BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

মন খারাপের চটজলদি সমাধান

সারাদিন ঘর আর বাইরে মিলে কত ধকলই না যায় শরীর আর মনের ওপর দিয়ে। আর তার মাঝেই যেন অনাহুত বিপদ হয়ে মনের ওপর একটা আলাদা চাপ আনে এই হঠাৎ করে মন খারাপ হয়ে যাওয়া। অনেকেই যদিও নিজেদের মন খারাপের সঠিক কারণ বুঝতে পারেননা বা বুঝতে চান না।
তবুও প্রত্যেকের মন খারাপ হওয়ার পেছনেই একটা না একটা কারণ লুকিয়ে থাকে। তবে যে কারণেই মন খারাপ হয়ে যাকনা কেন, নিচের টিপসগুলো নিমিষেই মন ভালো করে দেবে আপনার।
১. যা ইচ্ছে তাই করা-
শুনতে বেশ অন্যরকম আর ছেলেমানুষী নকমের লাগলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মন খারাপের বেশ ভালো অষুধ হিসেবে কাজ করে এই যা ইচ্ছে তাই করাটা। সেটা হতে পারে বাসার বাইরে বা ভেতরে- সবখানেই। ইচ্ছে হলে খানিকক্ষণ লাফিয়ে নিন নিজের প্রিয় গানের সাথে, মায়ের গলা জড়িয়ে গল্প করুন, কাগজ ছিঁড়ুন, সাজুন, স্কুল-কলেজে থাকাকালীন রাস্তায় করা দুষ্টুমিগুলো করুন।
মোটকথা নিজের যা করতে ইচ্ছে হবে সেটাই করুন। তবে অবশ্যই নিজের বা কারো কোন ক্ষতি না করে।
২. ঘুরতে বেরোন-
ঘুরে আসুন বাইরে থেকে। নিজের বন্ধুদের সাথে। তবে সবচাইতে ভালো হয় কোন নতুন জায়গায় গেলে। নতুন সব জিনিস দেখবার আনন্দের ভিড়ে কোথায হারিয়ে যাবে আপনার মন খারাপ ভাব।
৩. খুশী কেনা-
নিজের পছন্দের মানুষগুলোর জন্য গিফট কিনুন। খরচ করুন যতটা ইচ্ছে। তবে সবচাইতে ভালো হয় ভালো সম্পর্ক নেই এমন কাউকে উপহার দিয়ে তার সাথে ভাব করে নিলে। প্রিয় মানুষগুলোর মুখের হাসি আর বন্ধুত্বের ছোঁয়া মন ভালো করে দেবে আপনার।
৪. ঘুম এবং খাবার-
বৈজ্ঞানিকদের মতে মন ভালো করার জন্য খানিক ঘুমিয়ে নেওয়ার মতন ভালো কোন উপায় আর নেই। তবে এসময় নিজের পছন্দমতন খাবার খেলেও ভালো হয়ে যেতে পারে আপনার মন। প্রয়োজনে আপনি নিজেই রান্নাঘরে ঢুকে যান। রান্না না পারলে অন্তত এক প্যাকেট নুডুলস রাঁধুন। নিজের হাতের খাবার খেলে মন আপনার ভালো হতে বাধ্য।
৫. ভালো আচরন-
বলা হয় কাজ আবেগকে প্রভাবিত করে। আর তাই মন খারাপ হলে বেশ হাসিখুশি থাকার ভান করুন। খানিক বাদে এমনিতেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে।
৬. ব্যস্ততা-
ব্যায়াম করে নিন খানিকক্ষণ। সাথে মেডিটেশনও চলতে পারে। অথবা দেখে নিতে পারেন নতুন কোন মুভি। ফলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনার মন হয়ে পড়বে ব্যস্ত। আর ব্যস্ত মন খানিকবাদেই আপনা থেকে ভালো হয়ে যাবে।
৭. কথা বলা-
মন খুলে কথা বলুন নিজের কোন কাছের বন্ধুর সাথে। হয়তো সেসব কথার প্রায়টুকুই হবে অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু এতে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে নিশ্চিত।
৮. ধারনা পরিষ্কার করা-
নিজের সাথে কথা বলুন। আপনার মন খারাপের কারণ কী বের করুন। যেটা নিয়ে মন খারাপ সেটার কোন প্রভাব কি আপনার জীবনে আছে? নিজের কাছে নিজেই পরিষ্কার হোন। বেরিয়ে আসুন অহেতুক কারনে মন খারাপ হওয়া থেকে।

গ্যাস্ট্রিক/এসিডিটির সমস্যা চটজলদি সমাধান করবে এই ৯ টি খাবার

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন? খাবার সময় একটু ওলট পালট হলেই শুরু হয় সমস্যা? অনেককেই বছরের প্রায় সময় এই সমস্যায় ভূগতে হয়। যে কোনো জায়গায় এই সমস্যার প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি-দামি ওষুধ।
কিন্তু যখন আমাদের হাতের কাছে রয়েছে বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস যা দিয়ে দ্রুত এবং তাৎক্ষণিক এই গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব তবে কেন খাবেন আপনি ঔষধ? চলুন তবে দেখে নিই গ্যাস্ট্রিক বা সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানে ৯ টি খাবার।এসিডিটির
পুদিনা পাতাঃ
পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া পুদিনা পাতা আপনাকে বদহজম থেকেও দূরে রাখবে।
লবঙ্গঃ
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করবে লবঙ্গ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে দুটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবোতে থাকুন। এবং চুষে রসটা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে কিছুখনের মধ্যেই।
জিরাঃ
এক চা চামচ জিরা একটি প্যানে নিয়ে শুকনো করে ভেজে ফেলুন। এরপর ভাজা জিরা এমন ভাবে গুঁড়ো করুন যেন একেবারে পাউডার না হয়ে যেয়ে একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এরপর একগ্লাস পানিতে জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না।
আদাঃ
আদা বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটির সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর। প্রতিবার খাবার খাওয়ার আধ ঘন্টা আগে ছোট এক টুকরো আদা কাঁচা চিবিয়ে খান দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেকবারেই থাকবে না।
গুড়ঃ
গুড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রেহাই দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায় ততোক্ষণ মুখে রেখে দিন। তবে এই সমাধান অবশ্যই ডায়বেটিস রোগিদের জন্য নয়।
তুলসি পাতাঃ
ঔষধি গুণে ভরা তুলসী পাতার কথা কে না জানেন। এসিডিটি দূর করতেও এটি বেশ কার্যকর। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে ৫/৬ টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। এছাড়া প্রতিদিন তুলসি পাতা পানির সাথে ব্লেন্ড করে খেলে একেবারে দূর হবে গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটির সমস্যা।
দুধঃ
দুধের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীর বাড়তি এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খালি পেটে ঠান্ডা দুধটুকু পান করে নিন। দেখবেন সারাদিন এসিডিটির সমস্যা হবে না। তবে যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকবেন।
ভ্যানিলা আইসক্রিমঃ
আইসক্রিম খেতে কে না ভালোবাসে বলুন। কিন্তু আইসক্রিমটাকে বেশি স্বাস্থ্যকর মানা হয় না। অথচ ভ্যানিলা আইসক্রিমের রয়েছে এসিডিটি দূর করার ক্ষমতা। এসিডিটি হলে একটু ভ্যানিলা আইসক্রিম খেয়ে নিন। তবে বেশি খাবেন না।
বোরহানীঃ
বিয়ে বাড়িতে পোলাও রেজালার সাথে বোরহানি কেন রাখা হয় জানেন? কারণ এটি গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটি এবং বদহজম থেকে রক্ষা করে। বোরহানি টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি এসিডিটি বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরী । প্রতিদিন খাবারের পর একগ্লাস বোরহানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার দুটি উপায়:

নিজেকে সবসময় সুন্দর ও আকর্ষণীয়
রাখাটা যেন জীবনেরই একটা অংশ।
আপনি নারী, বা পুরুষ হোন, একটি সুন্দর
মুখের কদর কিন্তু সর্বত্রই। আসুন জেনে
নিই ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করার দুটি
ঘরোয়া উপায়-
ভেতর থেকে রঙ করুন উজ্জ্বল:
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ
যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক
গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ
কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন।
এভাবে পান করতে না পারলে এর
সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। নিয়মিত হলুদ
মেশানো দুধ পান করলে আপনার রং
হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। দুধে
কাঁচা হলুদ বাটা না মিশিয়ে করতে
পারেন আরেকটি কাজ। দেড় ইঞ্চি
সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন। তারপর
টুকরো করে কেটে এক গ্লাস দুধে
দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধে
গাঢ় হলুদ রঙ ধরলে পান করুন। এভাবে
প্রতিদিন একবার পান করবেন।
রূপচর্চায় হলুদ:
শুধু দুধের সাথে নয়, বাহ্যিক
রূপচর্চাতেও হলুদ আপনার রঙ পরিষ্কার
করতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে
কালচে ছোপ দূর করতে এই পদ্ধতি খুব
কার্যকর।
উপকরণ:
দুধ তিন টেবিল চামচ
লেবুর রস এক টেবিল চামচ
এবং কাঁচা হলুদ বাটা এক চা চামচ
যেভাবে ব্যবহার করবেন:
প্রথমে দুধ, লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো
একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রন বা
পেস্ট তৈরি করুন। সারা মুখে এই পেস্ট
ভালভাবে লাগিয়ে প্যাকটি শুকনো
হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে
গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে পরিষ্কার
করে ধুয়ে নিয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে
আলতো করে মুছে নিন। গরম জল দিয়ে
মুখ ধোবেন না এবং অন্তত ১২ ঘণ্টা
রোদে যাবেন না।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে
ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে
আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ
থাকুন।

অ্যাসিডিটি, প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়ার সমস্যায় জেনে রাখুন ঝটপট সমাধান!

অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটির অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করতে থাকে যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। এই অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক ধরণের ঔষধ ও কেমিক্যালজাতীয় ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া যায়। যার রয়েছে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিকউপায় ব্যবহার করাই ভালো। তাহলে আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়।
যা করবেন এবং যা করবেন না
– দ্রুত কলা বা আপেল যে কোনো একটি ফল খেয়ে নিন। অ্যাসিডিটি অনেকটাই কমে যাবে।
– শুয়ে থাকবেন না। থুঁতনি উঁচু করে রাখুন। এতে গ্যাসের সমস্যার কারণে বুক জ্বলা কমে যাবে।
– তাড়াহুড়ো করে গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না। ধীরে সুস্থে খাবার চিবিয়ে খাবেন। গোগ্রাসে গিলে ফেললে খাবার হজম হতে সমস্যা হয় যার কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
– খাবারে যতো অনিয়ম হয় ততো অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই খাবারের সময়টা একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
তাৎক্ষণিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সমাধানগুলো অবলম্বন করতে পারেন যা খুবই সহজলভ্য এবং কার্যকরী।
১) আদা চা
যদি খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে এক কাপ আদা চা পান করে নিতে পারেন তাহলে খাওয়ার পর একেবারেই বুক জ্বলার সমস্যায় ভুগবেন না। খাওয়ার পর বুক জ্বলা শুরু হয়ে গেলেও আদা চা পান করার ফলে খুব দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
– ১ ইঞ্চি ৩ খণ্ড আদা কুচি একটু ছেঁচে ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন।
– ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে প্রায় ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।
– ছেঁকে এই পানীয় পান করুন। খাবার খাওয়ার আগে হলে ২০ মিনিট আগে পান করুন এবং পরে হলে বুক জ্বলা কমাতে পান করুন।
২) বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সোডিয়াম বাই-কার্বনেট অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত নিরাময়ে বিশেষভাবে সহায়ক। এর পিএইচ ৭ মাত্রার বেশী হওয়ার কারণে এটি পেটের অ্যাসিডকে শান্ত করে জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।
– আধা থেকে ১ চা চামচ বেকিং সোডা ১ গ্লাস পানিতে ভালো করে গুলিয়ে নিন। বেকিং সোডা এর চাইতে বেশী নেবেন না।
– প্রয়োজনে এই পদ্ধতি দিনে ২/৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রতিদিন এই পদ্ধতি পালন করবেন না। সপ্তাহে ১/২ বার পান করতে পারেন।

রাতের বেলা ঘুম হয় না? জেনে নিন অনিদ্রার সমস্যায় প্রাকৃতিক ঘরোয়া সমাধান!

অনিদ্রা হচ্ছে ঘুমের একটি রোগ যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ঘুম না হওয়া বা বিভিন্ন সমস্যায় ঘুমাতে না পারা। এর ফলাফল স্বরূপ দিনের বেলায় অলসতা, দুশ্চিন্তা, মাথা ব্যাথা, বিষন্নতা, ত্রুটিপূর্ণ কর্মদক্ষতা ছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অনিদ্রা সাধারণত দুই ধরনের, একটি হচ্ছে তীব্র ও অন্যটি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী।
তীব্র অনিদ্রা সাধারণত ১/২ দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে অপরদিকে দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা প্রায় মাস খানেক বা তার চেয়ে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে।
অনিদ্রা বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে তার মাঝে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা, কম ঘুমানোর স্বভাব, মানসিক রোগের জন্য, জীবন যাত্রার পরিবর্তন, ঘুমানোর পরিবেশ বদল হলে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথায়, ক্যাফেইন বা অন্য উত্তেজক কিছুর প্রভাবে, শ্বাস কষ্টে এবং কিছু অসুস্থ অবস্থায় যেমন হার্ট ফেইল, আর্থ্রাইটিস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদির সমস্যায় হতে পারে।
আবার বেশ কিছু ঔষধেরও যেমন corticosteroids, beta-blockers, ACE inhibitors, alpha-blockers ইত্যাদির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারনেও অনিদ্রা হতে পারে। অনিদ্রার সমস্যা যাদের মাঝে রয়েছে একমাত্র তারাই এর কষ্টটা বুঝতে পারেন।
এখানে অনিদ্রার সমস্যায় কিছু প্রাকৃতিক ঘরোয়া সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো।
জিরা: জিরা হচ্ছে রান্নার একটি বহুল প্রচলিত মশলা যার রয়েছে ঔষধি গুনাগুন এবং হজমে সাহায্য করার ক্ষমতা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে জিরাকে ঘুম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া জিরার তেল স্থিরতা আনতে সহায়তা করে। একটি পাকা কলার সাথে ১ চা চামচ জিরার গুড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খেয়ে নিন।
এছাড়াও জিরা ফুটিয়ে চা তৈরি করে খেলে অলসতা ও ক্লান্তি বোধ কেটে যায়। কারণ অনিদ্রার ফলে অলসতাও তৈরি হয়। এই চা তৈরি করতে হলে ১ চা চামচ জিরা একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় অল্প আঁচে ৫ সেকেন্ড ভেজে নিয়ে এক কাপ গরম পানিতে সামান্য ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে ঢেকে ৫ মিনিট রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
জয়ফল: জয়ফলের রয়েছে উত্তেজনা প্রশমন করে প্রশান্তি দেয়ার মত গুণাবলী এবং এটি প্রাকৃতিক ভাবেই ঘুম আসতে সহায়তা করে। ১/৮ বা ১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো কুসুম এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে খেয়ে নিন।
আবার ঘুমাতে যাবার আগে ১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো চাইলে এক কাপ যেকোন ফলের জুসের মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা সামান্য জয়ফল গুঁড়ো এক টেবিল চামচ আমলকীর রসের সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খান যা বিষন্নতা ও হজমের সমস্যা দূর করবে।
জাফরান: জাফরানেরও রয়েছে প্রশান্তিদায়ক গুণাবলী যা অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে। সামান্য জাফরান এক কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে খেতে পারেন।
ক্যামোমিল চা: অনিদ্রা দূর করার প্রাকৃতিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্যামোমিল চা বেশ জনপ্রিয়।ক্যামোমিলে থাকা apigenin নামক যৌগে রয়েছে প্রশান্তিদায়ক গুনাগুন।তাই অনিদ্রা দূর করতে এক কাপ ক্যামোমিল চা পান করুন সামান্য মধু মিশিয়ে।
কলা: অনিদ্রা দূর করতে কলা বেশ উপকারী। কারণ কলাতে থাকা ট্রিপটোফেন নামক অ্যামাইনো এসিড সেরেটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে যা ঘুমের প্যাটার্নকে পরিচালনা করে। আবার কলা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করতে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কুসুম গরম দুধ: কুসুম গরম দুধ শরীর ও মনকে প্রশান্ত করতে একটি উৎকৃষ্ট ঘরোয়া উপায়। এছাড়া দুধেও রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক অ্যামাইনো এসিড যা ঘুমকে নিয়ন্ত্রন করে। ১/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এক কাপ কুসুম গরম দুধে মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে খেতে পারেন ভালো ঘুমের জন্য।
মেথিশাকের রস: মেথি সাধারণত অনিদ্রা, মাথা ঘোরানো এবং উদ্বিগ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ২ চা চামচ মেথিশাকের রস ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খান।
গরম পানিতে গোসল: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে অনিদ্রা থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। এই নিয়মটি শরীরের ইন্দ্রীয়গুলোকে শিথিল ও প্রশান্ত করতে সাহায্য করবে। তাই এই উপায়টিকে আরো কার্যকরী করতে চাইলে গোসলের কুসুম গরম পানিতে যোগ করতে পারেন লেমন, ল্যাভেন্ডার, রোজমেরী বা ক্যামোমিলের মত কিছু এসেন্সিয়াল ওয়েল।
আপেল সিডার ভিনেগার এবং মধু: আপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে কিছু অ্যামাইনো এসিড যা অলসতা দূর করতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে এটি ট্রিপটোফেন থাকা ফ্যাটি এসিডকে ভাঙতে সাহায্য করে।
মধুও ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। কারন এটি ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং মস্তিস্কে থাকা সেরোটোনিন নামক যৌগ নির্গত করতে সাহায্য করে যা ঘুমানোর ও জেগে উঠার চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং ২ চা চামচ খাটি মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে খেতে পারেন অনিদ্রা দূর করতে চাইলে।
আবার তৈরি করতে পারেন একটি টনিক। ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে এক কাপ মধু মিশিয়ে রেখে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে ১ টেবিল চামচ করে খেতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো অনুসরণ করা ছাড়াও নিয়মিত ভালো ঘুমের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই উচিত। যেমন-
– ঠিক ঘুমাতে যাবার আগে বেশি খাবার খাবেন না
– রাতের খাবার দেরি করে খাবেন না
– শান্ত ও অন্ধকার ঘরে ঘুমান
– প্রশান্তিদায়ক কিছু ব্যায়াম করতে পারেন
– সম্ভব হলে যোগব্যায়াম করুন
– খাবার তালিকা থেকে ক্যাফেইন জাতীয় জিনিসগুলো বর্জন করুন
এসব কিছুর পরও যদি দৈনন্দিন জীবন যাত্রা অনিদ্রার জন্য ব্যাহত হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ঘাড় ও গলার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে করুন ৪ টি কাজ

মানবদেহে প্রতিটি অঙ্গের মধ্যে বিশেষ করে নারীদের গলা ও ঘাড় খুব আকর্ষণীয়। সুন্দর গলার ও ঘাড়ের অধিকারী নারীদের দেখতেও যেমন খুব ভালো লাগে তেমনি তাঁদের গলায় যে কোন জিনিস খুব মানিয়ে যায়। আমাদের দেহের অন্যান্য অঙ্গের ত্বকের তুলনায় গলার ও ঘাড়ের ত্বক খুব দ্রুত টান টান ভাব হারিয়ে ফেলে।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, গলার ত্বক ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বলিরেখা সারিয়ে তুলতে আছে কিছু দারুণ সমাধান যেমন- এক্সারসাইজ, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, সূর্যের আলো হতে ত্বক রক্ষা করা এগুলো ঘাড়-গলার ত্বকের জন্য খুব জরুরি। কিন্তু এইসব কাজ ছাড়াও আরও কিছু কাজ আছে যা আপনার করা উচিৎ।
এক্সফলিয়েট
প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার ঘাড়-গলার ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করা ভালো এতে করে ত্বকের মৃত কোষ, নিস্তেজ চামড়া পরিষ্কার হবে। এই কাজটি শুধু গলার বলিরেখাই রোধ করেনা গলার ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখে এবং ব্রন রোধ করে। কিন্তু ঘন ঘন ঘাড়-গলার ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন
দেহের ত্বকের সুস্থতার জন্য ময়শ্চারাইজার খুব জরুরি। বিশেষ করে এমন কোন ময়শ্চাররাইজার যাতে SPF 15 পর্যন্ত আছে তা ঘাড়-গলার ত্বকের জন্য খুব উপকারী। আমাদের দেহের যে অঙ্গের চামড়াগুলো পাতলা থাকে সূর্যের আলো সেখানে লাগলে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং আমাদের ঘাড়-গলার চামড়াও খুব পাতলা হয়ে থাকে। তাই সূর্যের আলো থেকে মুখের ত্বক ঘাড় ও গলা বাঁচিয়ে রাখুন।
গলা নিচু করে কোন কাজ বা ফোন ব্যবহার রোধ করুন
আমরা অনেকেই কাজ করার সময় মাথা নিচু করে কাজ করি বা অনেক সময় ফোন ব্যবহার করি মাথা নিচু করে এইভাবে আমাদের গলার ত্বকে ভাঁজ পড়ে এবং বলিরেখা দেখা দেয়। এবং বেশিমাত্রায় গলা নামিয়ে কাজ করলে ঘাড় ব্যথাও হতে পারে।
সঠিক উপায়ে ঘুমান
ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমালে আমাদের মুখের ত্বক, গলা ও ঘাড় ভালো থাকে এবং এই ভাবে ঘুমানোর ফলে নারীদের স্তনও সুগঠিত থাকে।

২ মিনিটে দাঁত সাদা করবে কলার খোসা

আচ্ছা, অতীত কালে তো ডাক্তার ছিল না। আর ছিল না নামকরা ব্রান্ডের পেস্ট ব্রাশ দাঁত মাজার জন্য। তাহলে কি তখন মানুষের দাঁত থাকতো হলদেটে আর দাগে ভরা? মোটেই না। মানুষের কাছে তখন ছিল হরেক রকম ঘরোয়া টিপস। আর তেমনই একটা হচ্ছে কলার খোসা দিয়ে দাঁত সাদা করা।
ভাবছেন এও কি সম্ভব? কিংবা ভাবছেন – “যাহ, সব ভুয়া”… তাই না? কিন্তু অসম্ভব নয়, আর মিথ্যাও নয়। কলার খোসা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞান সম্মতভাবে আপনার দাঁত সাদা করতে সক্ষম। সুতরাং ভুলে যান দাঁতের ডাক্তারের কাছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করার ভাবনা, আর ঘরে বসেই নিজের দাঁত গুলোকে রাখুন ঝকঝকে। তবে হ্যাঁ, কাজটা করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। আর আজ জানানো হচ্ছে সেটাই।
কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ। আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তুলবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যারা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদান গুলো শোষণ করতেও সহায়তা করে। কলার খোসা নিঃসন্দেহে সাদা করে তুলবে আপনার দাঁত, তবে ব্যবহার করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে। জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।
– প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যারা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।
– কলা উলটো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে খোসার সাথেই।
– খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
– এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।
– দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন।
এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো, লাগছে না দাঁত একটু বেশি পরিষ্কার? ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন। এবং সঠিক নিয়েম মেনে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে-
– এটা কোনও ম্যাজিক নয়। তাই ভালো ফল পেতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
– অবশ্যই কমপক্ষে ২ মিনিট ঘষতে হবে। এই সময়টা জরুরি। বেশি ঘষলে আরও ভালো।
– ঘষার পর অবশ্যই সময় দিতে হবে খনিজ গুলো দাঁতে শোষিত হবার।
– যাদের দাঁত মদ্যপান, ধূমপান বা অসুস্থতার কারণে হলুদ তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে।
– কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই অবশ্যই দাঁত খুব ভালভাবে মেজে নিতে হবে। এবং এই কারণেই দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
– যাদের দাঁত খুব একটা বেশি হলুদ নয়, তারা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
অনেকেই বলবেন যে কাজ হয় না, ভুয়া ইত্যাদি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হলো হয় তারা চেষ্টা না করেই বলেছেন, কিংবা চেষ্টা করলেও সঠিক ভাবে করেননি। ফল পাবার জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই অন্য লোকের কথা শোনা বাদ দিয়ে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন