতান্তই ভুল ধারণা। শরীরে যৌন শক্তি নামে আলাদা কোন শক্তি নেই। শারীরিক সুস্থতা, সুঠাম দেহ, মানসিক প্রশান্তি থাকলে এবং পরস্পরের সুন্দর সম্পর্কও সমঝোতা থাকলে প্রাত্যহিক জীবনের অন্যসব কাজের মত দাম্পত্য জীবনও সুখের হতে পারে। তাই বিয়ে ভীতির কারণে তরুণদের যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট সেবন করা উচিত নয়। এছাড়া এজন্য অযথা ডাক্তারের চেম্বারে যাবারও কোন দরকার নেই। তবে বিয়ের পর যদি কোন শারীরিক সমস্যা থাকে এবং এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশংকা তৈরি হয় তখন যেকোন সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। যদি ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তা আবশ্যই চিকিৎসায় ভালো হয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা-ওষুধ ছাড়াই কাউন্সিলিং তরুণদের বিয়ে ভীতি দূর এবং বিবাহ পরবর্তী জীবন সুন্দর হতে পারে।
********************************
লেখকঃ ডাঃ মোড়ল নজরুল ইসলাম
চুলপড়া, যৌন সমস্যা ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
এবং লেজার এন্ড কসমেটিক্স সার্জন
চেম্বারঃ লেজার স্কিন সেন্টার
বাড়ী নং-২২/এ, রোড-২, ধানমন্ডি, ঢাকা।
উৎসঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ১৮ নভেম্বর ২০০৭

রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৫

যৌন সমস্যা - Impotence

যৌন সমস্যা - Impotence
বর্তমানে যৌন সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। দিন দিন এই রোগীর হার বেড়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত রুগীদের চিকিৎসা নিয়ে আছে অনেক জটিলতা। দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। অনেকেই এসব রঙ-বেরঙ্গের প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা নিয়ে হচ্ছে প্রতারিত। আমার কাছে অনেক রুগীরা আসে। তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে অনেকেই এ রোগ নিয়ে মহাটেনশনে আছেন। অনেকেই এ সমস্যা নিয়ে বিচলিত। কোথায় গেলে ভাল চিকিৎসা পাবে তা কেউ বুঝতে পারছেন না।

আসলে যৌন সমস্যা কোন সমস্যাই নয়। একটু বুঝে চললে আর জীবনটাকে নিয়মের ভিতর আনলে এ রোগ কোন রোগই নয়। তবে জীবন চলার পথে কিছু সমস্যা থাকে। আমরা নিজেরাই কিছু সমস্যা নিজেদের শরীরে সৃষ্টি করি। যার ফলে আমরা হতাশায় ভুগি আর ভাবি হয়ত এ রোগের কোন চিকিৎসা নাই। কিন্তু এখনও যদি আমরা জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাতে পারি আর সমস্যার কারনে ভাল ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই আল্লাহর রহমাতে আমরা একটি সুন্দর সুখী নীড় তৈরী করতে পারব। আজকাল রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে দেখি বাহারি রঙের বাহারি সব চিকিৎসার পোস্টার বা সাইনবোর্ড।

বিশেষ করে যৌন সমস্যা নিয়ে। অনেক পোস্টার দেখা যায় যে তারা সাত দিনের ভিতর সব ঠিক করে দিবে। চ্যালেঞ্জ, গ্যারান্টি, বিফলে মূল্য ফেরত, জীবনের শেষ চিকিৎসা বিবিধ।

আসলে মুল কথা হল আমাদের দেশে বেশীর ভাগই পুরুষরা এ সমস্যাই ভুগছে। মেয়েদের ভিতর এ সমস্যা আছে তবে খুব কম। আমরা চিকিৎসা করার সময় দেখি মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম। এক হিসেবে সেক্স সমস্যাটা কিছুই না। তবে বিশেষ কিছু কারনে সমস্যা হয়ে থাকে। মুলতঃ যে সব কারনে সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হচ্ছে-

১- মানসিক দুঃচিন্তা, মানসিক হতাশা, মানসিক ভীতি।
২- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন
৩- সময়মত বিবাহ না করা।
৪- যৌনশক্তি বাড়ানোর নামে অনটাইম মেডিসিন সেবন করা।
৫- অতিরিক্ত ধূমপান করা।
৬- নেশার জিনিষ সেবন করা।
৭- স্বামী-স্ত্রী মাঝে বহুদিন সম্পর্ক ছিন্ন থাকা।
৮- দীর্ঘদিন যাবত কঠিন আমাশয় ও গ্যাস্ট্রিক রোগে ভোগা।
৯- সঙ্গ দোষ। অর্থাৎ খারাপ বন্ধুদের কারনে খারাপ কাজে সম্পৃক্ত হওয়া, পর্ণ মুভি দেখা, এ জাতীয় চিন্তা করা।
১০- অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া।
১১- ডায়াবেটিস হবার কারনে।
১২- মোটা হবার কারনে।
১৩- যারা কায়িক পরিশ্রম কম করে, মানে অলস যারা।
১৪- প্রেম করে বিয়ের আগেই অবাধ মেলামেশা করা।
১৫- পরিবারের উদাসীনতা।
১৬- ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে চলা।

মূলতঃ এসব কর্মকাণ্ড-ই আরও সমস্যা আছে। তবে এ সমস্যাগুলো আমরা চিকিৎসা করার সময় রোগীদের মাঝে দেখি। যে সমস্যা থেকেই Impotence হোকনা কেন হোমিওপ্যাথিই পারে এর সমাধান। চিকিৎসা আমরা রোগের নয় রোগীর করে থাকি। সেদিক থেকে অনেক মেডিসিন আসে যেমন –

1-Acid Phos.
2-Agnus Cast.
3-Ashwagandha.
4-Caladium Segu.
5-Damiapalant.
6-Ginseng.
7-Muira Puama.
8- Nupher Luteum.
9-Salis Nig.
10-Selenium.
11-Trriubulas Terri.
12-Titanium.
13-Yohimbinum.

অসংখ্য মেডিসিন আছে হোমিওপ্যাথিতে। লক্ষনের সাথে মিল রেখে হোমিও নিয়মনীতি অনুযায়ী চিকিৎসা করলে আল্লাহর রহমতে পুরো সুস্থতা সম্ভব। তবে এ সমস্যা হতে মুক্তি পাবার আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে তা হল অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত অভিজ্ঞ ডাঃ কাছে যেতে হবে, যে মেডিসিন খাবেন তা অরিজিনাল হতে হবে, (এখন জার্মান ওইলমার শোয়েব কোম্পানির মেডিসিন নিঃসন্দেহে খুব ভালো)। একজন ভাল ডাঃ আপনার সমস্ত কথা শুনে মেডিসিন লিখে দিল কিন্তু আপনি ওরিজিনাল মেডিসিন পেলেননা লাভ কিছুই হলনা। সেই জন্য সব দিক খেয়াল রেখে চিকিৎসা নিন ভালো থাকবেন। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কখনই অস্থায়ী নয়। এ চিকিৎসার পুরো কোর্স কমপ্লিট করলে স্থায়ী সমাধান অবশ্যই সম্ভব।

সবশেষে একটি কথা না বললেই নয়, যে সমস্ত ভাইয়েরা বাজারে প্রচলিত যেসব অনটাইম সেক্সুয়াল মেডিসিন পাওয়া যায় সেগুলো স্বাস্থ্যর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ বিষয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারে কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এসব মেডিসিন ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার হয়না। তাই আমরা সচেতন থাকব। হোমিও চিকিৎসা নিন সুস্থ ও সজীব থাকুন।

ক্রেডিটঃ Sadik Homeo Hall, http://sadikhomoeohall.blogspot.in/2015/08/impotence.html

Train Schedule

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক পুরুষের ১২টি লক্ষণ

একটা সময় ছিল যখন পুরুষেরা নিজের ব্যাপারে বিশেষ মনযোগ দিতেন না। ভাবছেন, পুরুষ মানুষ এক রকম হলেই হলো! সেই দিন এখন বদলেছে। প্রত্যেক সচেতন পুরুষই এখন নিজের শরীর ও ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে দারুণ মনযোগী।
কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনি সুস্থ আছেন? কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীর ও মন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে, চমৎকার আছে আপনার জীবন? একজন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ মানুষ হিসেবে আপনার মধ্যে নিচের এই লক্ষণ থাকা অনেক জরুরী।
যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা স্বাস্থ্যসুরক্ষায় অনেক কিছুই করে থাকেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম এবং সঠিকভাবে জীবনযাপন। এছাড়াও নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেকআপ তো আছেই। এতোসব করার একটাই কারণ সুস্থ দেহের অধিকারী হওয়া। কারণ আমরা সকলেই জানি স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে আমাদের সুখ শান্তি বজায় থাকে।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ মানুষের সাধারন অবস্থায় হার্টবিট রেট হয় ৭০ বা এর কাছাকাছি। সুস্থ আছেন কিনা জানতে চাইলে আজই পরীক্ষা করে দেখুন।
মানুষ মাত্রই যৌনতার প্রতি আগ্রহ থাকবে। আপনি যদি একজন সক্ষম পুরুষ হয়ে থাকেন এবং তারপরেও যৌনতার প্রতি আগ্রহ বোধ না করেন, তবে বুঝবেন কোনো মানসিক জটিলতায় ভুগছেন। অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। একজন সুস্থ পুরুষের যৌনতার প্রতি অতি অবশ্যই কৌতূহল থাকবে এবং তিনি প্রতিদিন যৌনমিলনে সক্ষম হবেন।
এবার আপনার হাতের নখের দিকে তাকান। আপনার নখ যদি বেশ শক্ত হয় এবং নখে হালকা গোলাপি আভা দেখতে পান তবে বুঝে নেবেন আপনি একজন সুস্থ দেহের অধিকারী পুরুষ।
নিজের ইউরিন নিজে পরীক্ষা করে দেখুন। যদি আপনি সুস্থ দেহের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে আপনার ইউরিন এর রঙ খড়ের রঙ এর মত হবে।
একজন সুস্থ পুরুষ হিসেবে আপনার ২০টি পুশআপ করার ক্ষমতা থাকবে। আজই চেষ্টা করে দেখুন ২০ টি পুশআপ করতে পারেন কিনা।
আপনি সুস্থ দেহের অধিকারী হলে বিনা বাধায় ১৫ মিনিটের মধ্যে এক মাইল দৌড়াতে পারবেন ।
সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ মানুষের প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে বাথরুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনিয়মিত এবং নির্ধারিত সময় বাথরুম না হওয়া অসুস্থতার লক্ষণ।
ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সুস্থ দেহের মানুষের এলার্ম এবং অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিদিন সকালে প্রায় একই সময়ে ঘুম ভাঙে।
ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষের ওজন উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজনের ৫ কেজি কম বেশি হতে পারে, কিন্তু এর বাইরে নয়।
সুস্থ দেহের অধিকারী মানুষেরা ভারী কাজ বা ব্যায়াম বা দৌড়াদৌড়ি’র করার পর হার্টবিট রেট ৫ মিনিটের মধ্যে সাধারনে নেমে আসে।
অতিরিক্ত শুচিবায়ুতা মানসিক বিকারের লক্ষণ। আবার অতিরিক্ত নোংরা ও আগোছালো থাকাও তাই। একজন সুস্থ পুরুষ নিজেকে গুছিয়ে রাখতে ভালবাসবেন।
যা খাচ্ছেন, সেটা ঠিক মত হজম হচ্ছে তো? গ্যাস বা বুক জ্বালা পোড়ার সমস্যা না থাকলে আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ একজন।