BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১৬

ভাগ্যগণনা ও জ্যোতিষ বিদ্যা

আমাদের দেশে মানুষ ভবিষ্যত ভালো মন্দ জানার জন্য ভাগ্য গণনা করতে জোতিষবিদ ও গণকের কাছে গমন করে। অথচ অদৃশ্য বস্তু ও ভবিষ্যত বিষয় জানা একমাত্র আল্লাহ সুবাহানাহু তা’আলার জন্যই নির্ধারিত, আল্লাহ বলেন: আপনি বলুন, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আসমান ও যমীনের কেউ অদৃশ্যের সংবাদ জানেন না। [1]
অন্য কেউ এ বিষয়ে জানার দাবী করা, বা জানার চেষ্টা করা,মুলত: আল্লাহর সংরক্ষিত অধিকারকে খর্ব করার শামিল, যা মুলত: শির্কেরই অংশবিশেষ।আমাদের দেশে জ্যোতিষ বিদ্যা, রাশি নির্ণয়, ভাগ্য গণনা, পাখীর মাধ্যমে ভাগ্য পরীক্ষার
নামে যে সকল কাজ কর্মের ছড়াছড়ি পরিলক্ষিত হয়, তা ভবিষ্যত জানারই অপচেষ্টা মাত্র। এটি মুলত:শির্ক।
বড়  বড় সাইন বোর্ড টাঙিয়ে ভাগ্য গণনা ও রাশি নির্ণয়ের জন্য প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। পত্রিকায় ঘটা করে রাশি নির্ধারণপূর্বক
ভবিষ্যতবাণী করা হয়। কোথাও ভাগ্য নির্ধারণের জন্য যন্ত্রও বসানো হয়েছে। শহরের রাস্তাঘাটে পাখি দিয়েও ভাগ্য নির্ধারণের মিথ্যা অপচেষ্টা চলে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী অত্যন্ত পরিস্কার, তিনি বলেন: যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে আসে এবং তাকে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে, ৪০ দিন পর্যন্ত তার কোনো সালাত কবুল হয় না। [2]
যে ব্যক্তি জ্যোতিষীর কাছে আসলো এবং সে যা বলল তা সত্য মনে করলো, সে মূলত:
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস করলো।’’ [3]
এর অর্থ হচ্ছে সে কাফির। আর তা এ
জন্য যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের
প্রতি নাযিল হয়েছে যে, গায়ব
কেবলমাত্র আল্লাহ ই জানেন।
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে:
বল, আমি বলছি না যে, আমার
কাছে আল্লাহর ভাণ্ডারসমূহ
রয়েছে, আমি গায়েবও জানি না।
আমি তোমাদের এ কথাও
বলছি না যে , আমি একজন
ফেরেশতা। আমি অনুসরণ করি শুধু
তাই যা আমার
কাছে ওহী হয়ে আসে।[4]
নির্দিষ্ট তারকা নির্ধারিত
স্থানে উদিত হলে তার
প্রভাবে এই এই কল্যাণ বা অকল্যাণ
হতে পারে, নির্ধারিত মৌসুমের
প্রভাবে বৃষ্টি বা ঝড় হতে পারে
[5] প্রভৃতি যে সব
কথা বার্তা আমাদের সমাজে অহরহ
প্রচলিত
রয়েছে তা পূর্বোল্লেখিত
শির্কেরই অংশ বিশেষ।
রেফানেন্স সমূহঃ
[1] . সূরা নামল: ৬৫।
[2] . আল-ইমাম মুসলিম ইবনুল
হাজ্জাজ আন-নিসাপূরী,
সহীহ মুসলিম, আল-মাকতাবুল
ইসলামিয়াহ, ইসতাম্বুল,
তা.বি, ৪ খ, পৃ. ১৭৫১।
[3] . আবু দাউদ, সোলাইমান ইবন
আশ’আছ, সুনান আবী দাউদ,
দারুল জীল, বৈরুত ১৯৯২, ৪খ, পৃ.
১৪।
[4] সূরা আল আনআম:৫০।
[5] . প্র প্রসঙ্গে বুখারী শরীফে
বর্ণিত হয়েছে:


0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন