BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

আপনার বাইক পরিষ্কার করুন ঘরে বসেই, বাইক পরিষ্কারের সম্পূর্ণ গাইডলাইন

আমরা বাংলাদেশে এমন একটা পরিবেশে বাস করি যে যার চারিদিকে শুধু প্রচুর ধূলাবালি আর কাদামাটি। এগুলো শুধুমাত্র বাইকের ক্ষেত্রে না , যেকোন মানুষ ও প্রাণীর পক্ষেই ক্ষতিকর। তাই , বাইক ভাল রাখার জন্য আমাদের বাইককে রেগুলার পরিষ্কার করা উচিৎ। না হলে বাইকের বিভিন্ন পার্টসে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর ঢাকা শহরে যে কেউ বাইক রাইড করলে তাকে প্রতিদিনই বাইক পরিষ্কার করা উচিৎ ।
ধূলাবালি সাধারণত বাতাসে ভেসে বেড়ায় , যেকারণে বাইক রাইড করলেই অটোমেটিক কিছু ধুলাবালি বাইকের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়ে । এই ময়লা আবর্জনা ও ধূলাবালি হল বাইকের সব পার্টস সহ বিশেষ করে ইন্জিনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর । তা্ই , আজ আমরা বাইক কীভাবে ভালভাবে পরিষ্কার করা যায় এবং এটা সুস্থ রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব ।

অনেকে এটাকে একটা কঠিন কাজ হিসেবে দেখেন এবং এটা রেগুলার করতে চান না । এই টাইপের মানুষদের জন্যও আজ চমৎকার একটা সমাধান রয়েছে । নীচের প্রসিডিউরগুলো ফলো করলে আপনার বাইক আপনি কম সময়ের ভেতর খুব সুন্দরভাবে পরিষ্কার করতে পারবেন । এইব এই প্রসিডিউর গুলো কিছু প্রফেশনাল রেস টিমের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ।

এই কাজের জন্য আমাদের প্রথমেই কী কী দরকার হবে সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে । নীচে এই কাজে ব্যাবহৃত সব ইকুইপমেন্ট সম্পর্কে বলা হল :

শ্যাম্পুর পানি রাখার জন্য একটা বালতি
শ্যাম্পু অথবা কোন ভাল ক্লিনার
গ্লোভস
বাগ এবং কার্বণ জাতীয় পদার্থ রিমুভার
ইন্জিন ক্লিনার
একটা টুথব্রাশ
চাকা পরিষ্কারের জন্য একটা ব্রাশ
হুইল ক্লিনার
১০০% কটন স্পঞ্জ
বেশ নরম কটনের তোয়ালে বা কাপড় ।
মোছার জন্য ভাল কোন কাপড় ।


এখন আমরা বাইক পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সম্পর্কে ভালভাবে জেনে গেছি । এবার কাজ শুরু করা যাক । আমরা বাইক পানি ও শ্যাম্পু দুটো দ্বারাই পরিষ্কার করতে পারি । এটা আপনার চয়েজ । আপনি অবশ্য পানি ও শ্যাম্পু একসাথে মিক্স করে নিতে পারেন । শুধু পানি নিলে সেটা হালকা গরম পানি হতে হবে ।
আমাদের সবসময়ই স্পঞ্জ টা রেডি রাখতে হবে এবং এটা এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে করে এটা মাটির সংস্পর্শে না আসে । বাইকের বিভিন্ন স্থানে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে বাগ এবং টার রিমুভার ইউজ করা উচিৎ । বাইক পরিষ্কার করার সময় এটা খেয়াল রাখুন যে আপনি স্পঞ্জটা খুব জোরে বাইকের কোন পার্টসের উপর চেপে ধরছেন না । এবং একই স্পঞ্জ ২ জায়গায় ইউজ না করাই ভাল ।বাইকে মুলত ২ ধরণের পার্টস থাকে । হার্ড পার্টস এবং সফট পার্টস । তাই , ২ ধরণের পার্টস ২ ভাবে পরিষ্কার করা উচিৎ । হার্ড পার্টস গুলো ক্ষেত্রে ডিগ্রেসর ইউজ করা যায় এবং এটা ইউজ করার পর সেই পার্টসগুলো জোরে ঘষা দেওয়া উচিৎ না কারণ এটা করলে বাইকের পেইন্ট উঠে যেতে পারে ।
আর বা্ইক পরিষ্কার করার জন্য মাইক্রোফাইবারের কোন প্রয়োজন পড়ে না কারণ একটুকরা নরম ছেড়া কাপড়ই এই কাজটা ভালভাবে করতে পারে । এক্সহাউস্ট পাইপের উপর থেকে বুটের দাগ দূর করার জন্য আপনাকে ক্লিনার ইউজ করা উচিৎ কারণ এই পাইপের উপর বুটের দাগ আসলেই বাজে দেখায় । আর বাইকের যে পার্টসগুলো হাত দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব না , অর্থাৎ যে পর্যন্ত হাত পৌছায় না সেখানে পরিষ্কার করার জন্য টুথব্রাশ ইউজ করা হয় । বাইকের বিভিন্ন পার্টস থেকে তেলতেলে ভাব দূর করার জন্য আপনার ডিগ্রেসার ইউজ করাই উচিৎ । আর বাইকের চাকা পরিষ্কার করাই হল সবথেকে কঠিন কাজ । এই কাজের জন্য কোন লম্বা টুথব্রাশ দরকার হয় । এবং এই কাজের জন্য হুইল ক্লিনার ইউজ করা যায় । বাইকের পেইন্টেড পার্টসগুলো পরিষ্কার করার জন্য আপনার দরকার এক বালতি গরম সাবান মিশ্রিত পানি । এবং এই পার্টসগুলো পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে স্পঞ্জ বা খুবই নরম কাপড় ইউজ করা উচিৎ ।
সাবান পানি বাইকের পেইন্টেড পার্টসগুলোর উপর দাগ ফেলতে পারে তাই আমরা ওই পার্টসগুলো পরিষ্কার করার আগে অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে নিব । এববং এই কাজের জন্য ১০০% কটন স্পঞ্জ ইউজ করতেই হবে । না হলে বাইকের বিভিন্ন স্থান থেকে রং উঠে যেতে পারে । এবং বাইকের বিভিন্ন পার্টস থেকে সাবান পানি দূর করার জন্য আমাদের আরেক বালতি গরম পানি লাগবে । এইসব কাজের আগে এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার বাইকটি একটি ছায়াঢাকা কোন স্থানে আছে । আর বাইকটিকে শুকানের জন্য আমরা অবশ্যই নরম কোন কাপড় ইউজ করব ।

এটাই হল আমার জানামতে বাইক পরিষ্কার করার সব থেকে সহজ একটা পদ্ধতি । এর থেকে কম সময়সাপেক্ষ এবং সহজ পদ্ধতি আমার জানা নেই । আমার মনে হয় আপনাদের কাছেও বিষয়টা খুবই সহজ লাগবে এবং এটা বেশী সময় নিবে না । মোটরবাইক সাধারণত আমাদের কাছে ভালবাসার একটা জিনিস । তাই এটার যত্ন নিতে একটু সময় নিন এবং হালকা পরিশ্রম করুন । আমি আশা করি যে আমার এই পদ্ধতিটা আপনাদের কাজকে অনেক সহজ করে দিবে । আর নিজের বাইকের পরিচর্যা নিজের হাতে করা এবং বাইক রাইড করা একটা অন্যরকম মজার ব্যাপার

বাংলাদেশে মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়মাবলী

বাংলাদেশে মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়মাবলী
আশাকরি  আপনাদের মটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য সহায়ক হবে।
ধাপ ০১:
মটর সাইকেল সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্র যে কোম্পানি থেকে মটর সাইকেল টি ক্রয় করেছেন সেই কোম্পানি থেকে সংগ্রহ করুন।
যেমন:
০১. রেজিষ্ট্রেশন ফরম
০২. ক্যাশ ম্যামো
০৩. গেট পাশ এর স্লিপ
০৪. মুসক ১১ (ক) চালান পত্র (যে ডিলার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে )
০৫ মুসক ১১ চালান পত্র (যে ইম্পোর্টার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে ) ১০. ৫০ টাকার ষ্টাম্প এ একজন উকিল কতৃক সত্যায়িত।
০৬. ট্রেজারী চালান সোনালী ব্যাংক (ট্যাক্স অফিসার কতৃক সত্যায়িত)।
(যে ডিলার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে)
০৭. ট্রেজারী চালান সোনালী ব্যাংক
(যে ইম্পোর্টার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছেন তার অনুকুলে )
০৮. আমদানী সংক্রান্ত কাগজ পত্র (বি,আর,টি,এ কতৃক অনুমদিত)
০৯. কাষ্টমস সংক্রান্ত কাগজ পত্র
(এই ষ্টাম্প টি – বি,আর,টি,এ এর সামনের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হবে )
সকল কাগজ পত্রের সাথে ইঞ্জিন নম্বর ও চেশিস নম্বর মিলিয়ে নিবেন।
ধাপ ০২:
বি,আর,টি,এ কতৃক অনুমদিত ব্যাংক এ টাকা জমা দিন । (এটি ১০০ সিসি এর উপরের মটর সাইকেলের জন্য প্রযোজ্য)
(০১). নতুন রেজিষ্ট্রেশন ইস্যু এর জন্য ৭,২০৫ টাকা (সাত হাজার দুইশত পাঁচ টাকা)।
(০২). ট্যাক্স টোকেন ইস্যু এর জন্য ১১,৫০০টাকা (এগার হাজার পাঁচশত টাকা)।
(০৩). ডিজিটাল রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট ইস্যু এর জন্য ৫৫৫ টাকা (পাঁচশত পঞ্চান্ন টাকা) সর্ব মোট= ১৯২৬০ টাকা
ধাপ ০৩:
উপরোক্ত সকল কাগজ পত্র নিয়ে বি,আর,টি,এ অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। সকল কাগজ পত্র ঠিক থাকলে একজন মোটরযান পরিদর্শক আপনার বাইক টি সরজমিনে পরিদর্শন করবে এবং এর পর তিনি স্বাক্ষর করবেন। তার স্বাক্ষরীত কাগজ অফিস সেকশনে জমা দিতে হবে।
ধাপ ০৪:
জমা দেওয়ার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বি,আর,টি,এ অফিসে যোগাযোগ করলে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার , ট্যাক্স টেকেন, একোনলেজমেন্ট স্লিপ পেয়ে যাবেন।
ধাপ ০৫:
এরপর ডিজিটাল ব্লু- বুক এর জন্য ডিজিটাল রেজিষ্ট্রেশন সেকশন এ যোগাযোগ করুন। এই সময় টাকা জমা দেওয়ার রশিদ, রজিষ্ট্রেশন নাম্বার , ট্যাক্স টেকেন, একোনলেজমেন্ট স্লিপ, জাতীয় পরিচয় পত্র সংগে রাখবেন। সকল কাগজ পত্র ঠিক থাকলে ঐ দিন ই আপনার ছবি, আংগুলে ছাপ, স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
ধাপ ০৬:
এরপর আপনার ডিজিটাল ব্লু-বুক (স্মার্ট কার্ড) ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট তৈরী হয়ে গেলে আপনার মোবাইলে ডেলিভারী তারিখ সহ এস,এম,এস আসবে । তারিখ অনুযায়ী আপনি বি,আর,টি,এ অফিসে যোগাযোগ করলে আপনি ডিজিটাল ব্লু-বুক (স্মার্ট কার্ড) ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল নম্বর প্লেট সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আপনার মোবাইল দিয়ে NP লিখে এস,এম,এস করুন ৬৯৬৯ নাম্বারে (নাম্বার টি অবশ্যই আপনি যে নাম্বারটি রেজিষ্ট্রেশন ফরমে উল্লেখ করেছেন সেই নাম্বার হতে হবে) অথবা কল করুন ০১৭৫৫৬১৫৯২৫ নাম্বারে।
নিজের গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন নিজেই করুন অযথা দালালের নিকট অর্থ অপচয় করবেন না। অনেকে বলে যে নিজে নিজে রেজিষ্ট্রেশন করা অনেক ঝামেলার এই কথাটা একেবারেই ঠিক নয় আর যতটুকু ঝামেলায় আপনি পরবেন তার চেয়ে অনেক বেশী শিখবেন আশা করি। সাবধানে মটর সাইকেল চালান মনে রাখবেন আপনার অসাবধানতা আপনার পরিবারের জন্য কষ্টের কারন হতে পারে। লেখাতে কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সকল কে ।

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন? খরচ,পদ্ধতি

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন? খরচ,পদ্ধতি

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান ?
আপনি কি জানেন, লাইসেন্স দেওয়ার আগে
বিআরটিএ তিনস্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে লাইসেন্স
প্রদান করে ?
“নিরাপদ সড়কের জন্য চালকের
প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স খুবই প্রয়োজনীয়।
এতে চালকের মতো পথচারীরও নিরাপত্তা বাড়বে।”

প্রকারভেদ অনুযায়ী লাইসেন্স ৫ ধরনের । যেমন-
• শিক্ষানবীশ লাইসেন্স
• পেশাদার লাইসেন্স
• অপেশাদার লাইসেন্স
• পি.এস. ভি লাইসেন্স
• ইনস্ট্রাকটর লাইসেন্স
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ১৮
বছর এবং পেশাদার ২০ বছর বয়স্ক ব্যক্তি আবেদন
করতে পারবেন। কমপক্ষে অষ্টম শ্রেনী বা সমমান
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

শিক্ষানবিস ফি :
শুধু মোটর বাইকের জন্য ৩৪৫ টাকা(১৫% ভ্যাটসহ)।
দু’টি (গাড়ি ও মোটরসাইকেল) যানের জন্য ৫১৮
টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
লার্নার নবায়ন ফি ৮৭ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
শিক্ষানবিস থেকে পূর্ণমেয়াদের লাইসেন্স
পাওয়ার জন্য নির্ধারিত পরীক্ষা দিতে হয়।
এরজন্যও রয়েছে আলাদা ফি।
অপেশাদার লাইসেন্স ফি : ২,৩০০ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
পেশাদার লাইসেন্স ফি : ১,৪৩৮ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।

#শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে যেসব
কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে :
১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন ।
২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট ।
৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪. নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
৫. সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট
সাইজ ছবি।
তিনটি পরীক্ষায় পাশ করার পর নির্দিষ্ট ফর্মে
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে স্মার্টকার্ড
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
নির্ধারিত দিনে গ্রাহকের (ডিজিটাল ছবি,
ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) দেওয়ার জন্য
উপস্থিত হতে হয় ।
এসব প্রক্রিয়া শেষে বিআরটিএ
স্মার্ট কার্ড ইস্য করবে ।
[ প্রয়োজনীয় ফরমগুলো বি আর টি এর তথ্য ও অনুসন্ধান বুথ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন ]
আজ এ পর্যন্তই..
ভালো থাকুক আপনার বাইক,
ধন্যবাদ।।

মোটরসাইকেলের কিছু টেকনিক্যাল শব্দের অর্থ ও ব্যাখ্য যেগুলো আপনার জানা জরুরী


আসলে আপনারা যারা বাইক সম্পার্কে আগ্রহী তারা বিভিন্ন সাইটে বা ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বাইকের বিভিন্ন রিভিউ দেখে থাকবেন । এইসব রিভিউতে অনেক শব্দ ব্যাবহার করা হয় যেগুলোর অনেক শব্দই হয়ত আপনি জানেন না বা এর অর্থ ভালভাবে বুঝতে পারে না । আপনি যদি বাইকের এইসব টেকনিক্যাল শব্দগুলো অর্ না বুঝতে পারেন তাহলে আপনাকে একজন ভুল রাইডার হিসেবে ধরা যায় না । কারণ , এইগুলে এমন সব শব্দ যেগুলোর অর্থ না জানলে আপনি আপনার বাইক সম্পর্কে ভালভাবে বুঝতে পারবেন না ।
অবশ্য এইসব শব্দার্থ নিয়ে লিখতে গেলে একটা বড়সড় বই ও লিখে ফেলা যায় । কিন্তু আজ আমি আপনাদের সামনে আমার নিজের বাষায় এবং সহজ করে এই শব্দগুলোর অর্থ তুলে ধরব । এই শব্দগুলো বাইকের স্পেসিফিকেশনের সাথে অত্যান্ত গভীরভাবে জড়িত । তো আসুন , আজ আমরা বাইকের কিছু অপরিচিত টেকনিক্যাল শব্দের সাথে পরিচিত হই ।

স্ট্রোক নম্বর :
এটা ইন্জিনের পুরো কাজকর্মের সাথে জড়িত একটা শব্দ । আমরা এখানে ৪-স্ট্রোক ইন্জিন সম্পর্কে আলোচনা করব । তবে কখনও ফোর স্ট্রোক ইনিজনের সাথে ৪ সিলিন্ডার ইন্জিনের কোন মিল খুজতে যাবেন না । কারণ জিনিস ২ টা সম্পূর্ণ আলাদা । এখন আসুন আমরা দেখে নিই একটা ৪-স্ট্রোক ইন্জিন কীভাবে কাজ করে ।
স্ট্রোক ১: ইনটেক ভালব খুল যায় ও পিষ্টন নীচের দিকে নেমে যায় । এই সময় জ্বালানী ও বায়ুর মিশ্যণ ইন্জিনের দহনকক্ষে প্রবেশ করে ।
স্ট্রোক ২ : সব ভালব বন্ধ হয়ে যায় এবং পিষ্ট নিচের দিকে নেমে গিয়ে এই জ্বালানী মিশ্রণকে প্রচণ্ডভাবে চাপ দেয় ।
স্ট্রোক ৩ : সব ভালব বন্ধ থাকে এবং পিষ্টন নীচের দিকে প্রেশারে থাকে । এই সময় স্পার্ক প্লাগ থেকে জ্বালানী মিশ্রণে অগ্নিসংযোগ করা হয় ।
স্ট্রোক ৪ : জ্বালানী মিশ্রেণ প্রচন্ড বিষ্ফোরণের ফলে পিষ্টণ উপরের দিকে উঠে যায় এবং এইসময় এক্সহাউস্ট ভালবগুলো শুধু খোলা থাকে ।
এরপর আবার প্রথম থেকে সব প্রসেস শুরু হয় ।

কুলিং :
কুলিং হল ইন্জিনকে ঠান্ডা রাখার একটা প্রক্রিয়া । যেকোন ইন্জিন সাধারণত গরম হয় । তাই সব যানবাহনের ইন্জিনে কুলিং সিস্টেম থাকে । বাইক মূলত ২ধরণের কুলিং সিস্টেম রয়েছে । এয়ার কুলিং ও লিকুইড কুলিং । এয়ার কুলিং হল বাইক চলার সময় যে বাতাস আসে সেটা বাইকের ইন্জিনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করে বাইকের ইন্জিনকে ঠান্ডা রাখা । আর লিকুইড কুলিং হল বাইকের ইন্জিনের ভেতর একপ্রকার লুব্রিকেন্ট দ্বারা ইন্জিনের উৎপন্ন সব তাপ বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া । অবশ্য লিকুইড কুলিং এ লিকুইড ও এয়ার কুলিং মেথড একসাথে ব্যাবহার করা হয় ।

সিলিন্ডার নম্বর :
বাইকে সাধারণত একটা থেকে ৬ টা সিলিন্ডার থাকতে পারে । সাধারণত ছোট বাইকগুলোতে ১ সিলিন্ডার বিশিষ্ঠ ইন্জিন ব্যাবহার করা হয় । আর বড় বাইক গুলোতে ডবল সিলিন্ডারের ইন্জিন ব্যাবহার করা হয় । এই ডবল সিলিন্ডারের ইন্জিনগুলো আবার বিভিন্ন নামে বিশেষায়িত । যেমন :
V টুইন ইন্জিন : এই টাইপের ইন্জিনে ২ টা সিলিন্ডার V এর মত করে পাশাপাশি বসানো থাকে ।
প্যারালাল টুইন : এই ধরণের ইন্জিনগুলোতে ২ টা সিলিন্ডার পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে থাকে ।
ফ্লাট টুইন : এই ধরণের ইন্জিনে ২ টা সিলিন্ডার পরস্পরের বিপরতি দিকে বসানো থাকে যেমনটা থাকে বিএমডব্লিউ বক্সারে ।
এছাড়াও অনেক ইন্জিন আছে যেগুলোতে ২ টা বেশী সিলিন্ডার থাকে । যেমন এগুলোকে বলা হয় ট্রিপল , ইনলাইন ফোর , V-4 ইন্জিন , V-6 ইন্জিন এবং ফ্লাট-6 ইন্জিন ।

ডিসপ্লেসমেন্ট :
একটা ইন্জিনের পিষ্টন ইন্জিনের একদম শেষ প্রান্ত থেকে উপরের প্রন্ত পর্যন্ত যে পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে সেই স্থানের আয়তন কে বলা হয় ডিসপ্লেসমেন্ট এবং এটা কিউবিক সেন্টিমিটার অথবা কিউবিক ইন্চিতে সাধারণত লেখা হয় । আমরা সাধারণত বাংলাদেশে সিসি বা কিউবিক সোন্টমিটারেই ডিসপ্লেসমেন্ট পরিমাপ করে থাকি।

বোর এবং স্ট্রোক :
একটা ইন্জিনের সিলিন্ডারের ভেতর পিষ্টনের ওঠানামা করা জন্য যেটুকু ব্যাস থাকে তাকে বোর বলা হয় । মোট কথা , কোন ইন্জিনের সিলিন্ডারের ব্যাসকেউ বোর বলে । আর সিলিন্ডারের ভেতর যে উচ্চতাটুকু পিষ্টন ওঠানামা করতে পারে তাকে স্ট্রোক বলে।

ফুয়েল সিস্টেম :
একটা বাইকের ইন্জিনে যেভাবে জ্বালানী মিশ্রণের প্রবাহ কন্ট্রোল করা হয় সেই সিস্টেমকে বাইকের ইন্জিনের ফুয়েল সিস্টেম বলে । এটা সাধারণত ২ রকম হয় । কার্বুরেটর ও ফুয়েল ইনজেকশন । ইন্জিনের দহনকক্ষে জ্বালানী মিশ্রণ ঢোকার সময় এটাকে কন্ট্রোল করার প্রয়োজন হয় । যেসব ইন্জিনের ফুয়েল ডেলিভারী সিস্টেম কার্বুরেটর সেখানে কার্বরেটর এর নাম ও সংখ্যা দ্বারা স্পেসিফিকেশন দেখানো হয় । আর ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম , ডিজিটাল ফুয়েল ইনজেকশন , প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন , ইলেকট্রনিক সিকুয়েশিয়াল পোর্ট ফুয়েল ইনজেকশন প্রভৃতি নামে ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেমকে বলা হয়।

কমপ্রেশন রেশিও :
ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । একটা বাইকের ভালব পিষ্টন যখন নীচের দিকে সিলিন্ডারের একদম নিচে থাকে তখন ধরুণ আপনাকে সিলিন্ডাটি পূর্ণ করেত ১০০ সিসি জ্বালানী লাগতে পারে আবার যখন পিষ্টনটি একদম উপরে ওঠানো থাকে তখন আপনাকে সিলিন্ডারটি ফুল করতে ১০ সিসি জ্বালানী লাগতে পারে । এই ১০০: ১০ বা ১০: ১ ই হল বাইকের ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও । অর্থাৎ পিষ্টনের ২ টা অবস্থানের সময় যে পরিমাণ জ্বালানী সিলিন্ডার ফুল করতে প্রয়োজন হয় সেটাই ইন্জিনের কম্প্রেশন রেশিও । এই কম্প্রে্শন রেশিও যত ভাল হয় , বাইকের পারফরমেন্স ততই ভাল হয় অবশ্য জ্বালানীও একটু বেশী লাগে।

ম্যাক্সিমাম টর্ক :
কোন বাইকের ইন্জিন প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ পরিমাণ ঘূর্ণণের জন্য যে পরিমাণ ঘূর্ণণ শক্তি ইন্জিন থেকে সরবরাহ করতে হয় তাকেই বাইকের ইন্জিনের ম্যাক্সিমাম টর্ক বলে । এটাকে revolutions per minute (RPM) ও বলা হয় । সহজ কথায় বলতে গেলে আপনি বাইকের এক্সেলেরেশনের জন্য থ্রোটল ধরণে বাইকটি যে পরিমাণ এক্সেলেরেট করতে পারে তাকেই বাইকের ম্যাক্সিমাম টর্ক বলা হয়।

ম্যাক্সিমাম পাওয়ার :
কোন বাইকের ইন্জিন দ্বারা কোন নির্দিষ্ট স্পীডে যে পরিমাণ হর্সপাওয়ার সরবরাহ করা হয় তাকেই বাইকের ম্যাক্সিমাম হর্সপাওয়ার বলে । এটা উপর বাইকের পারফরমেন্স অনেকাংশে নির্ভর করে । এটার জন্য একটা সূত্র আছে যেটা হল :
Horsepower = Torque × RPM/5252
অতএব আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বাইকের হর্সপাওয়ার বাইকের ম্যাক্সিমাম টর্কের সাথেও জড়িত ।
আজ এই পর্যন্তই । আবারও কিছুদিন পরে বাইকের অন্য কোন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে । সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন

মোটরসাইকেলের ৬ টি কমন সমস্যা ও তার সমাধান

মোটরসাইকেলের ৬ টি কমন সমস্যা ও তার সমাধান

আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন । আমি আজ মোটরসাইকেলের খুবই কমন ৬ টা প্রবলেম নিয়ে আলোচনা করব এবং সেই সাথে তাদের সমাধান নিয়েও আলোচনা করব । সাধারণত বাইকাররা রাইডিং এর সময় বা অন্য কোন সময় বাইক নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে থাকেন এবং এটা যদি হয় রোডের মধ্যে তাহলে এটা খুবই খারাপ একটা অবস্থায় পরিণত হয় । তাই , যে মেজর প্রবলেম গুলো রাইডাররা ফেস করে থাকেন , সেগুলো নিয়েই আজকের এই পোষ্ট ।

*****আমি এখানে কিছু কমন প্রবলেম লিস্ট আপ করেছি এবং সেগুলো উপর আলোচনা করব । সেগুলো প্রথমে দেওয়া হল :

*রাইডিং এর সময় ইন্জিন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং কোন মতেই স্টার্ট না নেওয়া ।
*ভাল থ্রোটল রেসপন্স না করা
*ব্রেকিং প্রবলেম
*ইলেকট্রিক্যাল প্রবলেম
*বেশী স্পীডে ভাইব্রেশন করা
*মাইলেজ কমে যাওয়া

*ইন্জিন বন্ধ হয়ে গেছে এবং কোনমতেই স্টার্ট হচ্ছে না :
সাধারণত এই সমস্যাটা রাইডাররা সবথেকে বেশী ফেস করে থাকে । এটা মূলত শীতকালে বেশীহয়ে থাকে এবং অনেক ক্ষন পর বাইক স্টার্ট করার সময় এটা দেখা দেয় । এটার মেইন কারণ হল ইন্জিনে ফুয়েল ভালভাবে সাপ্লাই না হওয়া ।
এই সময় চোক খোলা রেখে কয়েকবার কিক করলে ইন্জিন স্টার্ট হতে পারে । অবশ্য ফুয়েল কোয়ালিটির জন্যও এটা হতে পারে । লো কোয়ালিটির ফুয়েল অনেক সময় এই সমস্যা সৃষ্টি করে । আর আপনার বাইকের ফুয়েল লাইনটা ভালভাবে চেক করুন । যদি সেখানে কোন সমসা দেখে থাকেন সেটা ঠিক করে দিন । তারপরও কোন সমাধান না হলে স্পার্ক প্লাগ টা খুলে চেক করুন । এটা ভালভাবে পরিষ্কার করে আবার সেট করে স্টার্ট করার চেষ্টা করুন । এর পরও যদি ইন্জিন স্টার্ট না হয় তাহলে এটা হয়ত আপনার কয়েল অথবা ইন্জিনের সমস্যা যেটার জন্য আপনাকে বাইকটি সার্ভিসিং এ নিয়ে যেতে হবে ।
আর আপনি যদি পথের ভেতর ইন্জিন এর এই ধরণের সমস্যা পান তাহলে প্রথমে বাইকটি একটা সেফ স্থানে পার্ক করুন । তারপর ফুযেল লাইন চেক করুন এবং সেই সাথে ফুযেল কোয়ালিটির বিষয়টাও মাথায় রাখবেন । আপনি যদি লোয়ার সিসির বাইকে কনস্ট্যান্টলি হাই স্পীডে রাইড করতে থাকেন তাহলে এটা হতে পারে । সেক্ষেত্রে ইন্জিনকে ঠান্ডা হবার জন্য কিছু টাইম দিন । এরপর আপনি স্পার্ক প্লাগটি চেক করতে পারেন ।

**থ্রোটল ভাল রেসপন্স করছে না :
আপনি যদি বাইকের ভাল থ্রোটল রেসপন্স না পেয়ে থাকেন তাহলে বেশ কিছু বিষয়ে আপনাকে নজর রাখতে হবে । প্রথমে আপনার কার্বুরেটর কেমনভাবে টিউন করা রয়েছে সেটা একটা মেইন ফ্যাক্ট । তারপর এয়ার ফিল্টার , ফুয়েল ফিল্টার এবং স্পার্ক প্লাগ প্রভৃতি চেক করুন । তারপরও যদি প্রবলেম থেকে যায় তারপর আপনাকে ফুয়েল কোয়ালিটি চেক করা উচিৎ । এগুলোই মুলত থ্রোটল রেসপন্স এর মেইন সব ফ্যাক্ট । আপনার আরও বেশী নিশ্চিত হবার জন্য আপনি স্পার্কিং টাও চেক করতে পারেন । আপনার এক্সেলেরেশন ক্যাবল টাও একবার চেক করুন । আপনার ক্লাচ প্লে ঠিক আছে কীনা সেটা চেক করুন ।
মোটরসাইকেল ব্রেকিং এর সমস্যা:
এটা যেকোন যানবাহনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ । আপনাকে বিভিন্ন স্পীডে বিভিন্ন ভাবে ব্রেকিং করতে হবে । এটা অনেকটা আপনার প্রাকটিসের ব্যাপার । আমাদের দেশে মূলত ২ ধরণের ব্রেক রয়েছে । ড্রাম ব্রেক ও ডিস্ক ব্রেক । এবং আরেকটা ডিস্ক ব্রেক যেটা হাইড্রোলিক ফুয়েল দ্বারা কন্ট্রোল করা হয় । প্রথমে ড্রাম ব্রেকের ক্ষেত্রে আসি । ড্রাম ব্রেকের ক্ষেত্রে প্রবলেম ফেস করলে প্রথমে আপনার ব্রেকিং কেবল চেক করুন । এটা যদি অনেক পুরানো হয়ে যায় তাহলে চেঞ্জ করে ফেলুন । আপনাকে ব্রেক প্যাড গুলো ঠিক আছে কীনা সেটা্ চেক করা উচিৎ । যদি ড্রাম ব্রেক এর বাইক ইউজ করে থাকেন তাহলে আপনার লং ড্রাইভে বেশী স্পীডে রাইড না করাই ভাল । বেশী ব্রেক করা মানেই ব্রেক প্যাড ক্ষয় হয়ে যাওয়া ও ব্রেকিং কোয়ালিটি খারাপ হয়ে যাওয়া । আর ব্রেকের কারণে চাকা ফ্রীলি মুভ করতে পারছে কীনা সেটা চেক করুন ।
ডিস্ক ব্রেকের ক্ষেত্রে প্রথমে হাইড্রোলিক ফুয়েল চেক করুন । এক্ষেত্রে শুধুমাত্র রিকমেন্ডেড ফুযেল ইউজ করুন । লিভারের বাকেটগুলো চেক করতে পারেন । আর আপনার ব্রেক সু গুলো রেগুলারলি চেক করুন ।

*ইলেকট্রিক্যাল প্রবলেম :
এটাও বাইকের একটা কমন প্রবলেম । এটা যেহেতু খোলামেলাই থাকে তাই ধুলাবালি ও বৃষ্টির পানিন দ্বারা খুব সহজেই ড্যামেজ হয়ে যায় । ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের প্রবলেমের জন্য লাইট থেকে শুরু করে পুরো ইন্জিনই বন্ধ হয়ে যেতে পারে । আপনি যদি কোন তার সংযোগ করতে যান তখন প্রথমেই সিওর হন যে সেটা সঠিকভাবে সংযুক্ত হচ্ছে ।
ইলেকট্রিক সিস্টেমের সব সংযোগ গুলো ভালভাবে চেক করুন । আপনার ব্যাটারী টাও রেগুলার চেক করা উচিৎ । সেই সাথে ব্যাটারীর এসিড লেভেল । আপনার কয়েল ভালভাবে কাজ করেছে কীনা সেটা ভালভাবে দেখুন । এটা আপনার বাইকের মাইলেজ , থ্রোটল রেসপন্স প্রভৃতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে । আর বাইকের যেকোন ইলেকট্রিক্যাল কাজগুলো দিনের বেলায় করুন ।

*টপ স্পীডে মারাত্মক ভাইব্রেশন :
যেকোন বাইকেরই একটা মিনিমাম ভাইব্রেশন থাকে । এটা কোন ব্যাপার না । কিন্তু আপনি যদি খেয়াল করেন যে আপনার বাইকটি স্বাভাবিকের থেকে বেশী ভাইব্রেট করছে সেটা আপনার বাইকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে । আর হাই স্পীডে রাইডিং এর সময় ইন্জিন ভাইবেৃশন একটা কমন প্রবলেম । প্রথমেই আপনার চেক করা উচিৎ যে আপনার বাইকের সব বডি পার্টস ঠিকমত জয়েন করা আছে কীনা । একটা পয়েন্ট সেটা হল আপনার সিট বোল্ট । এটা ঠিক ঠাক আছে কীনা সেটা চেক করুন । আমরা এ্ই জন্য বাইকের শক এবজরভার ও সাসপেনশন সিস্টেমটাও ঠিকমত কাজ করছে কীনা সেটা চেক করতে পারি । যদি সাসপেনশনগুলো ওয়েল বেসড হয় তাহলে ওয়েল লেভেল চেক করুন ।

*লো মাইলেজ :
যেখানে জ্বালানীর দাম ক্রমশ আকাশছোয়া হয়ে উঠছে সেখানে আপনাকে মাইলেজের বিষয়ে একটু ভাবতেই হয় । সবার প্রথমে ঠিকঠাক গিয়ার মিফটিং এবং একটা কনস্ট্যান্ট ইকোনোমি স্পীডে বাইক রাইড করলে সেটা একটা ভাল মাইলেজ দেয় । আর আপনার ইন্জিন অযেল ঠিকমত ও রেগুলার চেঞ্জ না করলে বাইকের মাইলেজ কমে যেতে পারে । এক্ষেত্রে কার্বুরেটর টিউনিংও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট । এই সমস্যায় পড়লে আপনাকে আপনার ক্লাচ প্লেট চেক করা উচিৎ । আপনার টায়ার ভালভাবে ফ্রীলি মুভ করতে পারছে কীনা সেটাও একটা ফ্যাক্ট । সেক্ষেতেত্র ব্রেক ও টায়ারের শেপ চেক করুন ।
উপরে আমি বাইকের কমন কিছু প্রবলেম তুলে ধরা চেষ্টা করেছি । আশা করি এটা আপনাদের কাজে লাগবে