BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

অ্যাকাউন্ট তৈরি

মার্কেটপ্লেস (odesk.com, elance.com, freelancer.com and guru.com) স¤পর্কে তো জানলেন। এবার আপনাকে এর মধ্য থেকে যেকোন একটি মার্কেটপ্লেস পছন্দ করতে হবে যেখানে আপনি কাজ শুরু করতে চান।

এরপর উক্ত সাইটের নিয়মানুযায়ী অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলুন। অ্যাকাউন্ট তৈরির পর অবশ্যই আপনার প্রোফাইলটিকে অনেক সুন্দর করে সাজাতে হবে। আগের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সেগুলোকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে প্রতি মূহুর্তে নতুন কাজ আসছে। আপনার পারদর্শীতা আনুযায়ী প্রতিটা কাজ দেখতে থাকুন। প্রথম কয়েক দিন বিড করার কোন প্রয়োজন নেই। এই কয়েকদিন ওয়েবসাইটি ভাল করে দেখে নিন। ওয়েবসাইটের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন এবং সাহায্যকারী আর্টিকেল পড়তে পারেন। একটি কথা মনে রাখবেন, প্রথমদিকে কাজ পাওয়া কিন্তু সহজ নয়।

তাই আপনাকে ধৈর্যসহকারে বিড করে যেতে হবে। প্রথম কাজ পেতে হয়ত ১০ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। কয়েকটি কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। তখন ক্লায়েন্টরাই আপনাকে খুঁজে বের করবে।

ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন জরুরী (Become Skilled in English Language):

আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সেক্টরের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ইংরেজি না জানা। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশের তরুণেরা আউটসোর্সিংয়ে পিছিয়ে থাকার পেছনে ইংরেজি দুর্বলতা অনেকটা দায়ী। আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে ইংরেজি অনেক বেশি গুরুত্ব¡পূর্ণ।

যেহেতু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয় সে জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। নতুবা কোনভাবেই আপনি আপনার বায়ারের রিকোয়ারমেন্ট যেমন বুঝতে পারবেন না তেমনি কোন সমস্যাও তাকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন না। ইংরেজিতে দূর্বলরা উপরের কথা পড়ে হয়ত ঘাবড়ে যেতে পারেন, তবে তাদের জন্য বলতে পারি, আপনাকে কিন্তু ইংরেজিতে পন্ডিত হতে হবে এমনটি নয়!

ভাব বিনিময় এবং ব্যবসায়িক কাজগুলোর জন্য সাধারণত যে ইংরেজি ব্যবহৃত হয় সেটি জানলেই চলবে। যারা ইংরেজিতে দূর্বল তাদের এটি দূর করতে খুব বেশি যে সময় লাগবে এমনটি নয়, ২ থেকে ৩ মাস একটু চেষ্টা করলেই এ ধরণের ইংরেজি রপ্ত করা সম্ভব।

কোথায় কাজ পাবেন?

ওডেস্কঃ

ওডেস্ক ডট কম (oDesk.Com) বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট (Freelancing Sites)। এখানে ঘন্টাপ্রতি এবং ফিড প্রাইস এ দুধরণের কাজ পাওয়া যায়। কাজের পেমেন্ট নিশ্চয়তা দেওয়া হয় ঘন্টাপ্রতি কাজ করলে। আর ফিড প্রাইসে অর্থপ্রাপ্তি নির্ভর করে আপনার নিয়োগকারীর উপর। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবাই ওডেস্কের ঘন্টাপ্রতি কাজ রেকমেন্ড করেন।

ফ্রিল্যান্সারঃ

অনলাইনের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.Com)। প্রতিষ্ঠানটি একদম শুরু থেকেই নানারকম প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে, আর এ প্রতিযোগিতার কারণেই হয়ত প্রতিষ্ঠানটির নাম শুনে থাকবেন আপনারা। সর্বশেষ এসইও অ্যান্ড রাইটিং প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড চ্যা¤িপয়ন হয় বাংলাদেশি ডেভসটিম লিমিটেড। এই সাইটটিতে সব কাজই ফিড প্রাইস নির্ভর। ঘন্টাপ্রতি কাজের কোন সিস্টেম এখনো চালু হয়নি। এদের বিভিন্ন মেম্বারশীপ সিস্টেম আছে যেটার মাধ্যমে আপনি টাকা খরচ করে বাড়তি সুবিধা ভোগ করতে পারেন।

ইল্যান্সঃ

ওডেস্ক এর মত ইল্যান্স ডট কম(Elance.Com) আরেকটা জনপ্রিয় সাইট এবং এটাও ঘন্টাপ্রতি কাজে পেমেন্ট এর নিশ্চয়তা দেয়। বাড়তি সুবিধা হলো ফিড প্রাইজের কাজের ক্ষেত্রেও এরা পেমেন্ট গ্যরান্টি সুবিধা দেয় যেটাকে এস্ক্রো বলে। এখানেও ফ্রিল্যান্সারের মত মেম্বারশিপ সিস্টেম আছে।

গুরু ঃ

আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপরের তিনটা কো¤পানি ই বেশি জনপ্রিয়। এদিক থেকে গুরু ডট কম (guru.com) খুব একটা জনপ্রিয় নয়। তবে যেহেতু এখানে লোকজনও কম, সুতরাং নতুনরা চাইলে এখানে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন! তবে নতুন করে এটাতে ঘন্টাপ্রতি কাজের সিস্টেম চালু করা হয়েছে যেখানে পেমেন্ট নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও আরো আছে, জুমলা ল্যান্সার এবং ফ্রিল্যান্সার সুইচ ইত্যাদি সাইটেও মোটামুটি ভাল মানের কাজ পাওয়া যায়।

Freelancing কেন?

শিক্ষাজীবন শেষে নিজের পেশা বেছে নিতে হয়। ব্যক্তিজীবন, পরিবার আর পেশাজীবনের সবচেয়ে ভাল সমন্বয়কেই ভাল থাকা বলে মনে করি আমি। এই ভাল থাকার জন্য প্রধানত যে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন তা হচ্ছে- স্বাধীনতা, স্বাচ্ছন্দ এবং পর্যাপ্ত আয়। চলুন দেখি ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু সুবিধা এ ক্ষেত্রগুলোতে পেতে পারি।

১. আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি কখন কাজ করবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আমি প্রতিদিন কাজ করি রাত এগারোটা থেকে সকাল ছয়টা, দুপুর পর্যন্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজ করে দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘুমাই। এভাবে কাজ করতে আমাকে কেউ বাধ্য করেনি। আমার কাছে এই শিডিউলটা সুবিধাজনক মনে হয় তাই এভাবে করি। কোনদিন ইচ্ছা হলো আজ রাতে কাজ করবো না, অন্য সময়ে করবো, তাতেও কেউ নিষেধ করবে না। কিন্তু আগের ৯ বছরের কর্মজীবেন আমি কখনো ভাবতে পারিনি অফিসে বস্কে বলবো আজ আমি সকালে অফিসে না গিয়ে সন্ধ্যায় যাব বা দুদিন অফিসে না গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবো!

২. আপনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কোথায় বসে কাজ করবেন। এক্ষেত্রেও আমার নিজের কথা বলা যায়। আমার পার্সোনাল ডেস্কটা আমার বেডরুমেই। আপনি কোন চাকরি করেন কিংবা অন্য কোন ব্যবসা করেন, বেড়াতে ইচ্ছা হলেই আপনি বেড়াতে যেতে পারবেন না। যদি চাকরী হয় তাহলে ছুটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে, ব্যবসা হলে আপনার প্রতিষ্ঠান ফেলে যেতে হবে। এরকম ভ্যাগাবন্ড ফ্যামিলি তৈরি তো দূরের কথা, এমন কিছু স্বপ্ন দেখতেও দ্বিধা হবে! এরা সবাই বছরের পর বছর দেশে বিদেশে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এদের কাজ থেমে থাকে না। এরা যেখানে যায় এদের অফিসও সেখানে। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার ল্যাপটপ আর একটা ছোট্ট ট্রাভেল ব্যাগই যথেষ্ট। আপনাকে অফিসে যেতে হবে না, বরং অফিসই আপনার সাথে যাবে। কাজের জন্য আর কতটা স্বাধীনতা চান?

৩. লোকাল বিজনেসের সাথে এটার সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে, এক্ষেত্রে আপনার ব্যবসাক্ষেত্র বিশ্বব্যাপি। ফলে গ্রাহকসংখ্যা বহুগুণ বেশি। এজন্য কাজেরও কোন অভাব নেই। এখানে আপনি সার্ভিস প্রোভাইডার এবং আপনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে আপনার সার্ভিস প্রোভাইড করবেন আর কাকে না। ধরা যাক, আপনি কোন একটা শহরে একটা দোকান দিয়েছেন। ব্যবসা বেশ ভালই চলছে, কিন্তু আপনার শহরে হঠাৎ কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে হয়তো বেশ কিছুদিনের জন্য আপনার ব্যবসায় মন্দা শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা শুধু আপনার শহরকেন্দ্রিক নয়, তাই ঝুঁকিও কম। যেমন- আমার একজন ক্লায়েন্ট নিউ জার্সিতে থাকেন। কিছুদিন আগে হ্যারিকেন স্যান্ডিতে তাঁর এলাকা তছনছ হয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় তাঁর কাজও হুট করে কিছুদিনের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার অন্যান্য শহরের বা অন্যান্য দেশের ক্লায়েন্টদের কাজ ঠিকই চলেছে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের মানে এই নয় যে আপনাকে সারাজীবন একা একাই কাজ করতে হবে। আমি নিজেও একা কাজ করি না। আমাদেরও অফিস আছে। তবে সেটাও ভার্চুয়াল অফিস। ক্রিয়েটিভ এলিয়েন্সের কে কোথায় বসে কাজ করলো সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। কাজ ঠিকঠাক হলেই হলো। আমাদের প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন এবং চেক প্রজাতন্ত্রের ১৪ জন ছেলেমেয়ে যার সুবিধামত জায়গায় বসে নিয়মিত কাজ করছে এটা ভাবতেও ভাল লাগে। আমরা চাই যে জায়গাটিতে বসে আমাদের এমপ্লয়িরা যেখানে সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেন, যেভাবে এবং যে পোষাকে ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে সেভাবে বসেই কাজ করুক। মুদি দোকান থেকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, চাকুরিতে কোথাও এটা কল্পনাও করা যায় না।

৪. আপনি কতটা আয় করতে চান? কথাটা আপাতদৃষ্টিতে হাস্যকর মনে হবে। যেখানে দেশে সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর শেষ করার পরও কয়েক লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয় একটা চাকরীর আশায়, তারপরও চাকরীটা হবে কিনা এটার নিশ্চয়তা আপনাকে কেউ দিতে পারে না। সেখানে উল্টো কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কোন ঘুষ ছাড়াই নিজের যোগ্যতায় আপনি প্রতি মাসে কি পরিমাণ আয় করতে চান! তাহলে হাসি আসতেই পারে। কিন্তু কথাটা মোটেও হাসির নয়। আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতার উপরেই নির্ভর করবে আপনি কতটা আয় করবেন। আর আপনি যখন আন্তর্জাতিক বাজারে কাজ করবেন, স্বাভাবিকভাবেই আপনার কাজের দাম স্থানীয় বাজারের চাইতে কয়েকগুণ বেশি হবে।

আউটসোর্সিং কি?

ইদানিং বাংলাদেশে খুব বেশি মাতামাতি হচ্ছে আউটসোর্সিং (Outsourcing) নিয়ে। রাতারাতি বড়লোক হবার বাহারি ও রকমারি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করার পায়তারায় মত্ত আছে একটি শ্রেনী। অনলাইনে আয় করার এইসব বাহারি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে প্রতারিতও হচ্ছেন অনেকে। অনেকে আউটসোর্সিং ও অনলাইনে আয় বিষয় দুটোকে একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন।

যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁর নিজের বা প্রতিষ্ঠানের কাজ ইন-হাউজ না করে বাইরের কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয় তখন সেটি হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন তখন তাঁকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে আউটসোর্সিং নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেটা মূলত ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে উন্নত বিশ্বের আউটসোর্সিং। ব্যবসায়িকভাবে আউটসোর্সিং সার্ভিসের শিল্পটা এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। এটা ঠিক আউটসোর্সিং সার্ভিস দেয় এমন অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে এবং দিন দিন এটি বাড়ছে। অনেকের মধ্যে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ শুরু করে উদ্যোক্তা হবার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে, এটি সত্যিই আশা ব্যঞ্জক।

মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

গৃহস্থালী টুকিটাকি টিপস ৫০ থেকে ৬০

৫১। কেক বা পুডিং বানানোর পর প্রায়ই বেকিং প্যানের মধ্যে আটকে যায়। এক্ষেত্রে সুতির কাপড় গরম পানিতে ডুবিয়ে বেকিং প্যানের নিচের অংশে কিছুক্ষণ মুড়ে রাখলে সহজেই প্যানের মধ্য থেকে কেক বেরিয়ে আসবে।

৫২। পাউডার দুধ তাড়াতাড়ি গুলতে শুকনো ডিশে পাউডার দুধের সঙ্গে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিয়ে তারপর ঠান্ডা বা গরম যে কোন পানি দিয়ে দুধ সহজে গোলা যায়।

৫৩। মরিচ কাটলে বা বাটলে হাত অসম্ভব জ্বলতে থাকে। ঠান্ডা দুধের সর লাগালে জ্বালা কমে যাবে। অথবা ঠান্ডা দুধ দিয়ে ধুয়ে নেয়া যায়। হাত পুড়ে গেলেও সাথে সাথে ঠান্ডা দুধ দিলে ফোসকা পড়বে না, জ্বালাও কমে যাবে।

৫৪। চিনিতে পিঁপড়া ধরলে চিনির পাত্রে কয়েকটি লবঙ্গ রাখলে চিনির পিঁপড়া ছেড়ে যাবে।

৫৫। চাল ও ডালে শুকনো নিমপাতা বা মরিচ রাখলে পোকা ধরে না।

৫৬। সুজি ভালো করে রাখতে শুকনো খোলায় যদি সুজিকে ভেজে রাখা হয় তাহলে পোকা ধরে না।

৫৭। পাটালি গুড় দীর্ঘদিন ভালো রাখতে গুড়ের কৌটায় কয়েকটা মুড়ি ফেলে রাখলে ভালো থাকে।

৫৮। দেশলাই বাক্সে কয়েকটা চাল রাখলে বর্ষাকালে কাঠির বারুদ ভোতা হয় না।

৫৯। হাতে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করতে হাতে সরষের তেল মেখে নিলে গন্ধ থাকে না।

৬০। পাটা সহজে পরিষ্কার করতে একটু লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে দিলে পরিষ্কার হয়ে যায়।

গৃহস্থালী টুকিটাকি টিপস ৪০ থেকে ৫০

৪১। পোড়া দাগ যদি খুব পুরনো হয়ে যায় তাহলে দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা, আধাকাপ ভিনেগার আর এক কাপ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে দশ মিনিট ফোটিয়ে, এরপর ভালোভাবে ধুলেই দাগ উঠে যাবে।

৪২। কাঁচের গ্লাসে গরম কিছু নিতে গেলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গরম কিছু ঢালার আগে গ্লাসে স্টিলের চামচ রাখলে গ্লাস সহজে ফাটে না।

৪৩। চায়ের কাপে লেগে থাকা বাদামি দাগ লবণ দিয়ে মাজলে চলে যায়।

৪৪। দুধের বাটি পুড়ে গেলে দু-একটা পেঁয়াজ বেটে ওই বাটিতে পেঁয়াজবাটা ও পানি দিয়ে কিছুণ ফোটালে বাটি পরিষ্কার হয়ে যায়।

৪৪। প্লেটে যদি মাছের গন্ধ হয়ে যায় তাহলে কয়েক ফোঁটা ভিনেগার ছিটিয়ে ধুয়ে নিলেই আর গন্ধ থাকবে না।

৪৫। অনেক সময় চিংড়ি মাছে গন্ধ লাগে। রান্না করার আধঘণ্টা আগে লেবুর রস ও সামান্য লবণ মাখিয়ে রাখুন, এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্না করুন। মাছ বা অন্যান্য সি-ফুড রান্নার সময় এভাবে লেবু-লবণ মাখিয়ে ধুয়ে নিন। আঁশটে গন্ধ হবে না।

৪৬। আচার শেষ বোতল পরিষ্কার করার পরও গন্ধ থাকে। ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে বোতলে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে রাখুন। কিছুক্ষণ পর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, গন্ধ থাকবে না।

৪৭। কাঁচা মুগডাল ভেজে পানি দিয়ে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখবেন, তাহলে ডালের রং আর কালো হবে না। ধুয়ে রান্না করলে ডালটাকে দেখতে উজ্জ্বল দেখাবে এবং তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে চালের সঙ্গে মিশে যাবে।

৪৮। মাংস তাড়াতাড়ি সিদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।

৪৯। তরকারিতে লবণ বেশি হলে সামান্য টক অথবা সামান্য চিনি দিন, কিছুটা হলেও লবণাক্ত ভাব কমবে। ছোট একটি আলু কেটে দিলেও চলবে।

৫০। ভাতের মাড় ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রেখে দিন। বাসন ধোয়ার সময় এই মাড় পানির সঙ্গে ব্যবহার করুন। কাচের ও স্টেনলেস স্টিলের বাসন ঝকঝকে হবে।

গৃহস্থালী টুকিটাকি টিপস ৩০ থেকে ৪০

গৃহস্থালী টুকিটাকি টিপস ৩০ থেকে ৪০

৩১। দই কি খুব টক হয়ে গেছে? পাতলা কাপড়ে ঢেলে ঝুলিয়ে রাখুন। তবে দইয়ের পানিটা ফেলে দেবেন না। ময়দা মাখার সময় পানির পরিবর্তে ব্যবহার করুন। আর টক দই পরিবেশন বা রান্নার সময় একটু দুধ মিশিয়ে দেবেন।

৩২। ডিম সেদ্ধ করার সময় পানিতে একটু লবণ দিয়ে দিলে ডিম তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে এবং ডিম ফাটবে না।

৩৩। কড়াইতে তেল দেওয়ার আগে খালি কড়াই ভালো করে গরম করে নিলে সহজে পোড়ার দাগ ধরে না। আর তেল ভালো করে গরম করে নিলে মাছ বা সবজি কড়াইয়ে লেগে যাবে না।

৩৪। রান্নার আগে কিছুক্ষণ মাছ ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখলে আঁশটে গন্ধ চলে যাবে।

৩৫। মাছ নরম হয়ে গেলে ভাজার সময় একটু ময়দা কিংবা চালের গুঁড়া মাখিয়ে ভাজলে মাছ সহজে ভেঙে যাবে না এবং মচমচে থাকবে।

৩৬। কোনো ভাজাভুজি করার সময় ময়দার সাথে একটু লেবুর রস দিলে ভাজাটা মচমচে হবে।

৩৭। কেক বা পেস্ট্রি তৈরি করার সময় অল্প লেবুর রস মিশিয়ে দিলে ময়দা মাখার পর আঠালো হয়ে যাবে না।

৩৮। ওল, কচু বা কচু শাক রান্নার সময় সামান্য তেঁতুল বা লেবুর রস ব্যবহার করলে বা ভাতের সঙ্গে খাবার সময় লেবুর রস ব্যবহার করলে গলা চুলকানি হবে না ইন শা আল্লাহ্‌।

৩৯। আচার তৈরি করার সময় তেলে একটু ভিনেগার মিশিয়ে নিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে এবং আচারের টুকরো গুলো আস্ত থাকে।

৪০। পায়েস করার সময় খেজুরের গুড় দুধের সঙ্গে মেশানোর আগে গুড়কে পানি দিয়ে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে মেশালে দুধ জমে যাওয়ার কিংবা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

গৃহস্থালী টুকিটাকি টিপস ২০ থেকে ৩০

গৃহস্থালী টুকিটাকি টিপস ২০ থেকে ৩০

২১। দামি সেরাম শ্যাম্পু হাতের কাছে নেই। বাড়িতে বানিয়ে নিন সেরাম শ্যাম্পু। দুটো ডিমের সাদা অংশ বের করে নিয়ে এতে দুই টেবিল চামচ রেড়ির তেল মেশান। পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকিমুক্ত ঝলমলে চুল।

২২। জুতার কালি যদি বেশি দিন পরপর ব্যবহার করেন তাহলে তা শুকিয়ে যায়। এতে দুই ফোঁটা অলিভ অয়েল দিয়ে রাখবেন, অনেক দিন ভালো থাকবে।

২৩। বালতি বা প্লাস্টিকের কোনো জিনিসে মরচে দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন, দাগ চলে যাবে।

২৪। লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না। ছোট টুকরা করে ডিটারজেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। ডিটারজেন্টও কম লাগবে এবং কাপড়ও ঝলমলে হবে।

২৫। চামড়ার জুতায় ক্যাস্টর অয়েল আর সোলে বার্নিশ (ম্যাট) লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। বৃষ্টিতে ভিজলেও নষ্ট হবে না।

২৬। ছুরি বা কাঁচিতে মরচে দাগ তোলার জন্য ভিনেগার দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন, দাগ চলে যাবে।

২৭। রুপার গহনা কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন, ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন, পরিষ্কার হয়ে যাবে।

২৮। মোচা বা কচু কাটতে গিয়ে হাতে দাগ হয়ে যায়। কাটা শেষে আলুর ফালি আঙুলে ঘষে নিন, দাগ থাকবে না।

২৯। বেগুন পোড়ার পর এর খোসা তুলতে অনেক সময় কষ্ট হয়। তাই বেগুন পোড়ার পর তা পানিতে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তুলে পানি ঝরিয়ে খোসা ছড়ান। সহজেই উঠে যাবে।

৩০। ফুলকপি অনেক সময় পরিষ্কার হতে চায় না। তাই কাটার পর ভিনেগার মেশানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এরপর তুলে দেখবেন সব পোকা আর ময়লা বেরিয়ে গেছে।

গৃহস্থালী টুকিটাকি টিপস ১ থেকে ১০

১। পেঁয়াজ কাটছেন? মনে কোন দুঃখ নেই, তবুও চোখের পানি ঝরছে অঝোর ধারায়? একটু থামুন! কান্নাকাটির দিন শেষ। পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা করবে না, আর ঘরও প্রতিদিন ভাসবে না চোখের পানিতে।

২। গরম চা কিংবা রান্না করা তরকারীর লবণ টেস্ট করার জন্য তাড়াহুড়ো করে ঝোল মুখে নিলেন- উহু জিহবা পুড়ে গেলো। সাথে সাথে আধা চা চামচ পরিমাণ চিনি জিহবার পোড়া জায়গায় রেখে একটু একটু করে খেয়ে নিতে পারেন। তবে জিহবাতে রেখেই খাবেন। দেখবেন জিহবার জ্বালা পোড়া কমে যাবে।

৩। সালাদ , ভর্তা এর জন্য কাচামরিচ কুচি করেছেন। হাতের মধ্যে ঝাল রয়ে গেছে। ভুলে সেই হাত চোখে লাগলে তো কথাই নেই। কিংবা রান্না করার সময়ে মরিচের গুড়া ব্যবহার করার কারণে হঠাৎ মরিচের ছিটে এসে চোখে পড়ে চোখ জ্বালা করছে। এক চিমটি লবন খেয়ে নিন। সাথে সাথে চোখের জ্বালা চলে যাবে। আরেকটা কথা চোখ একবার ধুয়ে নিবেন।

৪। আপেল কাটার পরপরই তা কালো হয়ে যায়। আপেল টাটকা রাখতে কাটার পরপরই আপেলের ওপর লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। কালচে হবে না।

৫। পাত্রে কোনোকিছু পুড়ে গেলে এর মধ্যে কুচানো কিছু পেঁয়াজ দিয়ে গরম পানি ঢেলে রেখে দিন। এরপর পরিস্কার করে ফেলুন, পোড়া উঠে যাবে।

৬। রসুনের খোসা ছাড়াতে গিয়ে বিরক্তি ঘটাই স্বাভাবিক। আর, সে জন্যে রসুনের খোসা চাড়াবার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কাজটা সহজ হয়ে যাবে বহুলাংশে।

৭। ডিম যদি দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চান, তবে ডিম পানিতে ধোবেন না। কারণ, ধুয়ে ফেললে ডিমের ওপরের পাতলা বিশেষ প্রতিরক্ষা-প্রলেপ উঠে গিয়ে ডিম তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।

৮। কেক, বিস্কুট এবং পাউরুটি কখনোও এক সাথে রাখবেন না। তাহলে বিস্কুট নরম হয়ে যাবে। আর হে বিস্কুটের কৌটার নিচে এক টুকরা ব্লটিং পেপার রেখে তার ওপর বিস্কুট রাখুন। এতে বিস্কুট দীর্ঘ সময় তরতাজা থাকবে।

৯। আপনি পাকা রাঁধুনী। কিন্তু ছোলা যতই সেদ্ধ করছেন, তা গলাতে পারছেন না। ভেতরের দিকটা শক্তই থাকছে। চিন্তা নেই। ছোলা সেদ্ধ করার সময় এক চিমটি ভালো খাবার সোডা দিয়ে দিন। ছোলা বেশ নরম হবে।

১০। হঠাৎ হাত পুড়ে গেল। পুড়ে গেলো কি আর করবেন দ্রুত পাকা কলা মেখে নিয়ে পোড়া স্থানে লাগান। জ্বালা কমে যাবে।

শোবার ঘরকে আকর্ষনীয় করার টিপস

দিনশেষে যে ঘরে আপনি ফিরে আসেন একটু খানি শান্তির খোঁজে, সেটি হচ্ছে শোবার ঘর। এই ঘরটিতেই সবচাইতে বেশী সময় কাটানো হয় আপনার, এই ঘরেই একটু আরামের সন্ধান করেন আপনি, নিজের সাথে সময়ও কাটানো হয় এই এক শোবার ঘরেই। সুতরাং বলাই বাহুল্য যে এই শোবার ঘরটি যদি সুন্দর ও প্রশান্তির একটি জায়গা না হয়, তবে অনেক কিছুই মাটি। না, আহামরি অর্থ খরচ করে শোবার ঘরকে সুন্দর করে তুলতে হবে না। আপনি চাইলে খুব সামান্য খরচে সাধারণ কিছু জিনিসের ব্যবহারেই শোবার ঘরটিকে সাজিয়ে ফেলতে পারেন স্বর্গতুল্য করে।
আজকাল শোবার ঘরে চলছে একেবারেই ছিমছাম সাজের প্রচলন। যদিও এখনো অনেকেই ভারী, রাজকীয় ডিজাইনের খাটই পছন্দ করেন, তবে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ জুড়েই আছে ছিমছাম খাট। এতে যেমন জায়গা বাঁচে, তেমনই বাঁচে অর্থ। কাঠের হালকা ডিজাইনের খাটের কদর যেমন আছেন, তেমনই আছে রট আয়রন কিংবা বেতের তৈরি খাটের কদরও। বিশাল আকারের ড্রেসিং টেবিলের জায়গা দখল করেছে দেয়াল ঝোলানো ছিমছাম সাজসজ্জার ব্যবস্থা। একটু বড় আয়না, সাথে কসমেটিকস রাখার ব্যবস্থা- ব্যস, এটাই এখনকার ড্রেসিং টেবিল।
বিশাল আকারের আলমারির বদলে স্থান দখল করে নিয়েছে স্লিম ও ছিমছাম ডিজাইনের লম্বাটে আলমারি। আলমারির নিচের দিকে ২/৩ টি বাড়তি ড্রয়ারও দেখা যাচ্ছে, যেগুলো পূরণ করছে ওয়্যারড্রবের চাহিদা। লম্বাটে হওয়ার ফলে জায়গা লাগছে অনেক কম। ওয়্যারড্রবের ক্ষেত্রেও দেখা মিলছে এই ব্যাপারের। ড্রয়ার সংখ্যা বেশী কিন্তু আকারে লম্বাটে, এমন গুলোই পছন্দ করছেন বেশী গ্রাহকেরা। অনেকে এমন আকারের ওয়্যারড্রব কিনছেন যেগুলো আকারে ছোট, খাটের পাশে রেখে বেডসাইড টেবিলের কাজটাও বেশী সারা যাচ্ছে। ঘর ফাঁকা রেখে অল্প ও ছিমছাম ফার্নিচার রাখাটাই আজকালকার শোবার ঘরের ফ্যাশন। ফার্নিচার কম রেখে বিনোদনের উপাদান রাখার প্রয়াস বরং বাড়ছে। যেমন ধরুন, বিশাল আকারের টিভি বা মিউজিক সিস্টেম।
এছাড়াও সবচাইতে উল্লেখ যোগ্য ব্যাপার‍্যি হলো, আজকাল শোবার ঘরে সকলেই অনেক উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করেন। কিছুদিন আগে পর্যন্ত যেখানে নরম রঙ ব্যবহার করার প্রচলনটাই ছিল বেশী, এখন সেখানে উজ্জ্বল রঙ এবং একেক রঙে একেক রঙ দেয়ার প্রবনতাও বাড়ছে। সাথে মিষ্টি আলোর ব্যবহার ও ইনডোর প্ল্যান্ট, হরেক রঙের কুশন, ছোট্ট কিছু শো পিস, প্রিয় বই রাখার একটি কোণ ইত্যাদি সব মিলিয়ে শোবার ঘর গুলো হয়ে উঠছে প্রশান্তির একটুকরো আশ্রয়।