BanglaData.Blogspot.Com

BanglaData.Blogspot.Com

বাংলা তথ্য ভান্ডারে স্বাগতম

সকল তথ্য পাবেন....BanglaData তে

Welcome To BanglaData

Keep visiting @ BanglaDataBlog

বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৫

অ্যাসিডিটি, প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়ার সমস্যায় জেনে রাখুন ঝটপট সমাধান!

অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটির অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করতে থাকে যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। এই অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক ধরণের ঔষধ ও কেমিক্যালজাতীয় ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া যায়। যার রয়েছে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিকউপায় ব্যবহার করাই ভালো। তাহলে আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়।
যা করবেন এবং যা করবেন না
– দ্রুত কলা বা আপেল যে কোনো একটি ফল খেয়ে নিন। অ্যাসিডিটি অনেকটাই কমে যাবে।
– শুয়ে থাকবেন না। থুঁতনি উঁচু করে রাখুন। এতে গ্যাসের সমস্যার কারণে বুক জ্বলা কমে যাবে।
– তাড়াহুড়ো করে গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না। ধীরে সুস্থে খাবার চিবিয়ে খাবেন। গোগ্রাসে গিলে ফেললে খাবার হজম হতে সমস্যা হয় যার কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
– খাবারে যতো অনিয়ম হয় ততো অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই খাবারের সময়টা একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
তাৎক্ষণিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সমাধানগুলো অবলম্বন করতে পারেন যা খুবই সহজলভ্য এবং কার্যকরী।
১) আদা চা
যদি খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে এক কাপ আদা চা পান করে নিতে পারেন তাহলে খাওয়ার পর একেবারেই বুক জ্বলার সমস্যায় ভুগবেন না। খাওয়ার পর বুক জ্বলা শুরু হয়ে গেলেও আদা চা পান করার ফলে খুব দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
– ১ ইঞ্চি ৩ খণ্ড আদা কুচি একটু ছেঁচে ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন।
– ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে প্রায় ৩০ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।
– ছেঁকে এই পানীয় পান করুন। খাবার খাওয়ার আগে হলে ২০ মিনিট আগে পান করুন এবং পরে হলে বুক জ্বলা কমাতে পান করুন।
২) বেকিং সোডা
বেকিং সোডার সোডিয়াম বাই-কার্বনেট অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত নিরাময়ে বিশেষভাবে সহায়ক। এর পিএইচ ৭ মাত্রার বেশী হওয়ার কারণে এটি পেটের অ্যাসিডকে শান্ত করে জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।
– আধা থেকে ১ চা চামচ বেকিং সোডা ১ গ্লাস পানিতে ভালো করে গুলিয়ে নিন। বেকিং সোডা এর চাইতে বেশী নেবেন না।
– প্রয়োজনে এই পদ্ধতি দিনে ২/৩ বার ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রতিদিন এই পদ্ধতি পালন করবেন না। সপ্তাহে ১/২ বার পান করতে পারেন।

রাতের বেলা ঘুম হয় না? জেনে নিন অনিদ্রার সমস্যায় প্রাকৃতিক ঘরোয়া সমাধান!

অনিদ্রা হচ্ছে ঘুমের একটি রোগ যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ঘুম না হওয়া বা বিভিন্ন সমস্যায় ঘুমাতে না পারা। এর ফলাফল স্বরূপ দিনের বেলায় অলসতা, দুশ্চিন্তা, মাথা ব্যাথা, বিষন্নতা, ত্রুটিপূর্ণ কর্মদক্ষতা ছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অনিদ্রা সাধারণত দুই ধরনের, একটি হচ্ছে তীব্র ও অন্যটি হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী।
তীব্র অনিদ্রা সাধারণত ১/২ দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে অপরদিকে দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা প্রায় মাস খানেক বা তার চেয়ে বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে।
অনিদ্রা বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে তার মাঝে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা, কম ঘুমানোর স্বভাব, মানসিক রোগের জন্য, জীবন যাত্রার পরিবর্তন, ঘুমানোর পরিবেশ বদল হলে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথায়, ক্যাফেইন বা অন্য উত্তেজক কিছুর প্রভাবে, শ্বাস কষ্টে এবং কিছু অসুস্থ অবস্থায় যেমন হার্ট ফেইল, আর্থ্রাইটিস, অ্যাসিডিটি ইত্যাদির সমস্যায় হতে পারে।
আবার বেশ কিছু ঔষধেরও যেমন corticosteroids, beta-blockers, ACE inhibitors, alpha-blockers ইত্যাদির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারনেও অনিদ্রা হতে পারে। অনিদ্রার সমস্যা যাদের মাঝে রয়েছে একমাত্র তারাই এর কষ্টটা বুঝতে পারেন।
এখানে অনিদ্রার সমস্যায় কিছু প্রাকৃতিক ঘরোয়া সমাধান দেয়ার চেষ্টা করবো।
জিরা: জিরা হচ্ছে রান্নার একটি বহুল প্রচলিত মশলা যার রয়েছে ঔষধি গুনাগুন এবং হজমে সাহায্য করার ক্ষমতা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে জিরাকে ঘুম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া জিরার তেল স্থিরতা আনতে সহায়তা করে। একটি পাকা কলার সাথে ১ চা চামচ জিরার গুড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খেয়ে নিন।
এছাড়াও জিরা ফুটিয়ে চা তৈরি করে খেলে অলসতা ও ক্লান্তি বোধ কেটে যায়। কারণ অনিদ্রার ফলে অলসতাও তৈরি হয়। এই চা তৈরি করতে হলে ১ চা চামচ জিরা একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় অল্প আঁচে ৫ সেকেন্ড ভেজে নিয়ে এক কাপ গরম পানিতে সামান্য ফুটিয়ে চুলা বন্ধ করে ঢেকে ৫ মিনিট রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
জয়ফল: জয়ফলের রয়েছে উত্তেজনা প্রশমন করে প্রশান্তি দেয়ার মত গুণাবলী এবং এটি প্রাকৃতিক ভাবেই ঘুম আসতে সহায়তা করে। ১/৮ বা ১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো কুসুম এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে নিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে খেয়ে নিন।
আবার ঘুমাতে যাবার আগে ১/৪ চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো চাইলে এক কাপ যেকোন ফলের জুসের মিশিয়ে খেতে পারেন। অথবা সামান্য জয়ফল গুঁড়ো এক টেবিল চামচ আমলকীর রসের সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার খান যা বিষন্নতা ও হজমের সমস্যা দূর করবে।
জাফরান: জাফরানেরও রয়েছে প্রশান্তিদায়ক গুণাবলী যা অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে। সামান্য জাফরান এক কাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে খেতে পারেন।
ক্যামোমিল চা: অনিদ্রা দূর করার প্রাকৃতিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্যামোমিল চা বেশ জনপ্রিয়।ক্যামোমিলে থাকা apigenin নামক যৌগে রয়েছে প্রশান্তিদায়ক গুনাগুন।তাই অনিদ্রা দূর করতে এক কাপ ক্যামোমিল চা পান করুন সামান্য মধু মিশিয়ে।
কলা: অনিদ্রা দূর করতে কলা বেশ উপকারী। কারণ কলাতে থাকা ট্রিপটোফেন নামক অ্যামাইনো এসিড সেরেটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে যা ঘুমের প্যাটার্নকে পরিচালনা করে। আবার কলা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রন করতে এবং মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কুসুম গরম দুধ: কুসুম গরম দুধ শরীর ও মনকে প্রশান্ত করতে একটি উৎকৃষ্ট ঘরোয়া উপায়। এছাড়া দুধেও রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক অ্যামাইনো এসিড যা ঘুমকে নিয়ন্ত্রন করে। ১/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এক কাপ কুসুম গরম দুধে মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে খেতে পারেন ভালো ঘুমের জন্য।
মেথিশাকের রস: মেথি সাধারণত অনিদ্রা, মাথা ঘোরানো এবং উদ্বিগ্নতা কমাতে সাহায্য করে। ২ চা চামচ মেথিশাকের রস ১ চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খান।
গরম পানিতে গোসল: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল করলে অনিদ্রা থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। এই নিয়মটি শরীরের ইন্দ্রীয়গুলোকে শিথিল ও প্রশান্ত করতে সাহায্য করবে। তাই এই উপায়টিকে আরো কার্যকরী করতে চাইলে গোসলের কুসুম গরম পানিতে যোগ করতে পারেন লেমন, ল্যাভেন্ডার, রোজমেরী বা ক্যামোমিলের মত কিছু এসেন্সিয়াল ওয়েল।
আপেল সিডার ভিনেগার এবং মধু: আপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে কিছু অ্যামাইনো এসিড যা অলসতা দূর করতে সাহায্য করে এবং সেই সাথে এটি ট্রিপটোফেন থাকা ফ্যাটি এসিডকে ভাঙতে সাহায্য করে।
মধুও ঘুম বাড়াতে সাহায্য করে। কারন এটি ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং মস্তিস্কে থাকা সেরোটোনিন নামক যৌগ নির্গত করতে সাহায্য করে যা ঘুমানোর ও জেগে উঠার চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং ২ চা চামচ খাটি মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে খেতে পারেন অনিদ্রা দূর করতে চাইলে।
আবার তৈরি করতে পারেন একটি টনিক। ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে এক কাপ মধু মিশিয়ে রেখে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে ১ টেবিল চামচ করে খেতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত উপায়গুলো অনুসরণ করা ছাড়াও নিয়মিত ভালো ঘুমের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই উচিত। যেমন-
– ঠিক ঘুমাতে যাবার আগে বেশি খাবার খাবেন না
– রাতের খাবার দেরি করে খাবেন না
– শান্ত ও অন্ধকার ঘরে ঘুমান
– প্রশান্তিদায়ক কিছু ব্যায়াম করতে পারেন
– সম্ভব হলে যোগব্যায়াম করুন
– খাবার তালিকা থেকে ক্যাফেইন জাতীয় জিনিসগুলো বর্জন করুন
এসব কিছুর পরও যদি দৈনন্দিন জীবন যাত্রা অনিদ্রার জন্য ব্যাহত হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ঘাড় ও গলার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে করুন ৪ টি কাজ

মানবদেহে প্রতিটি অঙ্গের মধ্যে বিশেষ করে নারীদের গলা ও ঘাড় খুব আকর্ষণীয়। সুন্দর গলার ও ঘাড়ের অধিকারী নারীদের দেখতেও যেমন খুব ভালো লাগে তেমনি তাঁদের গলায় যে কোন জিনিস খুব মানিয়ে যায়। আমাদের দেহের অন্যান্য অঙ্গের ত্বকের তুলনায় গলার ও ঘাড়ের ত্বক খুব দ্রুত টান টান ভাব হারিয়ে ফেলে।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, গলার ত্বক ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং বলিরেখা সারিয়ে তুলতে আছে কিছু দারুণ সমাধান যেমন- এক্সারসাইজ, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, সূর্যের আলো হতে ত্বক রক্ষা করা এগুলো ঘাড়-গলার ত্বকের জন্য খুব জরুরি। কিন্তু এইসব কাজ ছাড়াও আরও কিছু কাজ আছে যা আপনার করা উচিৎ।
এক্সফলিয়েট
প্রতি সপ্তাহে ২/৩ বার ঘাড়-গলার ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করা ভালো এতে করে ত্বকের মৃত কোষ, নিস্তেজ চামড়া পরিষ্কার হবে। এই কাজটি শুধু গলার বলিরেখাই রোধ করেনা গলার ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখে এবং ব্রন রোধ করে। কিন্তু ঘন ঘন ঘাড়-গলার ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন
দেহের ত্বকের সুস্থতার জন্য ময়শ্চারাইজার খুব জরুরি। বিশেষ করে এমন কোন ময়শ্চাররাইজার যাতে SPF 15 পর্যন্ত আছে তা ঘাড়-গলার ত্বকের জন্য খুব উপকারী। আমাদের দেহের যে অঙ্গের চামড়াগুলো পাতলা থাকে সূর্যের আলো সেখানে লাগলে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং আমাদের ঘাড়-গলার চামড়াও খুব পাতলা হয়ে থাকে। তাই সূর্যের আলো থেকে মুখের ত্বক ঘাড় ও গলা বাঁচিয়ে রাখুন।
গলা নিচু করে কোন কাজ বা ফোন ব্যবহার রোধ করুন
আমরা অনেকেই কাজ করার সময় মাথা নিচু করে কাজ করি বা অনেক সময় ফোন ব্যবহার করি মাথা নিচু করে এইভাবে আমাদের গলার ত্বকে ভাঁজ পড়ে এবং বলিরেখা দেখা দেয়। এবং বেশিমাত্রায় গলা নামিয়ে কাজ করলে ঘাড় ব্যথাও হতে পারে।
সঠিক উপায়ে ঘুমান
ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমালে আমাদের মুখের ত্বক, গলা ও ঘাড় ভালো থাকে এবং এই ভাবে ঘুমানোর ফলে নারীদের স্তনও সুগঠিত থাকে।

২ মিনিটে দাঁত সাদা করবে কলার খোসা

আচ্ছা, অতীত কালে তো ডাক্তার ছিল না। আর ছিল না নামকরা ব্রান্ডের পেস্ট ব্রাশ দাঁত মাজার জন্য। তাহলে কি তখন মানুষের দাঁত থাকতো হলদেটে আর দাগে ভরা? মোটেই না। মানুষের কাছে তখন ছিল হরেক রকম ঘরোয়া টিপস। আর তেমনই একটা হচ্ছে কলার খোসা দিয়ে দাঁত সাদা করা।
ভাবছেন এও কি সম্ভব? কিংবা ভাবছেন – “যাহ, সব ভুয়া”… তাই না? কিন্তু অসম্ভব নয়, আর মিথ্যাও নয়। কলার খোসা সত্যিকার অর্থেই বিজ্ঞান সম্মতভাবে আপনার দাঁত সাদা করতে সক্ষম। সুতরাং ভুলে যান দাঁতের ডাক্তারের কাছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করার ভাবনা, আর ঘরে বসেই নিজের দাঁত গুলোকে রাখুন ঝকঝকে। তবে হ্যাঁ, কাজটা করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। আর আজ জানানো হচ্ছে সেটাই।
কলার খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান। বিশেষ করে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ম্যাঙ্গানিজ। আর এরাই হচ্ছে দাঁতকে সাদা করে তুলবার প্রধান হাতিয়ার। এছাড়াও কলার খোসায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যারা কিনা দাঁতকে মজবুত করে তোলার পাশাপাশি খনিজ উপাদান গুলো শোষণ করতেও সহায়তা করে। কলার খোসা নিঃসন্দেহে সাদা করে তুলবে আপনার দাঁত, তবে ব্যবহার করতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে। জেনে নিন বিস্তারিত পদ্ধতি।
– প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যারা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।
– কলা উলটো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে খোসার সাথেই।
– খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।
– এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।
– দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন।
এবার আয়নায় তাকিয়ে দেখুন তো, লাগছে না দাঁত একটু বেশি পরিষ্কার? ৪/৫ দিন এমন করার পরেই দেখবেন আগের চাইতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার দাঁত। হলদে ভাব যেমন কমে গেছে, তেমনি কালো ছোপটাও অনেকটাই সরে গেছে। যারা ধূমপান বা মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রেও কাজ করবে এই পদ্ধতি। তবে ব্যবহার করতে হবে বেশ দীর্ঘদিন। এবং সঠিক নিয়েম মেনে।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে-
– এটা কোনও ম্যাজিক নয়। তাই ভালো ফল পেতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
– অবশ্যই কমপক্ষে ২ মিনিট ঘষতে হবে। এই সময়টা জরুরি। বেশি ঘষলে আরও ভালো।
– ঘষার পর অবশ্যই সময় দিতে হবে খনিজ গুলো দাঁতে শোষিত হবার।
– যাদের দাঁত মদ্যপান, ধূমপান বা অসুস্থতার কারণে হলুদ তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে।
– কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই অবশ্যই দাঁত খুব ভালভাবে মেজে নিতে হবে। এবং এই কারণেই দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
– যাদের দাঁত খুব একটা বেশি হলুদ নয়, তারা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
অনেকেই বলবেন যে কাজ হয় না, ভুয়া ইত্যাদি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হলো হয় তারা চেষ্টা না করেই বলেছেন, কিংবা চেষ্টা করলেও সঠিক ভাবে করেননি। ফল পাবার জন্য অবশ্যই নিয়ম মেনে প্রয়োগ করতে হবে। আর তাই অন্য লোকের কথা শোনা বাদ দিয়ে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন

ধূমপান ছাড়তে চান চিরকালের জন্য? চর্চা করুন ৫টি সহজ অভ্যাস!

অনেকেই ইচ্ছে করে কিংবা নিজের পছন্দের মানুষটির কারণে ধূমপানের বাজে অভ্যাসটিকে ছাড়ার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। কিন্তু দেহের কিছু প্রতিক্রিয়া ও মনের জোর না থাকার দরুন অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন না ধূমপান থেকে।
মাঝে মাঝে এমন সময় এসে উপস্থিত হয় যখন ধূমপান না করা পর্যন্ত স্বস্তি পান না অনেকে। আর এভাবেই ছাড়ি ছাড়ি করেই এই বদ অভ্যাসটি ছাড়া হয় না। আপনাদের এই মহৎ উদ্যোগকে সফল করতে আমাদের আজকের ফিচার। দেখে নিন খুব সহজে মাত্র ৫ মিনিটের অভ্যাস রপ্ত করে কিভাবে এই বদঅভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হাঁটাহাঁটি করতে চলে যান:
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে তখন হাঁটতে চলে যান বাইরে। ৫-১০ মিনিট হেঁটে আসুন। হাঁটা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করে। এবং শারীরিক পরিশ্রম অনেকাংশে ধূমপানের ইচ্ছে কমিয়ে দেয়।
মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে ফেলুন:
ধূমপানের ইচ্ছা মনের ভেতর চাগিয়ে উঠলে দ্রুত মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন। নিজের পছন্দের কিছু করুন, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শোনা কিংবা একটু নেচে নেয়া ইত্যাদি। চাইলে একটু যোগ ব্যায়াম করে নিতে পারেন। এতে মনোযোগ সরে যাবে সেই সাথে ধূমপানের ইচ্ছেটাও।
পানি পান করুন:
যখনই ধূমপানের ইচ্ছে জাগবে তখনই ২ গ্লাস পানি পান করে ফেলবেন এক নিঃশ্বাসে। এতে করে আপনার দেহে যে ধরণের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছিল ধূমপান না করার কারণে তা নষ্ট হবে। আপনার ধূমপানের ইচ্ছেও চলে যাবে।
যে কারণে ধূমপান ত্যাগ করতে চান সেই কারণটি মনে করুন:
খুব বেশি মাত্রায় ধূমপানের ইচ্ছে হলে মনে করুন কি কারণে আপনি ধূমপান ছাড়তে চাইছেন। কোনো পছন্দের মানুষের কারণে বা নিজের বাবা মায়ের কারণে অথবা নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে। যে কারনেই হোক সেটি মনে করুন এতে মনের জোর পাবেন।
চিনি সমৃদ্ধ কিছু খান:
যখন দেহের রক্তে চিনির মাত্রা কমে যায় তখনই ধূমপানের ইচ্ছেটা বেশ ভালো করে চাগিয়ে উঠে। তাই ধূমপানের ইচ্ছে হলেই চিনি সমৃদ্ধ কিছু খেয়ে ফেলুন। এতে ধূমপানের ইচ্ছে মরে যাবে।
বন্ধুর সাথে কথা বলুন:
যখনই ইচ্ছে হবে একটু ধূমপান করার তখনই সাত পাঁচ না ভেবে বন্ধুকে ফোন দিন। কথা বলুন বন্ধুর সাথে। ৫ মিনিট কথা বলুন। দেখবেন বন্ধুর সাথে কথা বলার চলে ভুলেই গিয়েছেন ধূমপান করার কথা। এবং ৫ মিন্ত পরে আবিষ্কার করবেন ধূমপানের যে ইচ্ছেটা জেগে উঠেছিল তা মনে গিয়েছে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কার্যকরী ১০ ঘরোয়া উপায়

ঋতুস্রাব মেয়েদের স্বাভাবিক একটি বিষয়। আর এই সময়ে পেটে ব্যথা কম বেশি সব মেয়েদের হয়ে থাকে। অনেকের ব্যথার পরিমাণটা এত বেশি হয়ে থাকে যে মাসিকের সময় তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি হয়। ঔষধ খাওয়া ছাড়াও ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা পেট ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়গুলো
১। গরম পানির প্যাক
পেটে ব্যথার জায়গায় গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটের ওপর দিতে পারেন। এটি আপনার ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে। এছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসলও করতে পারেন। এটিও আপনার পেটের ব্যথা কমিয়ে কিছুটা স্বস্তি হবে।
২। দুধ
প্রতিদিন সকালের নাস্তায় এক গ্লাস দুধ পান করুন। এটি আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে। যদি আপনি দুধ খেতে না পারেন তবে ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খেতে পারেন।
৩। আদা
আদা বেশ উপাকারী ঋতুস্রাবের ব্যথা রোধের জন্য। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভাল উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম পানিতে সেদ্ধ করে চাইলে এর সাথে মধু বা চিনি যোগ করে এটি দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন।
৪। পেঁপে
ঋতুস্রাবের ব্যথা রোধের জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকরী। ঋতুস্রাবের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খান। কাঁচা পেঁপে মাসিকের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
৫। ল্যাভেন্ডার অয়েল
মাসিকের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মালিশ করুন। ১০- ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে অনেকখানি।
৬। অ্যালোভেরা রস
অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। মাসিকের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়টি।
৭। ধনে বীজ
ধনে বীজে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি উপাদান রয়েছে, যা মাসিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। কয়েকটা ধনে বীজ গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। এই পানীয়টি দিনে দুইবার পান করন। এটি আপনার মাসিক ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে।
৮। কফি এড়িয়ে চলুন
এ সময়টায় কফি-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। কফিতে মূলত ক্যাফেইন থাকে যা রক্তনালীসমূহকে উত্তেজিত করে তোলে। এবং এটি পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।
৯। গাজর
এক গ্লাস গাজরের রস আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেটে ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে। মাসিক চলাকালীন প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস পান করার চেষ্টা করুন।
১০। প্রচুর পানি এবং পানীয় জাতীয় খাবার খান
দেহের শুষ্কতারোধে প্রচুর পরিমাণ পানি এবং পানিজাতীয় খাবার খান। কেননা এই সময়টায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এছাড়া এই সময় ভিটামিন এবং মিনারেল-জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরী। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মিনারেল। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

যে ৫টি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত দাঁতের ডাক্তার দেখাবেন!

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্যাদা বোঝে না”। আসলেও দেখা যায়, দাঁতকে এমন অবহেলা করি আমরা যে ভীষণ কোনো ক্ষতি হয়ে যাবার আগে টের পাই না। এসব ক্ষতি হবার আগেই কিছু লক্ষণ দেখে আপনার যাওয়া উচিৎ ডেন্টিস্টের কাছে।
সাধারণত ছয় মাসে একবার করে ডাক্তার দেখানোটা জরুরী। আপনি যদি দাঁত ও মুখ পরিষ্কার রাখেন এবং কোনো সমস্যা না থাকে তাহলেও আপনার উচিৎ ছয় মাসে একবার দাঁতের ডাক্তার দেখানো। কারণ আমাদের কাছে দাঁত সুস্থ আছে বলে মনে হলেও এতে কোনো সমস্যা থাকতে পারে যা শুধুমাত্র দাঁতের ডাক্তারই ধরতে পারবেন।
এ ছাড়াও আপনার যদি ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন বা অন্য কোনো জটিল রোগ থেকে থাকে তবে একটু ঘন ঘন এবং নিয়মিত দাঁতের ডাক্তার দেখানোটা ভালো।
গর্ভবতী অবস্থাতেও দাঁতের ডাক্তারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাটা জরুরী। এছাড়া আপনার যদি পান-সুপারি খাওয়া বা ধূমপানের অভ্যাস থাকে, অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস থাকে তাহলেও অন্যদের চাইতে ঘন ঘন দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা প্রয়োজন।
কী কী লক্ষণ দেখা গেলে খুব দ্রুত দাঁতের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, এ বিষয়ে জানিয়েছেন দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ আফরোজা আক্তার লাকি। তিনি বর্তমানে আদাবরের লাকি ডেন্টাল ক্লিনিক এ কর্মরত আছেন। তার মতে, এসব লক্ষণ দেখা গেলে ডেন্টিস্ট দেখানোটা জরুরী, নয়তো দাঁতের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
১) দাঁত ও মাথায় তীব্র ব্যাথা
মাঝে মাঝে ঠাণ্ডার কারণে বা অন্য কোনো কারণে দাঁত ব্যাথা করে এবং এই ব্যাথা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। এতে চিন্তিত হবার তেমন কিছু নেই। কিন্তু ব্যাথা যদি বারবার ফিরে আসে, বেশকিছুদিন ধরে স্থায়ী থাকে, ফোঁড়া টনটন করার মতো অসহ্য ব্যাথা হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা দরকার। এ ছাড়া সহনীয় ব্যাথাও যদি বেশিদিন ধরে থাকে তবে তাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
দাঁতের পাশাপাশি মাথাও ব্যাথা করে অনেক সময়। মাথা ব্যাথা করলে অনেকে বুঝতে পারেন না কিন্তু এটাও দাঁতে সমস্যা থাকার লক্ষণ হতে পারে।
২) মাড়ি বা গাল ফুলে যাওয়া
মুখের ভেতরে নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে অনেক সময়ে দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন হয়ে থাকে। এতে যদি মাড়ি এবং মাড়ির পাশাপাশি গাল সহ ফুলে যায় তবে অবিলম্বে ডেন্টিস্ট দেখানোটা জরুরী।
৩) মুখের ভেতর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
অনেক সময়ে টুথব্রাশ পরিবর্তন করলে, বেশি জোর দিয়ে ব্রাশ করলে বা প্রথম প্রথম ফ্লস করতে গেলে অল্প কিছু রক্তক্ষরণ হতে পারে। এটা মোটামুটি স্বাভাবিক। কিন্তু রক্তক্ষরণ যদি অনেকদিন ধরেই হতে থাকে তবে তা চিন্তার কারণ।
ড.লাকি জানান, অনেক ক্ষেত্রে দাঁতে ক্যালকুলাস জমার কারণে অনেকে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মুখে অনেকটা রক্ত জমে আছে। এমন হলেও ডাক্তার দেখাবেন অবশ্যই।
৪) দাঁত শিরশির করা
দাঁত ক্ষয় হয়ে যাবার ফলে দাঁত শিরশির করে। মুলত গরম বা ঠাণ্ডা খাবার খাওয়ার সময়ে দাঁতে এমন অনুভুতি বেশি হয় এবং রোগী খাবার খেতে বা পান করতে পারেন না। প্রিয়.কমকে ড.লাকি বলেন, দাঁত শিরশির করাটাকে মানুষ মোটেই আমলে আনে না কিন্তু এটাও দাঁতের ক্ষতির একটি লক্ষণ।
৫) দাঁতে দাগ পড়ে যাওয়া
এটা সাধারণত যারা পান-সিগারেট বেশি খেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে হয়। এই দাগ থেকে পরে দাঁতের খারাপ কোনো রোগ হতে পারে তাই ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে এসব দাগ দূর করাটা দরকারি।