BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫

সরকারী চাকুরীর ছুটি মঞ্জুরী সংক্রান্ত নির্দেশাবলী

বাংলাদেশ  ছুটি মঞ্জুরী সংক্রান্ত নির্দেশাবলী

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
বিধি শাখা-৪
নং-সম(বিধি-৪)-ছুটি-৫/৯০-২০(২০০) তারিখঃ
প্রজ্ঞাপন
বিষয়: বাংলাদেশের বাহিরে অর্জিত ছুটি কাটানো প্রসংগে।
১. সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন নং-সম(বিধি-৪)-ছুটি-৭/৮৭-৫২(২০০) তারিখ ০৮/০৯/৮৭ইং এর অনুবৃত্তিক্রমে জানানো যাইতেছে যে, ইদানিং সরকার উদ্বেগের সহিত লক্ষ্য করিতেছে যে, সচিবসহ উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তাগণ বিদেশে সরকারী কাজ শেষ হওয়ার পর কিংবা বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি শেষ হওয়ার পরও বিদেশে অতিরিক্ত সময় অবস্থান করিয়া থাকেন। অতঃপর দেশে ফিরিয়া ছুটির জন্য আবেদন করেন। ইদানিং আরও পরিলক্ষিত হইতেছে যে, সরকারী কাজে বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি পাওয়ার পর পরই কর্মকর্তাগণ আবার বহিঃ বাংলাদেশ ছুটির আবেদন করেন।
২. উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন দেশের বাহিরে অবস্থানে সরকারী কাজে নানারূপ জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং গুরচত্বপূর্ণ সরকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ঘটে, যাহা সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনার জন্য কোন মতেই কাম্য নহে। তাই, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যে, অনিবার্য কারণে কেবলমাত্র সীমিতক্ষেত্র ছাড়া এ ধরণের ছুটি প্রদান করা যাইবে না।
মোঃ হাসিনুর রহমান
সচিব।
(বাংলাদেশ গেজেট, ১ম খন্ডে, ১৮ই মে ১৯৮৯ তারিখে প্রকাশিত)
—————————————————————————————————————–
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
বিধি শাখা-৪
প্রজ্ঞাপন
ঢাকা, ২৮শে ভাদ্র ১৩৯৪/৮ই সেপ্টেম্বর ১৯৮৭
বিষয়: বাংলাদেশের বাহিরে অর্জিত ছুটি কাটানো সম্পর্কে।
১. নং-সম(বিধি-৪)-ছুটি ৭/৮৭-৫২(২০০)অর্জিত ছুটি বাংলাদেশের বাহিরে কাটাইতে হইলে নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মচারীকে সরকারী কাজে বা প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাহিরে যাওয়ার আগেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে ছুটির মঞ্জুরী গ্রহণ করিতে হইবে। সরকারী কর্মচারীর পক্ষে আগে ছুটির মঞ্জুরী গ্রহণ না করিয়া বিদেশে গিয়া ছুটির দরখাস্ত করা বিধি বহির্ভূত।
২. সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, কোন কোন সরকারী কর্মচারী সরকারী কাজে বিদেশে যাওয়ার পর অথবা পূর্ব অনুমোদিত ছুটি শেষে বিদেশে দীর্ঘ সময় অবস্থানের জন্য অর্জিত ছুটির জন্য অথবা মঞ্জুরীকৃত অর্জিত ছুটি বাড়ানোর জন্য দরখাস্ত করেন।
৩. এই প্রেক্ষিতে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যে, এখন হইতে কোন সরকারী কর্মচারী ছুটির মঞ্জুরী গ্রহণ না করিয়া বিদেশে যাইয়া ছুটির দরখাস্ত করিতে পারিবেন না এবং এইরূপ দরখাস্তের বিবেচনায় ছুটি মঞ্জুর করা হইবে না। ফলে ঐ সময়ের জন্য তাঁহাকে বিনা অনুমতিতে চাকুরীতে অনুপস্থিতির দায়ে দায়ী হইতে হইবে। বিদেশে যাওয়ার আগে দেশ হইতে অনুপস্থিতির সময়কাল নির্দিষ্ট থাকিতে হইবে এবং অফিসে পুনরায় যোগদানের তারিখ উলেলখ থাকিতে হইবে।
৪. সরকার আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে যে, এখন হইতে বিদেশে এইরূপ ছুটি কাটানোর পর কোনরূপ ভ্রমণ সময় যোগ হইবে না।
৫. প্রসংগক্রমে ইহাও উলেলখ করা যাইতেছে যে, বিদেশে অবস্থানের জন্য কোন সরকারী কর্মচারীকে বিধি অনুযায়ী নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যায় না।
মীর মোজাম্মেল হোসেন
যুগ্ম-সচিব।
——————————————————————————————————————–
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
বিধি শাখা-৪
নং-সম (বিধি-৪)-বিবিধ-৭০/৯২-৫৩(৩০০) তারিখঃ
বিষয়ঃ এলপিআর ভোগরত কর্মকর্তাদের বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুরী প্রসংগে।
১. সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন যে, এলপিআর ভোগরত সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং অত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দপ্তর/অধিদপ্তর/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিদেশে ভ্রমণের জন্য এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর প্রাক-অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে।
২. সরকার আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন যে, সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ উহার অধীনস্থ এলপিআর ভোগরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কোনরূপ হয়রানী না করিয়া তাহাদের আবেদনের ভিত্তিতে বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর করিবেন।
৩. শুধুমাত্র এলপিআর ভোগরত কর্মকর্তা ছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হইতে সময়ে সময়ে জারীকৃত আদেশ নির্দেশের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে।
৪. এই সিদ্ধান্ত যথারীতি অনুসরণের জন্য সংশিলষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হইল।
(মীর হোসেন আহমেদ চৌধুরী)
উপ-সচিব (বিধি)।
———————————————————————————————————————-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
বিধি-৪ শাখা
নং-সম(বিধি-৪)-ছুটি-৯/৯৫-২৫৮ তারিখঃ
বিষয়: বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুরী প্রসংগে।
১. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৩১-৩-৯৩ ইং তারিখে ৫৯.১১০.২.০.৬.৯২.৬০(১০০০) সংখ্যক আদেশ অনুযায়ী সংশিলষ্ট কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি উক্ত আদেশে বর্ণিত যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রদান করে থাকেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিদেশ ভ্রমণের অনুমোদনই যথেষ্ট নয়বহিঃ বাংলাদেশ ছুটির মঞ্জুরীর বিষয়টিও জড়িত। বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুরীর এখতিয়ার সংশিলষ্ট কর্মকর্তার প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের/চাকুরী নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের। কিন্তু সম্প্রতি এ বিষয়ে কিছু পদ্ধতিগত অনিয়ম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিদেশ ভ্রমণের অনুমতির পর বহিঃ বাংলাদেশ ছূটি মঞ্জুর ব্যতিরেকেই বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণের অনুমোদনকে বহিঃ বাংলাদেশ ছুটির মঞ্জুরী হিসেবে বিবেচনা করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হচ্ছে।
২. এমতাবস্থায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিদেশ ভ্রমণের অনুমোদনের পর বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুরীর বিষয়ে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন:
(ক) বহিঃ বাংলাদেশ ছুটির ফর্ম ও ছুটি প্রাপ্যতার সনদ পত্রসহ ছুটির আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠাতে হবে।
(খ) সংশিলষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিদেশ ভ্রমণ অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য/কাগজপত্রাদি সংযুক্ত করতে হবে।
(গ) যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর করে প্রজ্ঞাপন জারী না করা পর্যন্ত ছুটি ভোগ করা যাবে না। এক্ষেত্রে সংশিলষ্ট কর্মকর্তার অনুপস্থিতি অননুমোদিত অনুপস্থিতি হিসেবে গণ্য হবে।
৩. এ প্রসংগে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ৮-৯-৮৭ তারিখের সম (বিধি-৪) ছুটি -৭/৮৭-৫২(২০০) নং প্রজ্ঞাপন এবং ২৭-৯-৯২ তারিখের সম(বিধি-৪)-ছুটি-৫/৯০-২০ (২০০) নং প্রজ্ঞাপন অনুসরণের জন্য সংশিলষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে।
হাবিবুর রহমান
সচিব
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন