BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

রবিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৫

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতার পিছনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে সফলতার পিছনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস নিয়েই এই প্রতিবেদন। যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার বিষয়ে চিন্তিত, তাদের কাজে লাগবে এই টিপসগুলো।

১. নিজের মার্কেটিং করা : নতুন কাজ পাওয়া কিংবা পুরাতন ক্লায়েন্টের কাজ পুনরায় পেতে মার্কেটিং সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। নিজের যোগ্যতাগুলোকে তুলে ধরতে হবে। কখনোই থামা উচিত নয়, এমনকি ব্যস্ত থাকলেও। মনে রাখতে হবে পৃথিবী যোগ্যতাকে সম্মান করে।

২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকা : প্রত্যাশিত ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে ওডেস্ক কিংবা ফ্রিল্যান্সারের মত মার্কেটপ্লেসগুলোর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অনলাইন কমিউনিটিগুলো অন্যতম মাধ্যম। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেকে আপডেটেড রাখার চেষ্টা করতে হবে।

৩. নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করা : নিজের একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, যেখানে নিজের এক্সপার্টাইজ এবং কাজের সম্পূর্ণ বিবরণ স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এতে সুবিধা হলো, ওয়েবসাইটের ছোট একটা লিংক ক্লায়েন্টের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে।

৪. দক্ষতা প্রতিষ্ঠিত করতে ব্লগিং : আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সেই বিষয়ে নিজেকে অন্যের কাছে দক্ষ এবং জ্ঞানী হিসেবে তুলে ধরতে ব্লগিং একটি দুর্দান্ত উপায়। তাই এই বিষয়ে নিয়মিত ব্লগিং করতে হবে।

৫. কাজের ভালো দিকগুলো জানা : প্রতিটি মানুষই কাজ এবং দক্ষতার দিক দিয়ে অনন্য। আপনার সেই অনন্যতাকে খুঁজে বের করতে হবে। আপনি কোন কাজটায় পারদর্শী সেটা জানা থাকলে কাজ করা এবং নিজের মার্কেটিং করা, দুটো কাজ করতেই আপনার অনেক সুবিধা হবে।

৬. পোর্টফোলিও আপডেটেড রাখা : নিয়মিত আপনার পোর্টফোলিও পর্যালোচনা এবং আপডেটেড রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার ভালো কাজগুলো যেন সবার আগে প্রদর্শিত হয়।

৭. কথা বলতে শেখা : সবসময় এটা ভাববেন না যে ক্লাইন্ট এসে আপনাকে নক করবে, সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করুন। সুযোগ যদি কড়া না নাড়ে তবে আগে দরজা বানান।

৮. সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের ব্যাপারে রিসার্চ করা : যাদের সঙ্গে কাজ করবেন তাদের সম্পর্কে ভালো করে কিছু না জেনেই কোন ধরণের চুক্তি না করাই ভাল। ক্লায়েন্ট এবং কাজ দুটো সম্পর্কেই আগে জেনে নিতে হবে। নইলে পরবর্তীতে বিপদের পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

৯. শুনতে শেখা এবং প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা : ক্লায়েন্ট কি চায় শুধুমাত্র সেটা ধারণা করেই কি করতে হবে সেটা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ভালো। ভাল করে শুনতে হবে সে কি চায়, পরিস্কার ধারণা না পেলে প্রশ্ন করতে হবে।

1০. ভদ্র আচরণ করা : রূঢ় পরিবেশে বাস করলেও সেটি অন্যের কাছে প্রকাশ করা কোনভাবেই উচিত নয়। ভদ্র আচরণ আপনাকে লক্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী করে তুলবে। তাই সবার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন