BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

২ মিনিটে দাঁত সাদা করবে কলার খোসা

আচ্ছা, অতীত কালে তো ডাক্তার ছিল না। আর ছিল না নামকরা ব্রান্ডের পেস্ট ব্রাশ দাঁত মাজার জন্য। তাহলে কি তখন মানুষের দাঁত থাকতো হলদেটে আর দাগে ভরা? মোটেই না। মানুষের কাছে তখন ছিল হরেক রকম ঘরোয়া টিপস। আর তেমনই একটা হচ্ছে কলার খোসা দিয়ে দাঁত সাদা করা।
ভাবছেন এও কি সম্ভব? কিংবা ভাবছেন – “যাহ, সব ভুয়া”… তাই না? কিন্তু অসম্ভব নয়, আর মিথ্যাও নয়। কলার খোসা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞান সম্মতভাবে আপনার দাঁত সাদা করতে সক্ষম। সুতরাং ভুলে যান দাঁতের ডাক্তারের কাছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করার ভাবনা, আর ঘরে বসেই নিজের দাঁত গুলোকে রাখুন ঝকঝকে। তবে হ্যাঁ, কাজটা করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। আর আজ জানানো হচ্ছে সেটাই।
কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ। আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তুলবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যারা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদান গুলো শোষণ করতেও সহায়তা করে। কলার খোসা নিঃসন্দেহে সাদা করে তুলবে আপনার দাঁত, তবে ব্যবহার করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে। জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।
– প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যারা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।
– কলা উলটো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে খোসার সাথেই।
– খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
– এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।
– দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন।
এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো, লাগছে না দাঁত একটু বেশি পরিষ্কার? ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন। এবং সঠিক নিয়েম মেনে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে-
– এটা কোনও ম্যাজিক নয়। তাই ভালো ফল পেতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
– অবশ্যই কমপক্ষে ২ মিনিট ঘষতে হবে। এই সময়টা জরুরি। বেশি ঘষলে আরও ভালো।
– ঘষার পর অবশ্যই সময় দিতে হবে খনিজ গুলো দাঁতে শোষিত হবার।
– যাদের দাঁত মদ্যপান, ধূমপান বা অসুস্থতার কারণে হলুদ তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে।
– কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই অবশ্যই দাঁত খুব ভালভাবে মেজে নিতে হবে। এবং এই কারণেই দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
– যাদের দাঁত খুব একটা বেশি হলুদ নয়, তারা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
অনেকেই বলবেন যে কাজ হয় না, ভুয়া ইত্যাদি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হলো হয় তারা চেষ্টা না করেই বলেছেন, কিংবা চেষ্টা করলেও সঠিক ভাবে করেননি। ফল পাবার জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই অন্য লোকের কথা শোনা বাদ দিয়ে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন

ধূমপান ছাড়তে চান চিরকালের জন্য? চর্চা করুন ৫টি সহজ অভ্যাস!

অনেকেই ইচ্ছে করে কিংবা নিজের পছন্দের মানুষটির কারণে ধূমপানের বাজে অভ্যাসটিকে ছাড়ার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। কিন্তু দেহের কিছু প্রতিক্রিয়া ও মনের জোর না থাকার দরুন অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না ধূমপান থেকে।
মাঝে মাঝে এমন সময় এসে উপস্থিত হয় যখন ধূমপান না করা পর্যন্ত স্বস্তি পান না অনেকে। আর এভাবেই ছাড়ি ছাড়ি করেই এই বদ অভ্যাসটি ছাড়া হয় না। আপনাদের এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করতে আমাদের আজকের ফিচার। দেখে নিন খুব সহজে মাত্র ৫ মিনিটের অভ্যাস রপ্ত করে কিভাবে এই বদঅভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হাঁটাহাঁটি করতে চলে যান:
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তখন হাঁটতে চলে যান বাইরে। ৫-১০ মিনিট হেঁটে আসুন। হাঁটা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে। এবং শারীরিক পরিশ্রম অনেকাংশে ধূমপানের ইচ্ছে কমিয়ে দেয়।
মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে ফেলুন:
ধূমপানের ইচ্ছা মনের ভেতর চাগিয়ে উঠলে দ্রুত মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। নিজের পছন্দের কিছু করুন, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শোনা কিংবা একটু নেচে নেয়া ইত্যাদি। চাইলে একটু যোগ ব্যায়াম করে নিতে পারেন। এতে মনোযোগ সরে যাবে সেই সাথে ধূমপানের ইচ্ছেটাও।
পানি পান করুন:
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে জাগবে তখনই ২ গ্লাস পানি পান করে ফেলবেন এক নিঃশ্বাসে। এতে করে আপনার দেহে যে ধরণের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল ধূমপান না করার কারণে তা নষ্ট হবে। আপনার ধূমপানের ইচ্ছেও চলে যাবে।
যে কারণে ধূমপান ত্যাগ করতে চান সেই কারণটি মনে করুন:
খুব বেশি মাত্রায় ধূমপানের ইচ্ছে হলে মনে করুন কি কারণে আপনি ধূমপান ছাড়তে চাইছেন। কোনো পছন্দের মানুষের কারণে বা নিজের বাবা মায়ের কারণে অথবা নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে। যে কারনেই হোক সেটি মনে করুন এতে মনের জোর পাবেন।
চিনি সমৃদ্ধ কিছু খান:
যখন দেহের রক্তে চিনির মাত্রা কমে যায় তখনই ধূমপানের ইচ্ছেটা বেশ ভালো করে চাগিয়ে উঠে। তাই ধূমপানের ইচ্ছে হলেই চিনি সমৃদ্ধ কিছু খেয়ে ফেলুন। এতে ধূমপানের ইচ্ছে মরে যাবে।
বন্ধুর সাথে কথা বলুন:
যখনই ইচ্ছে হবে একটু ধূমপান করার তখনই সাত পাঁচ না ভেবে বন্ধুকে ফোন দিন। কথা বলুন বন্ধুর সাথে। ৫ মিনিট কথা বলুন। দেখবেন বন্ধুর সাথে কথা বলার চলে ভুলেই গিয়েছেন ধূমপান করার কথা। এবং ৫ মিন্ত পরে আবিষ্কার করবেন ধূমপানের যে ইচ্ছেটা জেগে উঠেছিল তা মনে গিয়েছে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কার্যকরী ১০ ঘরোয়া উপায়

ঋতুস্রাব মেয়েদের স্বাভাবিক একটি বিষয়। আর এই সময়ে পেটে ব্যথা কম বেশি সব মেয়েদের হয়ে থাকে। অনেকের ব্যথার পরিমাণটা এত বেশি হয়ে থাকে যে মাসিকের সময় তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি হয়। ঔষধ খাওয়া ছাড়াও ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা পেট ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়গুলো
১। গরম পানির প্যাক
পেটে ব্যথার জায়গায় গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটের ওপর দিতে পারেন। এটি আপনার ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে। এছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসলও করতে পারেন। এটিও আপনার পেটের ব্যথা কমিয়ে কিছুটা স্বস্তি হবে।
২। দুধ
প্রতিদিন সকালের নাস্তায় এক গ্লাস দুধ পান করুন। এটি আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে। যদি আপনি দুধ খেতে না পারেন তবে ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খেতে পারেন।
৩। আদা
আদা বেশ উপাকারী ঋতুস্রাবের ব্যথা রোধের জন্য। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভাল উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম পানিতে সেদ্ধ করে চাইলে এর সাথে মধু বা চিনি যোগ করে এটি দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন।
৪। পেঁপে
ঋতুস্রাবের ব্যথা রোধের জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকরী। ঋতুস্রাবের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খান। কাঁচা পেঁপে মাসিকের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
৫। ল্যাভেন্ডার অয়েল
মাসিকের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মালিশ করুন। ১০- ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে অনেকখানি।
৬। অ্যালোভেরা রস
অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। মাসিকের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়টি।
৭। ধনে বীজ
ধনে বীজে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি উপাদান রয়েছে, যা মাসিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। কয়েকটা ধনে বীজ গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। এই পানীয়টি দিনে দুইবার পান করন। এটি আপনার মাসিক ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে।
৮। কফি এড়িয়ে চলুন
এ সময়টায় কফি-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কফিতে মূলত ক্যাফেইন থাকে যা রক্তনালীসমূহকে উত্তেজিত করে তোলে। এবং এটি পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।
৯। গাজর
এক গ্লাস গাজরের রস আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেটে ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে। মাসিক চলাকালীন প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস পান করার চেষ্টা করুন।
১০। প্রচুর পানি এবং পানীয় জাতীয় খাবার খান
দেহের শুষ্কতারোধে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং পানিজাতীয় খাবার খান। কেননা এই সময়টায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এছাড়া এই সময় ভিটামিন এবং মিনারেল-জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরী। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মিনারেল। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

যে ৫টি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত দাঁতের ডাক্তার দেখাবেন!

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্যাদা বোঝে না”। আসলেও দেখা যায়, দাঁতকে এমন অবহেলা করি আমরা যে ভীষণ কোনো ক্ষতি হয়ে যাবার আগে টের পাই না। এসব ক্ষতি হবার আগেই কিছু লক্ষণ দেখে আপনার যাওয়া উচিৎ ডেন্টিস্টের কাছে।
সাধারণত ছয় মাসে একবার করে ডাক্তার দেখানোটা জরুরী। আপনি যদি দাঁত ও মুখ পরিষ্কার রাখেন এবং কোনো সমস্যা না থাকে তাহলেও আপনার উচিৎ ছয় মাসে একবার দাঁতের ডাক্তার দেখানো। কারণ আমাদের কাছে দাঁত সুস্থ আছে বলে মনে হলেও এতে কোনো সমস্যা থাকতে পারে যা শুধুমাত্র দাঁতের ডাক্তারই ধরতে পারবেন।
এ ছাড়াও আপনার যদি ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন বা অন্য কোনো জটিল রোগ থেকে থাকে তবে একটু ঘন ঘন এবং নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখানোটা ভালো।
গর্ভবতী অবস্থাতেও দাঁতের ডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাটা জরুরী। এছাড়া আপনার যদি পান-সুপারি খাওয়া বা ধূমপানের অভ্যাস থাকে, অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস থাকে তাহলেও অন্যদের চাইতে ঘন ঘন দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা প্রয়োজন।
কী কী লক্ষণ দেখা গেলে খুব দ্রুত দাঁতের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, এ বিষয়ে জানিয়েছেন দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ আফরোজা আক্তার লাকি। তিনি বর্তমানে আদাবরের লাকি ডেন্টাল ক্লিনিক এ কর্মরত আছেন। তার মতে, এসব লক্ষণ দেখা গেলে ডেন্টিস্ট দেখানোটা জরুরী, নয়তো দাঁতের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
১) দাঁত ও মাথায় তীব্র ব্যাথা
মাঝে মাঝে ঠাণ্ডার কারণে বা অন্য কোনো কারণে দাঁত ব্যাথা করে এবং এই ব্যাথা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। এতে চিন্তিত হবার তেমন কিছু নেই। কিন্তু ব্যাথা যদি বারবার ফিরে আসে, বেশকিছুদিন ধরে স্থায়ী থাকে, ফোঁড়া টনটন করার মতো অসহ্য ব্যাথা হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা দরকার। এ ছাড়া সহনীয় ব্যাথাও যদি বেশিদিন ধরে থাকে তবে তাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
দাঁতের পাশাপাশি মাথাও ব্যাথা করে অনেক সময়। মাথা ব্যাথা করলে অনেকে বুঝতে পারেন না কিন্তু এটাও দাঁতে সমস্যা থাকার লক্ষণ হতে পারে।
২) মাড়ি বা গাল ফুলে যাওয়া
মুখের ভেতরে নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে অনেক সময়ে দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন হয়ে থাকে। এতে যদি মাড়ি এবং মাড়ির পাশাপাশি গাল সহ ফুলে যায় তবে অবিলম্বে ডেন্টিস্ট দেখানোটা জরুরী।
৩) মুখের ভেতর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
অনেক সময়ে টুথব্রাশ পরিবর্তন করলে, বেশি জোর দিয়ে ব্রাশ করলে বা প্রথম প্রথম ফ্লস করতে গেলে অল্প কিছু রক্তক্ষরণ হতে পারে। এটা মোটামুটি স্বাভাবিক। কিন্তু রক্তক্ষরণ যদি অনেকদিন ধরেই হতে থাকে তবে তা চিন্তার কারণ।
ড.লাকি জানান, অনেক ক্ষেত্রে দাঁতে ক্যালকুলাস জমার কারণে অনেকে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মুখে অনেকটা রক্ত জমে আছে। এমন হলেও ডাক্তার দেখাবেন অবশ্যই।
৪) দাঁত শিরশির করা
দাঁত ক্ষয় হয়ে যাবার ফলে দাঁত শিরশির করে। মুলত গরম বা ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার সময়ে দাঁতে এমন অনুভুতি বেশি হয় এবং রোগী খাবার খেতে বা পান করতে পারেন না। প্রিয়.কমকে ড.লাকি বলেন, দাঁত শিরশির করাটাকে মানুষ মোটেই আমলে আনে না কিন্তু এটাও দাঁতের ক্ষতির একটি লক্ষণ।
৫) দাঁতে দাগ পড়ে যাওয়া
এটা সাধারণত যারা পান-সিগারেট বেশি খেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে হয়। এই দাগ থেকে পরে দাঁতের খারাপ কোনো রোগ হতে পারে তাই ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে এসব দাগ দূর করাটা দরকারি।

রক্তচাপ দ্রুত কমিয়ে ফেলার দারুণ একটি কৌশল জেনে রাখুন

রক্তচাপ বেশি হবার যথেষ্ট কারণ তো আমাদের আশেপাশেই ছড়িয়ে আছে। পরীক্ষার ফল ভালো হবে তো? জরুরী প্রেজেন্টেশনটা ভালো হয়েছে তো? শখ করে কেনা গিফটটা স্ত্রীর যদি পছন্দ না হয়? এমনই হাজারো কারণে রক্তচাপ বেড়ে গেলে কী করবেন? জেনে নিন রক্তচাপ কমানোর ছোট্ট একটি কৌশল।
যারা ঘুমাতে বেজায় পছন্দ করেন, তাদের জন্য সুসংবাদ, দুপুরের দিকে একটুখানি ঘুম আপনার রক্তচাপ কমাতে পারে। শুধু যে রক্তচাপ কমায় তাই না, বরং এই ঘুমটা আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায় অনেকখানি।
অস্বাভাবিক রকমের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলো হাইপারটেনশন। এই সমস্যায় ভোগা ৪০০ জন মধ্যবয়সী মানুষের মানুষকে নিয়ে গবেহসনা করা হয়। এতে দেখা যায়, যারা দুপুরের দিকে ঘুমিয়ে নেন, ২৪ ঘন্টার মাঝে তাদের রক্তচাপ ৫ শতাংশ কম থাকে। এটা খুব ছোট একটি পার্থক্য মনে হলেও এর কারণেই ১০ শতাংশের মতো কমে আসতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি।
ঘুমের সময়সীমা যতো বেশি হবে, উচ্চ রক্তচাপ তত প্রশমিত হবে। সবচাইতে ভালো ফলাফলের জন্য এক ঘন্টা ঘুমানোটাকে ভালো মনে করা হয়।
এই গবেষণায় যারা অংশ নেনে, তাদের হাইপারটেনশন ছিলো কন্ট্রোলড বা স্থিতিশীল। অস্থিতিশীল হাইপারটেনশন যাদের ছিলো, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
অনেকে মনে করতে পারেন দুপুরে শুধুমাত্র বিশ্রাম নিলে কমে যাবে রক্তচাপ। কিন্তু আসলে এর জন্য প্রয়োজন ঘুম। ঘুমের REM পর্যায়ের ঠিক আগে রক্তচাপ কমে যায় সবচাইতে বেশি তাই। ঘুমানোটা প্রয়োজন।
এটা ঠিক যে নয়টা-পাঁচটা অফিসের মাঝে দুপুরে ঘুমানোর চিন্তা করাটা আসলেই অদ্ভুত। কিন্তু লাঞ্চ ব্রেকের মাঝে কিছুটা সময় করে ঘুমিয়ে নিতে পারলে আসলে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটা অনেক কমে যাবে।

সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশের ৯ পরামর্শ

আমাদের দিন শুরু ও শেষ হয় দাঁত ব্রাশ করা দিয়ে। অথচ অনেকেই হয়তো জানেন না দাঁত ব্রাশ করার সঠিক নিয়মকানুন; বিশেষ করে আপনি নিজেই যদি না জেনে থাকেন, তবে বাড়ির শিশুটিকে শেখাতেও পারবেন না। আর সঠিক নিয়মে ব্রাশ না করলে লেগে থাকবে দাঁত ও মুখের নানা সমস্যা। তাই জেনে নিন কীভাবে দাঁত ব্রাশ করা উচিত।
১: প্রথম কথা হচ্ছে টুথব্রাশ বাছাই করা। ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ছোটদের জন্য ছোট আকারের ব্রাশ দরকার, যা ওদের মুখে সহজে আঁটে।
২: পরিমিত মাত্রায় পেস্ট নিয়ে সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করুন। সম্ভব হলে ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। শিশুদের জন্য কম ঝাঁজাল টুথপেস্ট বেছে নিন।
৩: ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়া করবেন না। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
৫: তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।
৬ : দিনে কম পক্ষে দুবার ব্রাশ করার পাশাপাশি অন্য সময় চকলেট কিংবা মিষ্টিজাতীয় আঠালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁত ব্রাশ করুন।
যা করা উচিত নয়
৭: অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। বেশি জোরে ও দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতের ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
৮:সামনে-পিছে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের গোড়া ক্ষয়ে যেতে পারে। ওপর-নিচে ব্রাশ করুন।
৯: টকজাতীয় খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।
কীভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন?
১: ওপরের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ পৌঁছে দিন।
২: নিচের পাটি
মাড়ির নিচের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করতে প্রতিটি দাঁতের আশপাশে ব্রাশ করুন।
৩: দাঁতের ওপরের অংশ
পেছনের দাঁতের ওপর-নিচ সবখানে ব্রাশ করুন।
৪: দাঁতের বাইরের অংশ
এক প্রান্ত থেকে শুরু করে অপর প্রান্ত পর্যন্ত অথবা ওপর থেকে নিচের দিকে ব্রাশ করুন।
ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করতে এক থেকে দুই মিনিট সময় নিন।
অল্প পরিমাণে ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং একটি ছোট ও নরম ব্রাশ বেছে নিন।
শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সঠিক নিয়মে ব্রাশ করা শেখানো অভিভাবকের দায়িত্ব। দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য শিশুদের মাছের কাঁটা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ডা. মোখলেছুর রহমান
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩

জেনে নিন হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ৭টি সহজ উপায়!

হাঁটুর ব্যথা আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি রোগ। বয়স্ক মানুষ এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে শিশু, মহিলা এবং তরুণরাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই রোগটি আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও এর ভোগান্তি অতি মারাত্মক।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম থামিয়ে দিতে পারে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা। তাই আজ রয়েছে হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তির কিছু সহজ উপায়। এ প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ মাসুম বিল্লাহ।
১. আইস প্যাক:
ডাঃ মাসুম বিল্লাহ হাঁটুর ব্যাথার সমাধানে প্রথমেই বলেন আইস প্যাকের কথা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হাঁটুর ব্যাথা অনুভূত হলে তিন চার টুকরো বরফের কিউব টাওয়েলের সাথে জড়িয়ে নিন। এরপর ঠিক যে জায়গায় ব্যথা অনুভূত হবে সেখানে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
মনে রাখবেন এক জায়গায় একটানা ২০ মিনিটের বেশি বরফ রাখবেন না, এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।। হাঁটুর ব্যাথায় আরও ভালো ফলাফলের জন্য একটি বড় আইস প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন।”
২. ম্যাসাজ থেরাপি:
হাঁটুর সমস্যার সমধানে ম্যাসাজ থেরাপির ভালো কাজে দিবে। “তিন চার চামচ অলিভ ওয়েল গরম করুন। এবার ব্যাথার স্থানে আলতো করে মালিশ করতে থাকুন। ১০-১৫ মিনিট টানা মালিশ করুন। দিনে দুই তিনবার এই পদ্ধতি অব্যাহত রাখুন।”
৩. হিট থেরাপি:
হাঁটুর ব্যাথায় ঠাণ্ডা পানির মত গরম পানিকেও কাজে লাগানো যেতে পারে।”বাথটাবের মধ্যে বা অন্য কোন উপায়ে আপনার হাঁটু গরম পানির মধ্যে ১০-১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। আবার গরম পানিযুক্ত ব্যাগও আপনি ৫-১০ মিনিট আক্রান্ত স্থানে রেখে দিতে পারেন। এভাবে দিনে দুই তিনবার এটা করলে অবশ্যই উপকার পাবেন।”
৪. দুধ পানে পেতে পারেন ব্যাথা থেকে মুক্তি:
দুধ পানের মাধ্যমে হাঁটুর সমস্যায় নিরাময় সম্ভব।“প্রথমে দুই কাপ দুধের সাথে এক টেবিল চামচ বাদাম ,আখরোটের গুঁড়ো এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে।
তারপর এই দ্রবণটি ভালোভাবে ফুটাতে হবে এবং পুরো দ্রবণটি অর্ধেকে না আসা পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে। পুরো একমাস দিনে একবার এই দুধ পান করতে হবে। একমাস পরেই রোগী হাঁটুর ব্যাথা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবেন।”
৫. আদায় মিলবে স্বস্তি:
প্রতিদিন আদা দিয়ে তৈরি করা চা পান করুন। এটি আপনার হাঁটুর ব্যথা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।
৬. চলাফেরা করুন:
“যাদের হাঁটুর ব্যাথা রয়েছে তাদের জন্য কঠোর ব্যায়াম মোটেই আদর্শ নয়। বরং তারা ধীরে সুস্থে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় ঘুরতে পারেন, যেটা তাদের জন্য উপকারি হবে।”
৭. যে খাবার নিয়মিত খেতেই হবে:
ডাঃ মাসুম বিল্লাহ হাঁটুর ব্যথা নিরাময়ের জন্য নিয়মিত কিছু খাদ্য গ্রহণের উপর জোর দেন। তার মতে প্রতিদিনের খাবারে থাকা চাই সতেজ শাকসবজি এবং ফলমূল। বাদাম এবং শুকনো ফল খাওয়ার অভ্যাসটাও বজায় রাখা উচিত। আর এসব খাবার নিয়মিত খেলে আপনার হাঁটুর ব্যাথাও অনেকাংশে কমে যাব

ঘামের বিচ্ছিরি গন্ধ দূর করার ৫ টি চমৎকার ঘরোয়া উপায়!

গরমে ঘাম হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের গরম, শীত সবসময় ঘাম হয়ে থাকে। ঘাম হওয়া খারাপ কিছু নয়,বরং ঘাম না হওয়াটাই খারাপ। কিন্তু কারো কারো ঘামে অধিক দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়ে থাকে। মূলত এই দুর্গন্ধের পিছনে ব্যাকটেরিয়া দায়ী, যা ঘাম থেকে সৃষ্টি হয় এবং এই ব্যাকটেরিয়া পরবর্তীতে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করে থাকে।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য বিভিন্ন ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন অনেকেই। ডিওডোরেন্ট একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে, তারপর আবার প্রকট হয়ে উঠে ঘামের সমস্যা। চলুন, আজ জেনে নিই ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়।
১। বেকিং সোডা
বেকিং সোডা শরীরের ঘাম শুষে নিয়ে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে।
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি আন্ডারআর্মসে লাগান। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন একবার করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আপনার ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
২। আপেল সাইডার ভিনেগার
ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে আপেল সাইডার ভিনেগার অতুলনীয়। এটি শরীরের পিএচ লেভেল ঠিক রেখে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে থাকে।
আপেল সাইডার ভিনেগার একটি তুলোর বলে ভিজিয়ে নিন। এবার এটি ঘাম হবার জায়গাগুলোতে ঘষুন। ২ থেকে ৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শুয়ে ফেলুন। এটি দিনে দুইবার করুন।
কসুম গরম পানিতে এক কাপ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার এই পানি দিয়ে গোসল করুন। প্রতিদিন এভাবে গোসল করলে ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা অনেকটা কমে আসবে।
৩। লেবুর রস
লেবুর রস শরীরের পিএচ লেভেল কমিয়ে দেয় ফলে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে না। যে সকল ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকে তাও মারা যায়।
একটি লেবুকে দুভাগে ভাগ করে ফেলুন। এক অংশ দিয়ে বগলের নিচে ঘষুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর গোসল করে নিন বা ধুয়ে ফেলুন। এটি প্রতিদিন করুন, যত দিন পর্যন্ত ঘামের দুর্গন্ধ পুরো পুরি না দূর হয়।
আপনি সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী হন, তবে এক কাপ পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস দিয়ে দিন। এবার সেটি তুলোর বলে ভিজিয়ে ব্যবহার করুন। এভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করবেন।
৪। টমেটো
টমেটোর অ্যান্টিস্পেটিক উপাদানসমূহ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ফলে ঘাম থেকে আর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে না।
৭/৮ টি টমেটোর রস বের করে নিন। এবার এক বালতি পানিতে টমেটোর রস দিয়ে দিন। এই পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি প্রতিদিন করুন। কিছুদিনের মধ্যে ঘাম হতে দুর্গন্ধ হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিদিন দুই গ্লাস টমেটোর জুস খান, এটিও ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে দেবে।
৫। শালগম
শালগমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া শালগমে আছে ভিটামিন সি যা শরীরের অন্যান্য গন্ধ দূর করে থাকে।
শালগমের রস করে নিন। এবার তুলোর বলে শালগমের জুস ভিজিয়ে ঘাম হবার জায়গাগুলোতে ঘষুন। শুকিয়ে আসলে কুসুম গুরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনাকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত ঘামের দুর্গন্ধ হাত থেকে রক্ষা করবে